পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐগিরীন্দ্রশেখর বসু । লীযতীন্দ্রকুমার সেন fচত্রি । কলিকাতা। ১৩৩৭ । মূল্য দুই টাকা । এটি কালে পিপড়ে ও লাল পিপড়েদের যুদ্ধের গল্পের বহি । মন দিয়া ইহা বিচাৰ্য্য নহে। যে-সব শিশু পড়িতে জানে না, তাহারাও উহার অপূৰ্ব্ব ছবিগুলির জন্ত ইহা দখল করে। যাহারা পড়িতে জানে, তাহারা গল্প ও ছবি উভয়েরই জন্য বহিগণনা ঘিরিয়া দল বাধিয়া লালকালে৷ বৃদ্ধের পড়িতে বসিয়া যায়। ইহার ছবি, ছাপ, কাগজ, বাধাই—সবই মনোহর । ভারতীয় মধ্যযুগে সাধনার ধারা—বলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯১৯ খ্ৰীষ্টাব্দের ‘অধর মুখার্জি' লেক্‌চর । কবিবর লীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকর মহোদয় লিপিত ভুমিকা সহ । লীক্ষিতিমোহন সেন, অধ্যাপক, বিদ্যাভবন, বিশ্বভারতী। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে প্রকাশিত । ১৯৩০ । ডিমাই আট পেজী ১১১ + ১২ পুণ্ঠ । কাপড়ের বাধাই । সোনার জলে নাম লেপা । মুলোর উল্লেখ নাই । কাগজ ও চাপা উৎকৃষ্ট । এই পুস্তকখানি ছোট কিন্তু অতিশয় মূল্যবান। ইহাতে ভারতের মধ্যযুগের বড়সংখ্যক সাধকের ও তাঁহাদের উপদেশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় আছে । তাহা পড়িয়? এই ইচ্ছা প্রবল হয়, যে, ক্ষিতিমোহনবাবু এই বিষয়ে একটি বড় বহি লিখুন। তিনি হয়ত লিখিতেও পারেন-- যদিও তিনি এখনও ক্রমাগত অনুসন্ধান করিতেছেন । কিন্তু তিনি লিপিলেও প্রকাশ করিলে কে ? আমরা বলি, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রকাশ করুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় যখন এই সৎ ও মহৎ অনুষ্ঠানের সূত্রপাত করিয়াছেন, তখন আরও অগ্রসর হওয়া উাহীদেরক্ট কৰ্ত্তবা । রবীন্দ্রনাথ উtহার ভূমিকায় লিখিয়াছেন – “ভারতের একটি স্বকীয় সাধন আছে ; সেইটি তা'র অস্তরের জিনিষ। সকল প্রকার রাষ্ট্রক দশ-বিপর্যায়ের মধ্য দিয়ে তা'র ধারা প্রবাহিত হয়েছে। আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, এই ধারা শাস্ত্রীয় সন্মতির ভটবন্ধনের দ্বার সীমাবদ্ধ নয়, এর মধ্যে পাণ্ডিত্যের প্রভাব যদি থাকে তো সে অতি অল্প। বস্তুত এই সাধনা অনেকটা পরিমাণে অশাস্ত্রীয়, এবং সমাজ শাসনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। এর উৎস জনসাধারণের অন্তরতম হৃদয়ের মধ্যে, তা সহজে উৎসারিত হয়েছে, বিধিনিষেধের পাথরের বাধা ভেদ ক’রে । যাদের চিত্তক্ষেত্রে এই প্রশ্ৰবণের প্রকাশ, উার প্রায় সকলেই সামান্ত শ্রেণীর লোক, তারা যা পেয়েছেন ও প্রকাশ করেছেন তা “ন মেধয়ান বচন শ্রতেন” । "ভারতের এই আন্তরিক সাধনার ধারাবাহিক রূপ যদি আমরা স্পষ্ট করে দেখতে পেতুম তাহলে ভারতের প্রাণবান ইতিহাস যে • কোনখানে তা আমাদের গোচর হতে পাৰ্বত। তাহলে জানা