পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8 o শুক্র ও বুধ-গ্ৰহ পুথিবীর এত নিকটে থাকা সত্ত্বেও প্রাচীন জ্যোতিষীদিগের মধ্যে কেহই ইতাদের আবৰ্ত্তন কাল নিরূপণ করিতে পারেন নাই । সিয়াপেরেলি বহু বৎসর ধরিয়া গ্রহদ্বয়কে পর্য্যবেক্ষণ কfরয় ইছাদের গতিবিধি আবিষ্কার করিয়াছিলেন ; সেই পৰ্য্যবেক্ষণের ফলকে আজও সকলে সত্য বলিয়৷ স্বীকার করিতেছেন । আমাদের চন্দ্র যেমন পৃথিবীকে ঘুরিয়া আসিবার সময় নিজে একবার ঘুরপাক খায়, বুধগ্রহ সেই প্রকারে স্বৰ্য্য প্রদক্ষিণকালে যে একবার মাত্র পূর্ণবৰ্ত্তন দেয়, তাহা অধ্যাপক সিয়াপেরেলিষ্ট ১৮৮২ সালে আবিষ্কার করিয়াছিলেন । ইহার কয়েক বৎসর পরে শুক্রেরও ঐ প্রকার গতি ধরা পড়িয়াছিল। ইহা ছাড়া সিয়াপেরেলি সাহেবের আরো অনেক ক্ষুদ্র আবিষ্কার আছে । ইহাদের প্রত্যেকটিতেই আবিষ্কৰ্ত্তার অস্তুত প্রতিভার যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। একজন জ্যোতিষীর চেষ্টায় এতগুলি আবিষ্কার সুসম্পন্ন হওয়া সত্যই বিস্ময়কর। যুগল তারকার গতিবিধি পরিমাপ এবং গ্ৰহগণের অবস্থান নির্ণয় প্রভৃতি জ্যোতিষিক প্রসঙ্গেও ইহঁার অসাধারণ প্রতিভার যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায় অধ্যাপক গ্যালি (J. G. Galle) আটানববই বৎসর বয়সে পরলোক গমন করিয়া জ্যোতিধিক-সম্প্রদায়ের আর একখানি মহাসিংহাসন শুষ্ঠ করিয়াছেন। গত শতাব্দীর ক্ষুদ্র বৃহৎ অনেক জ্যোতির্ষিক আবিষ্কারের সহিত গ্যালির নাম জড়িত রহিয়াছে। ১৮৪৬ সালে ইংরাজ-জ্যোতিষী আডাম্ (Adams ) এবং ফরাসী পণ্ডিত লেভেরিয়ার যখন গণিতের সাহায্যে ষ্ঠেপচুন গ্রহের অস্তিত্বের সম্ভাবন জানিতে পারিয়াছিলেন, তখন এষ্ট গ্যালি সাহেবই সৰ্ব্ব প্রথমে নুতন গ্রহটিকে চাক্ষুষ দেখিয়াছিলেন । এই স্থত্রে ইহঁার থ্যাতি ভুবনবিদিত হুইয়া পড়িয়াছিল। তারপর শনি-গ্রহের ভিতরকার বলয়টি একক তাহারি চেষ্টায় আবিষ্কৃত হইয়া পড়িলে, গ্যালির প্রতিভার পূজা আরম্ভ হইয়াছিল। অলৌকিক প্রতিভা-জ্যোতিঃতে উনিই বার্লিন মানমন্দিরকে জ্যোতিষীদিগের এক মহাতীৰ্থ করিয়া তুলিয়াছিলেন। রয়াল আইনমিকাল সোসাইটি প্রভৃতি জ্যোতিষী পরিষদের বহু সন্মান অজস্র ধারায় তাহার উপর বর্ষিত इहे ब्रांझिल । প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড ক্ষুদ্র গ্রহের (Asteroids) গতিবিধি পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া সূর্য্যের লম্বন (Parallax) নির্ণয়ের যে পদ্ধতিটি প্রচলিত আছে, অধ্যাপক গ্যালিই তাহার আবিষ্কারক। তাছাড়া বহু ধুমকেতুর কক্ষ নিরূপণ করিয়া ইনি যে সারণী প্রস্তুত করিয়াছিলেন, তাহ অনেকদিন ধরিয়া জ্যোতিষীদিগের গণনার সহায় হইয়াছিল । ৮৫ বৎসর বয়সেও গ্যালি সাহেবকে জ্যোতির্ষিক পর্য্যবেক্ষণে অবিরাম শ্রম করিতে দেখা যাক্টত। জীবনের শেষ অংশটা বিশ্রামে কাটাইবার উদ্দেশ্রেী ইনি গত ১৮৯৭ সালে কৰ্ম্মক্ষেত্র হইতে অবসর গ্রহণ করিয়াছিলেন । সেই সময় হইতে মৃত্যুকাল পর্য্যন্ত পটল্ডামের নিভৃত পল্লীনিবাসটিকে তিনি এক দিনের জন্স ত্যাগ করেন নাই । ঋষিপ্রতিম গ্যালি সাহেবের সেই পুণ্য আশ্রম আজ মৃত্যুর স্পশে শূন্ত হইয়াছে। ৩ । আবিষ্কার সমাচার •, ৩, ৬, ১২, ২৪, ৪৮, ৯৬ এই সংখ্যাগুলির মধ্যে বেশ একটা শৃঙ্খলা আছে। ছয় তিনের দ্বিগুণ, বারে আবার ছয়ের দ্বিগুণ ইত্যাদি। কাজেই শূন্তকে ছাড়িয়া দিলে, প্রত্যেক রাশিকে পূৰ্ব্ববৰ্ত্তা রাশির দ্বিগুণ দেখা যায়। এখন প্রত্যেকের সহিত যদি চার যোগ করা যায়, তবে সংখ্যাগুলি ৪, ৭, ১০, ১৬, ২৮, ৫৯ এবং ১• • হইয়া দাড়ায়। বড় আশ্চর্য্যের বিষয় স্বৰ্য্য হইতে গ্রহগুলির দূরত্বের অনুপাত প্রায়, ৪, ৭, ১০ ইত্যাদির অনুরূপ। অর্থাৎ স্বৰ্য্য হইতে বুধের দূরত্ব যদি ৪ হয়, তবে শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনির দূরত্ব ঐ অনুপাতে যথাক্রমে ৭, ১০, ১৬, ৫২, এবং ১ • • হইয়া পড়ে । কিন্তু আটাশের স্থানে কোন গ্রহ খুজিয়া পাওয়া যায় না। গ্ৰহগণের দূরত্বের এই অদ্ভুত সম্বন্ধটি জ্যোতিষী টিটিয়স আবিষ্কার করিয়াছিলেন। জ্যোতিঃশাস্ত্রে ইহাই বোডের fstan (Bode's Law) afval zifrw 1 ইউরেনসের আবিষ্কার হইলে, তাহাকেও বোডের निग्नम मानिन्त्र कृणिहङ cझथा ब्रिश्णि । किरू भत्रण ७ বৃহস্পতির ক্ষেত্রের মধ্যকার সেই আটাশের ঘরে কোন গ্রহের সন্ধান না পাইলা প্রাচীন জ্যোতিষিগণ বিস্মিত