পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] টিশিয়ানের ( ১৪৭৭-১৫৭৬) চিত্রকলার প্রারম্ভ যেখানে, সেখানে বেলিনির চিত্রকলার শেষ ; এবং টিশিয়ানের সমাপ্তি যেখানে সেইপানে রেমব্রান্ট-এর আর্টের স্থচন : টিশিয়ান ও জর্জোনে ( ১৪৭৮-১৫২৪ সমসাময়িক, কিন্তু টিশিয়ান জর্জেনের শিষ্য ছিলেন । জর্জেণনের প্রভাব র্তাহার মধ্যে যথেষ্টই ছিল । জজোনে ইতালীর চিত্রকলাকে t'lassicism &èt & Romanticism & äiäsII via ; দুবলিনিক্ট প্রাণের প্রথমে প্রকৃতিব . সঙ্গে মামুষের তৃণাঙ্কুর お〉》○ যোগ দেখাইয়াছিলেন। জর্জেনে ভেনিসের রংএর বিচিত্ৰত তুলিতে ফলাইয়াছেন। The Tempest q** Fète Champetre stęfą দুইখানি বিশিষ্ট এবং বিখ্যাত চিত্র। টিশিয়ানের শ্রেষ্ঠ কীৰ্ত্তি তার Bacchus ও Arialne ! টিশিয়ানের চিত্রকলার আরও দুইটি ধার: ছিল, একটি আলেখ্য অঙ্কণ, অপরটি ধৰ্ম্মবিষয়ক চিত্র। Pitta ধৰ্ম্মচিত্রে তাহার শ্রেষ্ঠ দান—ধৰ্ম্মভাবের দিক হইতে ইহাকে জোত্তে হইতে মাইকেল এঞ্জেলো পৰ্য্যস্ত যে কোন চিত্রকরের চিত্রের সহিত তুলনা করা চলিতে পারে । তৃণাঙ্কুর শ্ৰীমতী শান্তি সেন আসন্নমুতু্যর ছায় দুৰ্য্যোগের মেঘের মত বাড়ীখানিকে ছাইয়।” রাখিয়াছে। অক্ষুট বিলাপধ্বনি ও অশ্রপাত ক্রমেই যেন নিবিড় হইয়া উঠিতেছে, জীবনযাত্রার আননটুকু ক্ষণকালের জন্যও একবার উকি মারে না। দেখিয়া শুনিয়া তিন চার বছরের মেয়েটিও পৰ্য্যস্ত শঙ্কিত হুইয়। উঠিয়াছে। সবাই বলিতেছে, আহ এমন লক্ষ্মীশ্ৰী এমনি হ’য়ে গেল, এই বয়সেই,— বলিবারই কথা যে রূপ দেখিলে চোখ ফিরিয়া আসে না, সেই রূপেরও যে এই পরিণতি হইতে পারে, কল্পনাও করা যায় না । দেহখানি যেন বিছানার সঙ্গে মিশিয়া গিয়াছে ; তবু মুখখান টল টল্‌ করিতেছে। চোখ ছুটি উজ্জল দেখায়। - পড়শী বউয়েরা আসিয়া দেখিয়া যায়, যাইবার সময় নিজেরাই ৰলাবলি করে,—“মুখখানি কি মিষ্টি ভাই,— আর কি মিষ্টিই-বা কথাগুলো, আঃ—” ● —কিন্তু বঁাচবে না । - — ওই ছোট্ট - মেয়েটি বুঝি ওরই—আহা-বেচার।” এমনি আরও কত কথা— রাস্তায় নামিয়াও তাহারা তাকায়, দেখে,-জানালার ভিতর দিয়া রোগী শূন্তদৃষ্টিতে বাহিরের পানে তাকাইয়া उा [...छ् । শহর ছাড়াইয়। খোলা মাঠের উপর বাড়ীপানি । সৌধ সমাজ হইতে একেবারেই যেন বিচ্ছিন্ন । চারিদিকে ফাক মাঠ,– কেবল ধূ-ধূ করিতেছে। বাড়ী এদিকে আরও আছে, কিন্তু কোনোটাই কোনোটাকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখে নাই,—খুব দূরে দূরে । একটা রাস্ত। সেই দূরের বাড়ীগুলিকে একখানি মালার মত গাথিয় চলিয়া গিয়াছে। কাছেই একটা পাহাড়ী নদী । শীল দেহের ধমনীর মত নদীট মাঠের বুক চিরিয়া বালুরাশির উপর দিয়া গড়াইতে গড়াইতে কোথায় চলিয়া গিয়াছে আর দেখাই যায় না ; কাকর পাথরের পার দুইটি রৌদ্রে ঋক্ ঋক্ করিতে থাকে। ওপারে কতগুলি খড়ের ঘর। তারই আশেপাশে বহুদরব্যাপী বিস্তীর্ণ শস্তক্ষেত্র । আকাশটা যেন ঘরগুলির গা বাহিয়া নামিয়া আসিয়া সবুজ ক্ষেতগুলির সঙ্গে মিশিয়া গিয়াছে । লাল বহুদূরে