পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ジ ७ ) রাগের মুখে ছেলের o মেয়ের গালে চাপড় মেরে, বসলাম উঠে কায়দা মত কাছ কোচা কাপড় ঝেড়ে ; “দূরচ গাধা" বলতে রেগে—ও বাবাগো, ভীষণ বেগে, স্বল্প হতে উচ্চতরে যে সুস্বরে চড়ল টান । কুমার ধর্মে সানাই, মেয়ে ব্যাগৃপাষ্টপে ধরল তান ॥ ( , ) চাদির মল আর মাকড়ী বালা পালংপাত, চেনু গিলটি,— গয়ন-পরা গিল্পী আমার কলম খাতা পেনসিলটি— ফেল্পে ছুড়ে, দন্তে আসি—সাত জন্মের গুণের দাসী ; রূপে সাক্ষাৎ ঘটোৎকচের আপন মায়ের পেটের বোন, আদর ক’রে তুল্লে ছেলে—ষাট, ষাট, ষাট ষেটেৰ ধন ॥ ( b ) প্রলয়-ঝড়ের মূৰ্ত্তি দেখে, বাধন-ছেড়া র্যাড়ের মত, ভাব দিল ছুট, ছন্দ শুধু রইল প’ড়ে মুচ্ছ গত, ভালেম, ভাব যাকু না চলে ? ছন্দ আছে, তারই বলে, লিখব এমন মিষ্টি লেখা,—বুঝবে অতি-ধীরঞ্জনও তা । পাই যদি হায় একটুখানি ভাষার রূপা—নির্জনতা ॥ ( = } বিশ্বভর গণ্ডগোলে--মানুষগুলোর দ্বন্দ্ব পেজায় । নিৰ্জ্জনতা কোথায় পাব ? নইলে আবার ছন্দ যে যায়। যমের বাড়ী ?—অনেকদূরে ! চায় গো বিশাল ভবপুরে কোথায় গেলে মিলবে তারে ? কিসে ভাষার চলবে ঢেউ ? জানে। যদি, দয়া করে তোমরা ওগো বলবে কেউ ? শ্ৰীঅবিনাশচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য । আলোচন —:O:— বরাহমিহির স্ত্রীযুক্ত শরচ্চত্র শাস্ত্রী মহাশয় আশ্বিন মাসের প্রবাসীতে "বরাহ মিহির সম্বন্ধে যে প্রবন্ধ লিখিয়াছেন তাহ পাঠ করিলাম। বরাহমিহিরের সময় লইয়া বড়ই গোলযোগ দেখা যায়। সুতরাং এ বিষয়ে যতই আলোচনা হয়, ততই সুবিধা । আমরা এ সম্বন্ধে যৎকিঞ্চিৎ আলোচনা করিয়াছি। বরাহমিহির বিক্রমাদিত্যের সভাপণ্ডিত ছিলেন । রঘুবংশাদি রচয়িতা কালিদাসও উtহার একজন সভাপণ্ডিত ছিলেন । সম্বৎপ্রচলন কৰ্ত্ত বিক্রমাদিতোর নবরত্ব সভার অস্তিত্ব সম্বন্ধে কোন প্রমাণ নাই । প্রবাসী কাৰ্ত্তিক, ১৩১৭ ১• ম ভাগ, ২য় খণ্ড বৃহৎসংহিতার যে সংস্করণ আমরা এখন দেখিতেছি, তাহ ২৮৫ খৃষ্টাব্দে লিখিত। এই বরাহমিহির কর্কটের আদিতে দক্ষিণায়ণ আরম্ভ হইতে দেখিয়াছেন (১) । কিন্তু ইনি মূল বৃহৎসংহিতার রচয়িত নহেন। প্রথমমুনি-কথিত অবিতখ বিস্তীর্ণ গ্রন্থার্থ অবলোকন করিয়া নাতিস্বল্প নাতিবহুল রচনা স্বার। তাঁহাই স্পষ্টরূপে প্রকাশ করিয়াছেন (২) । এই প্রথম মুনি বরাহমিহির। সম্বতের প্রথমে ৫৮ খৃষ্ট পূৰ্ব্বাদে ইনি বর্তমান ছিলেন । - দ্বিতীয় বরাহমিহির ২য় শকে ৮ খৃষ্টাব্দে বর্তমান ছিলেন। ইনি ২ শক করণবিদ করিয়া পৈতামহ সিদ্ধান্তের এক সংস্করণ প্রকাশ করিয়াছিলেন (৩) । i. তৃতীয় বরাহমিহির বৃহৎসংহিতার বর্তমান সংস্করণের রচয়িত । ইনি ২৮৫ খৃষ্টাব্দে বর্তমান ছিলেন। চতুর্থ বরাহমিহির “পঞ্চসিদ্ধাস্তিকা” রচনা করিয়াছেন। ৪২৭ শকে এ. ষ্টাব্দে তিনি বর্তমান ছিলেন। নিজ কৃত “পোলিশ" সিদ্ধান্তে তিনি লিখিয়াছেন, “সম্প্রতি পুনৰ্ববস্তুতে দক্ষিণায়ণ হইতেছে।” ইনি কর্কটের আদিতে দক্ষিণায়ণ দেখেন নাই । তৃতীয় বরাহের ( • ১৫—২৮৭ খৃষ্টাব্দ ) ২২ বৎসর পরে ইনি ছিলেন । ৪৭ খৃষ্টাব্দ হইতে ১· c১ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যস্ত পুনর্বহতে দক্ষিণায়ণ হইয়াছে । পঞ্চম বরাহমিহির ১৬ - খৃষ্টাব্দে সম্রাট আকবর শাহের সময় ছিলেন । ৪ । শ্ৰীবিনোদবিহারী রায়, রাজসাহী। স্বর্ণসিন্দুর রহস্য সম্প্রতি প্রবাসীতে স্বর্ণসিন্মর প্রস্তুত সম্বন্ধে রসায়নবিদ শ্ৰীযুক্ত পঞ্চানন নিয়োগীর সহিত কবিরাজ মহাশয়গণের বড় বাদপ্রতিবাদ চলিতেছে । বিষয়টি গুরুতর। স্বর্ণসিন্দূর প্রস্তুত করিতে সোন লাগে। অথচ প্রস্তুত হইলে দেখা যায় যে তাহাতে সোনা কিছুমাত্রই মিশ্রিত হয় নাই ; শিশির নীচে পড়িয়া আছে । পঞ্চানন বাবুর যুক্তি এই—যখন স্বর্ণসিন্দূরে সোনা মিশ্রিত হয় না. পরীক্ষা করিলেও স্বর্ণের বিন্দুমাত্র সংস্রব পাওয়া যায় না, তখন তাহাতে সোনা দেওয়ার কোনই প্ররোজন নাই । কবিরাজ মহাশয়ের বলেন যদিও স্বর্ণসিন্দুরে সোন প্রত্যক্ষভাবে মিশ্রিত না হউক, তথাপি স্বর্ণ-সংস্পর্শে ইহা এমন গুণান্বিত হয়, সোনা মা দিলে তাহ{ কোন ক্রমেই তেমন হইতে পারে না ! যদি স্বর্ণসিন্মুরে সোন ন দিলে চলিত, তবে আয়ুৰ্ব্বেদঞ্জ ঋষিগণ স্বর্ণসিঙ্গুর ও রসসিন্দর এদুটি ঔষধ পৃথক পৃথক স্বষ্টি করিলেন কেন? এই সমস্তার মীমাংস বড় কঠিন । কারণ ইহার একদিকে যেমন রসায়লবিদের প্রত্যক্ষ পরীক্ষার ফল : অন্মদিকে আবার তেমন ত্রিকালজ্ঞ ঋষিগণের ব্যবস্থা । স্বর্ণসিন্দর প্রস্তুত করিতে যে স্বর্ণের অধঃক্ষেপ হয়,--শাস্ত্রে কিন্তু তাহার কোন উল্লেখ নাই। বহুদিন হয় আয়ুৰ্ব্বেদন্ত্র একজন সন্ন্যাসীর নিকট শুনিয়াছিলাম ষে--স্বর্ণ, পারদ ও গন্ধক উত্তমরূপে কজ্জলী করিয়া, তিন বৎসর কাল (১) বৃহৎসংহিত ৩য় অধ্যায় ২ শ্লোক । (২) বৃহৎসংহিত। ১ম অধ্যায় ২ শ্লোক । (৩) আমাদের জ্যোতিষী ৬২ পৃষ্ঠ । (৪) ৰিশ্বকোষ “বরাহমিহির” শকা ।