যেত ভারতবর্ষ যুগে যুগে কি লক্ষ্য করে চলেছে, এবং সেই লক্ষ্য সাধনে কি পরিমাণে তার সিদ্ধি। হুহ্যদ্বর ক্ষিতিমোহন সেন তার এই গ্রন্থে ভারতবর্ষের সুদীর্ঘকালের সেই চিত্তপ্রবাহের পথটিকে তার ভিন্ন ভিন্ন শাখায় প্রশাখায় অনুসরণ করে এসেছেন। আমরা দেখতে পেয়েছি وخ الإحه مستاج لا এই প্রবাহটি গভীররূপে সত্য এব: একৗস্তভাবে ভারতবর্ণের স্বকীয় । ভারতের জনসাধারণের মধ্যে সাধনার যে স্বাভাবিক শক্তি অপ্তর্নিহিত রয়েছে ক্ষিতিমোহনের এই রচনায় তাকে আবিষ্কার করা গেল ! এই প্রকাশের অভিব্যক্তির যে ধারা অস্তুর-বাপ্তিরের বাঁধার ভিতর দিয়ে প্রবাষ্ঠিত হয়েছে এই গ্রন্থের সীমারেখায় তার একটা রূপচিত্র অঙ্কিত ইয়েছে। এখন তার উদ্ভাবনের, তার প্রাগ্রসর যাত্রার সম্পূর্ণ একটি ইতিহাস পাবার অপেক্ষ রয়ে গেল, না পেলে ভারতবর্ষের ধ্রুব স্বরূপটির পরিচয় ভারতবর্ষের লোকের কাছে অসম্পূর্ণ, এমন কি नभमङ्गल 5८ {१:क मेiं ।" ক্ষিতিমোহনবাবু স্বয়ং উtহার “নিবেদনে" বলিয়াছেন :-- "হারা আলোচনা করিবেন তাহারা দেখিতে পাইলেন লিখিত সব শাস্ত্র ও গ্রন্থ অপেক্ষ এই সব নিরক্ষর সাধকদের এক একটি বাণী কস্ত মহান, কত গভীর। ইহাদের মধ্যে হিন্দু মুসলমান বা সম্প্রদায়গত কোনো ভেদ-বুদ্ধি নাই । ইহারা অধিকাংশষ্ট'নিরক্ষর এবং সকল সাধনার মৈত্রী ও যোগই ইহাদের আপুন সাধনার ধন। সেই যোগ সাধনাই ভারতের সাধনা বান্তিরে, ইহার মত প্রতিকূল লক্ষণই দেখা যাক না কেন ।" মহুয়—লীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । বিশ্বভারতী গ্রন্থালয়, ২১ নং কর্ণওয়ালিস্ ষ্ট্রট, কলিকাতা । মূল্য - ; বঁধান ২v• ও ২% । প্রিবাহ উপলক্ষ্যে উপহার দিবার নিমিত্ত, রবীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থাবলী হইতে কতকগুলি প্রেমের কবিতা সংগ্ৰহ করিয়া এবং তাহার সহিত তাহার কতকগুলি নবরচিত ঐ শ্রেণীর কবিতা সংযুক্ত করিয়া, একখানি বহি বাহির করিবার কথা হয় । কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই কয়েকটির জায়গায় অনেকগুলি নুতন কবিতা লেখা হইয়া যায়, এবং সেই সব কবিতাই "মছয়া" নামে প্রকাশিত হইয়াছে। রবীন্দ্রনাথের ভূtঙ্গা, "লেথার বিষয়ট ছিল সংকল্প করা—প্রধানত: প্রজাপতির উদ্দেশেআর তারই দালালী করেন যে-দেবত। তাকেও মনে রাপ তে হ’য়েছিলো।” ইহা প্রেমের কবিতার বহি । প্রেম বলিতে নানা জনে নান৷ জিনিষ বুঝে, এবং এই বহিখানির সকল কবিতাও এক রকমের নয় । BB BBDD BB BB BBS BBB BBB SBBBBSS BBB নিম্নমুদিত প্রারম্ভিক কবিতাটিতে আছে--- ভস্ম-অপমান শয্যা ছাড়ো, পুষ্পধনু, রুদ্র-বচি হ’তে লহো জলদচ্চি তনু । যাহা মরণীয় যাক্ ম'রে, জাগো অবিস্মরণীয় ধ্যানমূৰ্ত্তি ধ’রে। যাহা রূঢ়, যাহা মূঢ় ভব, যাহা স্থূল, গন্ধ হো, হও নিত্য নব। মৃত্যু হতে জাগে, পুষ্পধন্থ হে অতনু, বীরের তত্ত্বতে লহে তনু ॥