পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ সত্যম শিবম সুন্দরম ৷ ” “ নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্য: , " >。さI s" ২য় খণ্ড স্বধৰ্ম্ম ও পরধৰ্ম্ম যে পত্ত্ব আমাদের লাহিরের বস্তু, তাহার সম্বন্ধে তোমার অামাব এ ভেদ বিচার সম্ভবে না । জড়জগৎ আমাদের বাহিরে পড়িয়া আছে । বহিরিক্রিয়ের দ্বারা আমরা জড়ের জ্ঞান লাভ করি । সুতরাং জল সকলের নিকটেই তরল, বরফ সকলের নিকটেক্ট কঠিন । এ সম্বন্ধে আমাদের সকলেরই জ্ঞান একরূপ । ধৰ্ম্ম বস্তু যদি এরূপ বাহিরের বস্তু হইত ; রাজার আইনের মত, ধৰ্ম্মের বিধানও যদি বাহির হক্টতে আমাদের উপরে আসিয়া চাপিয়া পড়িত, তবে ধৰ্ম্ম সম্বন্ধেও স্বধৰ্ম্ম ও পরধৰ্ম্ম এরূপ ভেদবিভাগের কোনও অবসর থাকিত না । কিন্তু ধৰ্ম্ম বস্তু অন্তরঙ্গ বস্তু । আমাদের ভিতর হইতে ইহা ফুটিয়া উঠে, বাহির হইতে আসিয়া চাপিয়া বসে না । সুতরাং ধৰ্ম্মে স্ব পর ভেদ অবশুম্ভাবী ও অনিবাৰ্য্য। কারণ, সকল মানুষ সমান নহে। মানুষে মানুষে এ. ভেদ কোথা হইতে আসিল, জানি না । কিন্তু এ ভেদ যে মৌলিক, অনতিক্রমণীয়, ইহা অস্বীকার করা যায় কি ? আমাদের চেহারাষ্ট যে ভিন্ন ভিন্ন তাহী নহে ; আমাদের মনের গঠনে, চিন্তার প্রণালীতে, ভাবের লীলাখেলায়, আমাদের রুচি ও প্রবৃত্তি, শক্তি ও প্রকৃতি, অন্তররাজ্যের সকল বিষয়েই এক একটা নিজত্ব বা বিশেষত্ব আছে। ইঞ্জিয়সাক্ষাৎকারে আমাদের যে বিষয়ঞ্জানের উৎপত্তি হয়, সে জ্ঞান মোটের উপরে সকলেরই সমান হষ্টলেও, সে অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ ২য় সংখ্যা জ্ঞানকে অবলম্বন করিয়া আমাদের চিত্তে যে ভাবের উদয় হয়, তাহা সকলের এক হয় না। একই দৃশু দর্শনে কারও বা আসক্তির, কারও বা বিরক্তির উদ্রেক হয় । একই বস্তুর ধ্যানে কেহ বা এক রস, আর কেহ বা অন্তবিধ রস আস্বাদন করিয়া থাকেন। আর এই ভাব, এই রস, এই আস্বাদন বিভিন্ন হয় বলিয়া, তৎ সম্বন্ধে আমাদের কার্য্যা কার্যোর ও অশেষ প্রকারের তারতম্য ঘটিয়া থাকে। এ সকল বৈষমা বাছির হইতে অষ্টিসে না, ভিতব হইতেই ফুটিয় উঠে । মৌলিক বৈষমা প্রতিষ্ঠিত করে। ধৰ্ম্ম বস্তু অন্তরঙ্গ বস্তু । আর টঙ্গ একান্ত অন্তরঙ্গ বস্তু বলিয়াই, ইঙ্গতে স্ব-পর ভেদ অনিবাৰ্য্য। ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে আমাদের নিজত্ব বা বিশেষত্বটুকুকে অগ্রাহ করিলে চলিবে কেন ? অথচ অতিশয় আশ্চর্য্যের কথা এই যে, আধুনিক কালে র্যাহারা ধৰ্ম্ম বস্তুকে একান্তভাবে মানবের অস্তরেক্ট প্রতিষ্ঠিত করিতে যাইতেছেন, তাহারাষ্ট আবার ধৰ্ম্মে যে সত্যসত্যই স্ব-পর-ভেদ আছে, ইহা স্বীকার করিতে চান ন! | যাহাদের ধৰ্ম্মের প্রামাণ্য ভিতরে ততটা নহে যতটা বাহিরে ; যাহারা অতিপ্রাকৃত-শাস্ত্রের বা বিশিষ্ট অবতার, প্রবক্তা, বা গুরুর উপদেশের ও সাক্ষ্যের উপরে ধৰ্ম্মকে এ সকলে আমাদের অন্তরঙ্গ প্রকৃতির স্থাপিত করিতে যান, তাহারা স্বধৰ্ম্ম ও পরধৰ্ম্ম এ ভেদ অলীক বলিয়া অস্বীকার করিতে পারেন। খৃষ্টীয়ান সহজেই একথা বলিতে পারেন যে, ধৰ্ম্মের প্রামাণ্য যখন বাইবেল