পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] সমস্তই অনুমান, ঠিক কিছুই বলিতে প্লারি না । কারণ, খবরের কাগজগুলিকে –বিশেষতঃ বঙ্গে —দরকারী খবর-বিহীন করিয়া তুলায় কোন একট। বেসরকারীসিদ্ধান্তে উপনীত হইবার পক্ষে যথেষ্ট উপকরণ নাই । প্রত্যেক জায়গায় স্থানীয় সত্য গ্রহীরা অবশ্য সেখানে সত্যা গ্রহের অবস্থা জানেন । ংগ্রেস কমিটিগুলিকে বেআইনী ঘোষণা করা একদিকে, সত্যা গ্রহ দুৰ্ব্বল হইতেছে, এই কথা বলিয়৷ অন্যদিকে নূতন নুতন জায়গায় অর্ডিন্যান্স প্রয়োগ করা যেমন হেঁয়ালির মত বোধ হয়, তেমনি আর একট। হেঁয়ালি সরকারক ব্লুক ঘোষিত সত্যাগ্রহের ক্ৰমবৰ্দ্ধমান দুৰ্ব্বলতার সঙ্গে সঙ্গে নিখিল ভারতীয় কংগ্রেস কাৰ্য্যনিৰ্বাহক কমিটি, প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটিগুলি এবং জেল কংগ্রেস কমিট-সমূহকে ক্রমে ক্রমে বেআইনী বলিয়। ঘোষণা কর। মহাত্মা গান্ধী ঘে-দিন লবণ-আইন ভঙ্গ করিতে সঙ্কল্প করেন, যে-দিন নিখিল ভারতীয় কংগ্রেস কাৰ্য্যনির্বাহক" কমিটি অহিংস আইনলঙ্ঘন অমুমোদন করেন, যে-দিন মহাত্মাজী লবণ প্রস্তুত করেন, যেদিন তাহার দৃষ্টান্তের অনুসরণ করিয়া আর ৪ হাজার হাজার লোক লবণ প্রস্তুত করে, যে-দিন নানা প্রদেশে বেআইনী লবণ বিক্ৰী হয়, যে-দিন অর্ডিন্যান্সের নিষেধসত্ত্বেও মদের দোকানে ও বিলাতী কাপড়ের দোকানে পিকেটিং আরম্ভ হয়, যে-দিন অরণ্য-আইন ভগ্ন করা হয়, যে-দিন চৌকীদারী ট্যাক্স দিতে কোথাও লোকে অস্বীকার করে, যে-দিন নিষেধসত্ত্বেও লোকে সভা করে ও মিছিল বাহির করে — ইহার মধ্যে কোন তারিখে কংগ্রেস বেআইনী সমিতি ছিল না, বৈধ সমিতি ছিল ? যাহা অনিষ্টকর, তাহাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করার সমীচীনতা সম্বন্ধে নানা দেশে প্রবাদ আছে। সে প্রবাদ কি তাহা হইলে মানুষের অভিজ্ঞতার উপর প্রতিষ্ঠিত নহে ? ● হইতে পারে, গবন্মেণ্ট প্রথমে ভাবিয়াছিলেন সত্যাগ্রহ অচিরে আপনা আপনিই মারা যাইবে, সেইজন্য প্রথমে কিছু করেন নাই। কিন্তু যখন উহা প্রবল আকার বিবিধ প্রসঙ্গ-কংগ্রেস কমিটিগুলিকে বেআইনী ঘোষণা করা ৯২৫ ধারণ করিল, নানা জায়গায় লাঠি ও গুলি চলিল, এবং তাহাতেও লোকে বাগ মানিল না, তখন কেন কেন্দ্রীয় প্রাদেশিক ও জেলা কংগ্রেস কমিটিগুলিকে সৰ্ব্বত্র যুগপৎ বেআইনী বলিয়া ঘোষণা করা হইল না ? এই প্রশ্নের ঠিক উত্তর আমরা দিতে অসমর্থ এবং সরকার বাহাদুরের নিকট হইতে ও পাইব না । কেবল অনুমান করা যাইতে পারে । এক অল্পমান এই, যে, সত্যগ্রহ বাস্তবিক দুৰ্ব্বলতর না হইয়া কোন-না-কোন আকারে ( যেমন বিদেশীবর্জনের আকারে ) প্রবলতর হইতেছে বলিয়৷ সরকার খুব কড়া ব্যবস্থা করিতেছেন । আর এক অম্লমান এই হইতে পারে, যে, উহা দুৰ্ব্বল হইয় পড়ায় উহাকে এখন আঘাত করিলে কোন প্রতিক্রিয়া হইবে না । বলিয়া উহাকে মরণ-ঘা মার হইতেছে ।

রফ ও সন্ধির কথা এবং কৃংগ্রেসকে আঘাত একদিকে পণ্ডিত তেজ বাহাদুর সাপ্র ও শ্ৰীযুক্ত মুকুন্দরাম জয়াকর শাস্তি স্থাপনার্থ কংগ্রেস-নেতাদের ও বড়লাটের মধ্যে রফা ও সন্ধির কথাবাৰ্ত্ত চালাইতেছেন, অন্যদিকে ক্রমশঃ অধিক হইতে অধিকতর সংগৃrায় কংগ্রেসনেতাদিগকে জেলে পুরা হইতেছে। ইহাও এক রহস্য । এই দুটা চা’লের মধ্যে সামঞ্জস্য স্থাপন করা যাইতেছে না । কেহ কেহ অনুমান করিতেছেন, ব্যক্তিগতভাবে লর্ড আরুইন শাস্তিস্থাপন প্রয়াসী, কিন্তু তাহার শাসনপরিষদের অধিকাংশ সভ্য কড়া শাসনের পক্ষপাতী, তাহার। সন্ধি ও রফ চান না, কংগ্রেসকে পিষিয়া ফেলিতে চান, এবং তিনি তাহদের সহিত আঁটিয়া উঠিতে পারিতেছেন না ; এইজন্য পরস্পর অসঙ্গত দুই রকমের ব্যবহার হইতেছে। ইহা ষে নিশ্চয়ই অমূলক অনুমান তাহ বলিতে পারি না । আর একট। অল্পমান এই : - জেলে অবস্থানকালে লণ্ডনের ভেলী হেরান্ডের প্রতিনিধি মিঃ স্নে'কুম্বের সহিত মূলাকাতে গান্ধীজী পুরা স্বাধীনতা না চাহিয়া স্বাধীনতার সার অংশ চাহিয়াছিলেন, তাহার পর জেলে যাইবার আগে মোতীলাল জীও কতকট। ঐ রকম সৰ্বের উল্লেখ করিয়াছিলেন । তাহাতে শাসনপরিষদের কড়া শাসনের