পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহামায়া স্ত্রীসীতা দেবী ) రిచి ( عي. এই পার্টির কথা মায়া জীবনে কোনোদিন ভুলিতে পারে নাই । ঘণ্টা দুই তিনের ভিতর তাহার সারা জীবনের ধারা যেন এইখানেই নিয়ন্ত্রিত হইয়া গেল । কিন্তু সমস্যার কোনো সমাধানই হইল না, মায়া বুঝিল এতদিন সে যাহা ধ্রুবসত্য বলিয়া জানিয়াছে, চিরদিন যাহা দৃঢ়ভাবে ধরিয়া রাখিবে বলিয়া সঙ্কল্প করিয়াছে, তাহার কিছুই আর পূর্বের মূৰ্ত্তিতে তাহার চোখে পড়িতেছে না। দেবকুমারের দৃষ্টি এখনই যেন তাহার দৃষ্টিকে অন্তরঞ্জিত করিড়েছে। তাহার স্বাধীন সত্তা এখনই যেন অবলুপ্ত হইতে বসিয়াছে। বুদ্ধির দিক হইতে সে বুঝিতেছিল, সে নিজের অপমান করিতেছে, কিন্তু হৃদয়ের দিক হইতে এই পরাজয় স্বীকারেই তাহার এক আশ্চৰ্য্য আনন্দ হইতেছিল। মানুষের প্রিয় যাহা কিছু সকলের জন্যই তাহাকে মূল্য দিতে হয়। মায়ার কাছে নিজের স্বাধীনতার মূল্য অনেকখানিই ছিল,তাহা বিসর্জন দিয়া সে যেন দেবকুমারের ভালবাসা পাইবার অধিকার অর্জন করিল। T অজয় ভদ্রতার খাতিরে চা থাইতে আসিয়াছিল বটে, এবং খানিকটা মজা দেখিতে পাইবার আশায়ই যেন খানিকক্ষণ বসিয়াও ছিল, কিন্তু তাহাকে নিরাশই হইতে হইল। দেবকুমার নিতান্তই সাধারণভাবে গল্প করিতে লাগিল।' প্রেমিক প্রেমিকার আলাপের যেরকম ধারণা অজয়ের মনে ছিল, তাহার সঙ্গে কিছুই মিলিল না। চাক্ষুষ এসব কোনোদিনই সে দেখে নাই। হিন্দু ব্রাহ্মণ ঘরে তাহার জন্ম, কলিকাতায় বাস করিলেও তাহাদের পরিবারে কোনোরকম আধুনিকতা প্রবেশ করে নাই। কাজেই এবিষয়ে তাহার সমস্ত ধারণাটাই নভেল, নাটক এবং বায়োৰোপ হইতে সংগৃহীত ছিল । মায় এবং দেবকুমার তাহার কৌতুহলের কোনো খোরাকই জোগাইবার লক্ষণ দেখাইতেছে না দেখিয়া সে খানিক পরে কাজের ছুতা করিয়া উঠিয়া চলিয়া গেল । সে যাইতেই দেবকুমার বলিল, “আমি কিন্তু অভদ্রের মতই বসে আছি, নড়বার নাম নেই। হয়ত আপনার কাজের অসুবিধা হচ্ছে এবং বিরক্তও হচ্ছেন। তা যদি হয় ত বলুন, কিছু সঙ্কোচ করবেন না।” মায়া বলিল, “আমারও কাজের সীমা নেই। সন্ধ্যার সময় আবার কি কাজ থাকবে ? অন্যদিন ত সময়ই কাটে না। একটা যে কেউ এলেও বৰ্ত্তে যাই।” দেবকুমার বলিল, “আপনার কথার গোড়াটা শুনে সবে একটু খুশি হতে আরম্ভ করেছিলাম, এমন সময় আপনি সব মাটি করে দিলেন।” মায়া হাসিয়া বলিল, ments-টা দেখছি স্ত্রীজাতির একচেটিয়া গুণ নয়। আপনাদের ও সেটা দিব্যি আছে দেখছি। যা নিজে জানেনই, তা আর একবার আমার মুখ থেকে শুনে কি হবে ?” দেবকুমার বলিল, “পৃথিবীতে কতকগুলো কথা আছে, যা হয়ত খুবই জানা, তবু বার-বার লোকের মুখে শুনতে ইচ্ছে করে। অবশু সব লোকের মুখে নয়।” মায় উত্তরে কিছু না বলিয়া খানিকক্ষণ চুপ করিয়া রহিল। তাহার পর কথা বদলাইয়া বলিল, “আপনার কাজ আরম্ভ করছেন কবে ?” - দেবকুমার বলিল, “এখন করলেই হয় । খরচ ত বাপের টাকা অনেক করা গেল, উপার্জনটা নিতান্তই অতঃপর স্বরু করতে হয়। কতদূর পেরে উঠব ত৷ জানি না, তবে সবাই বলে রেজুনে উকীল ব্যারিষ্টারের কপাল খুব দরাজ, এই যা ভরসা ।” মায়া বলিল, “তা সত্যি, এখানে নিতাস্ত হাবা বোক। মামুষেও যে-পরিমাণ টাকা রোজগার করে তা দেখলে “Fishing for compli