পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] এই স্থলে গৌরীর মুখে শারদীয় পূজার প্রচলন ও মাহাত্ম্য বর্ণিত হইয়াছে । এষ্টলার, গৌরী এল ঘরে মোর উম এল ঘরে। আনন্দে বিহবল রাণী আপন! পাশরে ॥ ধ্রু ॥ ইঙ্গর পর সপ্তমীপূজা-আরম্ভ পসঙ্গে –বিভিন্নদেশের পূজাপ্রচলন, সাত্তিক, বাজসিক ও তামসিক পূজার ক্রম নিরূপণ বর্ণিত আছে । কবি এই উপলক্ষে একস্তানে বলিয়াছেন, ফলে জলে দরিদ্র পূজয়ে ভক্তি করি । তাহাতে অধিক তুষ্ট দেবী মহেশ্বরী। সপ্তমীপূজার পর মতাঅষ্টমী, সন্ধিপূজা, দুর্গার শতনাম বর্ণন করিয়া মচা অষ্টমী সন্ধিপূজা সমাপ্ত করিয়াছেন। ইঙ্গর পব মহানবমীপূজা আবিস্তু, স্তবস্তৃতি, ও পরে মঙ্গানবমীপূজা সমাপ্ত । তদনন্তর বিজয় দশমী । এইরূপে সুমিষ্ট ভাষায় বিবচিত কাব্যগ্রন্থে, হরগৌরী প্রেমভাষা ভক্তের পূরায়ে আশা রচিল লীগঙ্গানারায়ণ ॥ কাবা শেষে কবি গঙ্গানারায়ণ করে নিবেদন চওঁীর চরণতলে । সময় নিদানে তৰ গান শুনে মরি যেন গঙ্গাজলে ॥ আমাদের কবির এষ্ট কাতর প্রার্থনা ভবানী পূরণ করিয়াছেন কি না, তাত এখন আর জানিবার উপায় নাই । কবির ভাষায় ‘ভবানী-মঙ্গল’ গ্রন্থের উপাথ্যানভাগের এই সংক্ষিপ্ত পরিচয় প্রদান করিয়া নিরস্ত হইলাম। এক্ষণে আমরা ভারতচন্দ্রের সঠিত তুলনায় সমালোচনা করিয়া এই গ্রন্থের গুণাগুণ বুঝিতে চেষ্টা করিব। যে যুগে ভবানী-মঙ্গলের কবি গঙ্গানারায়ণের আবির্ভাব, তুলনায় সে যুগের সাহিত্য-সেবকগণের প্রধান সমালোচন । ও খ্যাতনামা পৃষ্ঠপোষক স্বনামখ্যাত মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র ; আর সে যুগের খ্যাতনামা কবি “অন্নদামঙ্গল” রচয়িত রায় গুণাকর ভারতচন্দ্র এবং ভক্ত কবি রামপ্রসাদ । এই যুগের কবিগণের মধ্যে অনেকেরই রুচি অতি মাত্রায় বিকৃত ও অশ্লীলতা-দুষ্ট, চিত্ত অসংযত এবং বিভিন্ন ধৰ্ম্মের প্রতি বিষম বিদ্বেষভাবাপন্ন। ভারতচন্দ্র গঙ্গানারায়ণ বিরচিত “ভবানী-মঙ্গল” ఫిలి এই যুগের সর্বাপেক্ষ শক্তিশালী কবি—আবার তিনিই এই যুগ-নির্দিষ্ট অপরাধে পূর্ণমাত্রায় অপরাধী । কবি গঙ্গানাবায়ণের সচিত ভারতচন্দ্রের তুলনা করিবার এই কয়টি বিশেষ কারণ রহিয়াছে –(১) উভয়েই সমকালিক কবি, (২) উভয়েষ্ট বিষয় নিৰ্ব্বাচনে এক মত, (৩) উভয়েই একপরিবাব-সস্তুত, (৪) উভয়েই পরম্পব অপরিচিত—এক জন দেশবিখ্যাত মঙ্গরাজেব সভাপণ্ডিত, অপরে নিভৃত পল্লীতে নামে মাত্র রাজ্যেপাধি প্রাপ্ত ক্ষুদ্র জমিদারের সভাসদ। এতগুলি ঐক্য থাকা সত্ত্বেও উভয় কবি সংসর্গবশে কিরূপ বিভিন্ন পথ অবলম্বন করিয়াছিলেন তাক ভাবিবার কথা । রায়গুণাকর ভাবতচন্দ্র, ভবানী-মহাত্ম্য প্রচারোদেশে লিখিত অন্নদা-মঙ্গল উপাখ্যানে বিদ্যাসুন্দবের অশ্লীল উপাথ্যান সংযোজিত করিয়া স্বীয অসাধারণ কবিত্ব-শক্তির গঙ্গানা বায়ণ প্রসঙ্গক্রমে অবাক্ষর উপাখ্যান সংযোগ করিয়া গ্রন্থের কলেবর পুষ্ট করিয়াছেন সতা—কিন্তু তাহ সজদ্দেশ্রে প্রণোদিত হষ্টয়া । গঙ্গণনারায়ণ শক্তি-মন্ত্রে দীক্ষিত হইয়া ও যেরূপ ভক্তিভাবে শ্ৰীকৃষ্ণলীলা ও নাম-মাহাত্মা ও শ্রীরাম-চরিত প্রভৃতি উপাখান বর্ণন করিয়াছেন, তাহ বাস্তবিকই বিরল । ভারতচন্দ্র কিন্তু অবসব পাইলেষ্ট ভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বীকে বিদ্ধপবাণে জর্জরিত করিতে ক্রটি করেন নাই । ভারতচন্দ্র স্বীয় বিরুত রুচি কর্তৃক প্রণোদিত হইয়া অজ্ঞাতভাবে দুর্গামাঙ্গাত্মা-উপাখ্যানের প্রথমাংশ গ্রহণ করিয়াছেন—যেখানে স্বামীর বাক্য অতিক্রম কবিয়া সতীলাঞ্ছিত ও নির্যাতিত । আর ভবানী-মঙ্গলের কবির উম *ञ्चाङ्गञ्च बांक; विनl, मांशा नांश् िशांब्र ८कांम इां८न । একজন কবি, নারীর স্বামী-বাক্য অতিক্রম করিয়া কিরূপ নিৰ্য্যাতন ভোগ করিতেছেন, তাহারই বর্ণন করিয়া আনন্দলাভ করিয়াছেন—অপর কবি, সতীর স্বামীরআজ্ঞানুবৰ্ত্তিতার পরাকাষ্ঠ প্রদর্শনে চরিতার্থতা লাভ করিয়াছেন । ভারতচন্দ্রের সমগ্র কাব্য আমরা বিনা সঙ্কোচে সকলের সমক্ষে পাঠ করিতে পাধি না—ষ্টত অশ্লীলতায় এতই কলুষিত । কিন্তু "ভবানী-মঙ্গল” গ্রন্থে অশ্লীলতার লেশমাত্র সম্পূর্ণরূপ অপব্যবহার কবিয়াছেন ।