পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ৷ শ্রাদ্ধদিনের ভিতরকার কথাটি, শ্রদ্ধা । শ্রদ্ধা শব্দের অর্থ হচ্চে বিশ্বাস । আমাদের মধ্যে একটি মূঢ়তা আছে ; আমরা চোখে দেখা কানে শোনাকেই সব চেয়ে বেশি বিশ্বাস করি । যা আমাদের ইন্দ্রিয়-বোধের আড়ালে পড়ে যায়, মনে করি সে বুঝি একেবারেই গেল। ইন্দ্রিয়ের বাইরে শ্রদ্ধাকে আমরা জাগিয়ে রাখতে পারিনে । আমার চোথে দেখা কানে শোনা দিয়েষ্ট ত আমি জগৎকে স্বষ্টি করিনি যে আমার দেখা শোনার বাক্টরে যা পড়লে তাই বিলুপ্ত হয়ে যাবে । যাকে চোখে দেখছি, মাকে সমস্ত ইন্দ্রিয় দিয়ে জানচি, সে যার মধ্যে আছে, যখন তাকে চোথে দেখিনে, ইন্দ্রিয় দিয়ে জানিনে, তখনো তারক্ট মধ্যে আছে । আমার জানা আর তার জানা ত ঠিক এক সীমায় সীমাবদ্ধ নয় । আমার যেখানে জানার শেষ সেখানে তিনি ফুরিয়ে যান নি। আমি যাকে দেখ চিনে, তিনি তাকে দেথ চেন—আর তার সেই দেখায় নিমেষ পড়চেন । সেই অনিমেষ জাগ্রত আজ মাকে দেখতে হবে। পুরুষের দেখার মধ্যেষ্ট আঞ্জ এষ্ট শ্রদ্ধাটিকে হৃদয়ে জাগ্রত কবে তুলতে হবে, যে, মা আছেন, মা সত্যের মধ্যে আছেন ; শোকানলের আলোকেই এই শ্রদ্ধাকে উজ্জ্বল করে তুলতে হবে, যে, মা আছেন, তিনি কখনই হারাতে পারেন না । সত্যের মধো মা চিরকাল ছিলেন বলেই র্তাকে একদিন পেয়েছি ---মইলে একদিনে পেতুম না-— এবং সত্যের মধ্যেই মা আছেন বলেই আজও তার অবসান নেই । সত্যের মধ্যেই অমৃতের মধ্যেই সমস্ত আছে এ কথা আমরা পরমাত্মীয়ের মৃত্যুতেই যথার্থত: উপলব্ধি করি। যাদের সঙ্গে অামাদের মেহপ্রেমের আমাদের জীবনের গভীর যোগ নেই তারা অাছে কি নেই তাতে আমাদের কিছুই আসে যায় না—সুতরাং মৃত্যুতে তারা আমাদের কাছে একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যায়। এইখানেই মৃত্যুকে আমরা বিনাশ বলেক্ট জানি । কিন্তু এ মৃত্যুর অর্থ কি ভেবে দেখ। যে-মানুষকে আননের মধ্যে দেখিনি তাকে অমৃতের মধ্যেই দেখিনি— মাতৃশ্ৰাদ্ধ ද්ව আমার পক্ষে সে কেবল মাত্র চোথে-দেথা কালে শোনার অনিত্য লোকেষ্ট এতদিন ছিল ; যেখানে তাকে সন্যরূপে বৃহৎরূপে অমর রূপে দেখতে পে ; ম সেখানে সে আমাকে দেখা দেয় নি। 纳 মেথানে আমার প্রেম সেক্টথানেই আমি লিত্যের স্বাদ পাই, অমৃতের পৰিচয় পেয়ে থাকি । সেখানে মানুষের উপর থেকে তুচ্ছতার আবরণ চলে যায়, মানুষের মূল্যের সীমা থাকেন । সেই প্রেমের মধ্যে সে মানুষকে দেখেছি তাকেই আমি অমৃতের মধ্যে দেখেছি । সমস্ত সীমাকে অতিক্রম করে তার মধ্যে অসীমকে দেখতে পাই, এবং মৃত্যুতেও সে আমার কাছে মরে না । যাকে আমরা ভালপাসি মৃত্যুতে সে সে থাকৃবে না এই কথাটা আমাদের সমস্ত চিত্ত অস্বীকার করে ;--প্রেম যে তাকে নিত্য বলেই জানে, সুতরাং মৃত্যু যখন তার প্রতিবাদ করে তথন সেক্ট প্রতিবাদকে মেনে নেওয়া তার পক্ষে এতই কঠিন হয়ে ওঠে । যে মানুষকে আমার অমৃতলোকের মধ্যে দেখেছি তাকে মৃত্যুর মধ্যে দেখুব কেমন করে ? মনের ভিতরে তখন একটি কথা এষ্ট ওঠে-.. প্রেম কি কেবল আমারই ? কোনো বিশ্বব্যাপী প্রেমের যোগে কি আমার প্রেম সত্য নয় ? যে শক্তিকে অবলম্বন করে আমি ভালবাসচি আনন্দ পাচ্চি সেই শক্তিই কি সমস্ত বিশ্বে সকলের প্রতিষ্ঠ আনন্দিত হয়ে আছেন না ? আমার প্রেমের মধ্যে এমন যে একটি অমৃত আছে, যে অমৃতে আমার প্রেমাম্পদ আমার কাছে এমন চিরন্তন সত্য- সেক্ট অমৃত কি সেই অনন্ত প্রেমের মধ্যে নেই ? তার সেই অনন্ত প্রেমের স্বধায় আমরা কি অমর হয়ে উঠিনি ? যেখানে তার আনন্দ সেইখানেই কি অমৃত নেন্ত ? প্রিয়জনেরই মৃত্যুর পরে প্রেমের আলোকে আমরা এই অনন্ত অমৃতলোককে আবিষ্কার করে থাকি। সেই ত আমাদের শ্রদ্ধার দিন,—সত্যের প্রতি শ্রদ্ধা, অমৃতের প্রতি শ্রদ্ধা। শ্রাদ্ধের দিনে আমরা মৃত্যুর সম্মুখে দাড়িয়ে অমৃতের প্রতি সেই শ্রদ্ধা নিবেদন করি ; আমরা বলি, মাকে দেখচিনে কিন্তু ম আছেন। চোখে দেখে ভাতে ছয়ে যখন বলি মা আছেন তখন সে ত শ্রদ্ধা নয়—আমার