পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২৬ পক্ষপাতী সভ্যদের ধারণ হইয়.খাকিবে, যে, আরও অধিকসংখ্যক কংগ্রেসনেতাকে জেলে পাঠাইলে কংগ্রেসপক্ষের স্বর আরও নরম হইবে এবং তাহীদের সন্ধিসত্ত্বও আরও নরম হইবে, এই জন্য কড়া শাসন চালান হইতেছে। এই অনুমানও সম্পূর্ণ অমূলক ন হইতে পারে। ঘে অনুমানই, বা উভয় অল্পমানই, সত্য বা অসত্য হউক, আমাদের বিবেচনায় শাসনকৰ্ত্তাদের দু-একট। বিষয়ে ভ্রম হইতেছে । কংগ্রেসের নেতার বা অন্য কারণে ভারতবর্ষের কল্যাণের জন্য আবশ্যক নু্যনতম রাষ্ট্রক অধিকারের কম কিছু চাহিবেন না, চাহিতে পারেন না ; সুতরাং তাঁহাদের উপর বেশী চাপ দেওয়া সুবিবেচনার কাজ নয় । অার একটা কথাও মনে রাথিতে হইবে । যে-কোন কারণেই হউক, নেতারা যদি এমন কিছু চান, যাহা কংগ্রেসওয়ালাদের অধিকাংশের মনঃপূত নহে, তাহা হইলে তাহার নেতাদের সৰ্বের বিরুদ্ধে দাড়াইতে পারেন । " সেরূপ সাহস, স্বাধীনচিত্তত ও দৃঢ়তা তাহাদের অনেকের আছে । তাহ যদি ঘটে, তাহা হইলে দেশটা ঠাণ্ড হইবে কেমন করিয়া ? [ ১৯শে ভাদ্র, ৫ই সেপ্টেম্বর প্রাতে লিখিত । ] ভয়ে হিংসাত্মক ও অহিংস সংগ্রামে কত সময় লাগে মহাত্মা গান্ধী বলিয়াছেন, তিনি ভারতবর্ষের জন্য স্বাধীনতার সার অংশ চান । অর্থাৎ তিনি দেশের জন্য এমন অধিকার চান, যাহা নামে স্বাধীনতা না হইলেও কাৰ্য্যতঃ স্বাধীনতার সমতুল্য । নামে ও কাজে উভয়েই স্বাধীনতা পাইতে হইলে যতটুকু শক্তি ও সামর্থ্যের পরিচয় দিতে হয়, নামটা বাদ দিয়া শুধু কাৰ্য্যতঃ স্বাধীনতা পাইতে হইলে তার চেয়ে কম যোগ্যতার প্রমাণ দিলে চলিবে না। ভারতীয়ের কিছু অল্প শক্তির পরিচয় দিলেও স্বাধীনতার সার অংশ পাইতে পরিবে মনে করা ভুল। কারণ, সার অংশটাই আসল জিনিষ, নামটা তত দরকারী নয় ; “যেহেতু আমরা নামটা চাহিতেছি না অতএব, হে বিধাতা, কিয়ং পরিমাণেশক্তিহীন আমাদিগকে আসল জিনিষটা দিয়া ফেলুন”— এরূপ প্রার্থনা গম্ভীরভাবে করা যায় না । প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAAAA AAAA AAAA S S S S ইতিহাসে দেখা যায়, যে-সকল জাতি অতীতকালে স্বাধীন হইতে চাহিয়াছে তাহারা হিংসাত্মক যুদ্ধ করিয়াছে। মহাত্মা গান্ধীই ইতিহাসে সৰ্ব্বপ্রথম অহিংস . সংগ্রাম আরম্ভ করিয়াছেন, এবং দেশের সমুদয় প্রধান নেতা অহিংস চেষ্টার পক্ষপাতী। যে-সকল প্রধাণ নেতা কংগ্রেসের অবলম্বিত অহিংস সত্যা গ্রহ নীতি অবলম্বন করেন নাই এবং তাহার বিরোধী, র্তাহারা স্বরাজ লাভের জন্য যেরূপ চেষ্টা করিতে বলেন, তাহাও অহিংস ৷ হিংসাত্মক চেষ্টার পক্ষপাতী ভারতীয়দের মধ্যে কেহ নাই, বলা আমাদের উদ্দেষ্ঠ নহে । আমর। কেবল ইহাই বলিতে চাই, যে, র্যাহারা প্রকাশ্যভাবে কাজ করেন ও নিজেদের মত ব্যক্ত করেন, এরূপ নেতা ও অনুচরদের কেহই স্বরাজ বা স্বাধীনতা লাভের জন্য হিংসাত্মক চেষ্টা করিবার পক্ষপাতী নহেন । কোন দলের বর্তমান অহিংস চেষ্টা সফল হইবে কি না, বলিতে পারি না। আমরা কেবল ইহাই বুঝিতে চাহিতেছিলাম, যে, ঐ চেষ্টা সফল বা আপাততঃ বিফল হইতে কত সময় লাগিতে পারে। অবশ্য, ঐতিহাসিক নজীর হইতে এ বিষয়ে কিছু বলা যায় না। হিংসাত্মক স্বাধীনতাযুদ্ধ সব স্থলে সমানকালব্যাপী হয় নাই। কিন্তু যদি মনে করা যায়, যে, অহিংস-সংগ্রাম হিংসাত্মক যুদ্ধ অপেক্ষ দীর্ঘকালব্যাপী হওয়ার সম্ভাবনা, তাহা হইলে সেরূপ অনুমান অমূলক না হইতেও পারে। অবশু, অল্প সময়ের মধ্যেই ব্রিটিশ গবন্মের্ণট কংগ্রেসের অহিংস-যুদ্ধ ব্যর্থ করিয়া দিতে পারেন, কিম্বা উহা দীর্ঘকাল ধরিয়া চলিতেও পারে । কিন্তু হিংসাত্মক যুদ্ধ এবং বর্তমান ভারতীয় অহিংস যুদ্ধের মধ্যে একটা প্রভেদ সকলেই সহজে বুঝিতে পারেন। হিংসাত্মক যুদ্ধে বড় ব| ছোট নানা শ্রেণীর সেনানায়ক এবং সাধারণ সৈনিকদিগকে বিপক্ষ যদি বন্দী করিতে চায়, কিম্বা অন্য কোনরূপে তাহাদিগকে যুদ্ধ করিতে অসমর্থ করিতে চায়, তাহা হইলে সাধারণতঃ অনায়ালে সে উদ্দেশু সফল হয় না। সে উদেখা সফল করিতে হইলে বিপক্ষকে সাধারণতঃ যুদ্ধ করিতে হয়। যুদ্ধের ফল অনিশ্চিত । কিন্তু বৰ্ত্তমান ভারতীয়