পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য়ু সংখ্যা কিন্তু এ সবই তো ফ্র্যাঙ্কের দোষ । যখন ইভার সহিত একবার বিচ্ছেদ কইয়া গেছে তখন কেন - কেন আবার তাঙ্গার চিস্ত ? রমণী-প্রেমই কি সৰ্ব্বস্ব ? বন্ধুত্বের মধ্যে কি সুখ নাই ? সেই সুখটুকু লইয়াই ফ্র্যাঙ্ক কেন তৃপ্ত নন ? সে তো ফ্র্যাঙ্কেরই দোষ । সে কী আনন্দ, তুষ্ট বন্ধুতে একসঙ্গে বাস, ভ্রাতৃত্বের বেষ্টনে, স্নেচের বন্ধনে, হর্ষ শোকের সন্তাষ্ট্রভৃতির আকর্ষণে এক প্রাণ এক মন— এক বৃন্তে দুটি ফুলের মতো হইয়া থাকা — সে কী পবিত্র আনন্দ । ইহার মধ্যে রমণীর কুটিলতা, স্বার্থের কলুষতা, পার্থিব প্রেমের পঙ্কিলত নাই ;–প্রভাত-পুষ্পেব মতো এ প্রেম শুভ্ৰ নিৰ্ম্মল উজ্জ্বল সরল । তিনি ফ্র্যাঙ্ককে এই প্রেমেরই বন্ধনে আবদ্ধ করিয়া তাহাকে চিরস্থগী করিবার চেষ্টা করিতেছেন, তাহাকে রমণীপ্রেমের কুটিল মোহ হইতে রক্ষা করিতেছেন—বন্ধুর কর্তব্য করিতেছেন ; ইঙ্গ সাধনের জন্ত যদি কোনো অসৎ পথ গ্রহণ করিয়া থাকেন তো সে ধর্তব্যই নহে, কারণ তাহার উদ্দেশু মহৎ, তাঙ্গার কাজের পরিণাম শুভ । এই সব কথা বলিয়া বাটি নিজের মনকে বুঝাইত, এই বলিয়া সে তাহার ক্লত গঠিত কৰ্ম্মের সমর্থন করিয়া যাইত, বিবেকবুদ্ধির দংশনে যখন অস্তির হইয়া উঠিত তখন এই স্তোক লাক্যেরই প্রলেপ দিয়া জালা জুড়াইবার চেষ্টা করিত। দিবারাত্রি পাপের পঙ্কিলতার মধ্যে থাকিয়! একটা উচ্চ আদর্শের জন্ত যখন তাহার প্রাণে ব্যাকুলত জাগিত তখন সে ইহাকেই আদর্শ পথ বলিয়া মনকে স্বীকার করাষ্টত ! মনে মনে যদিও সে বার বার জোরের সহিত বলিত –এ ফ্র্যাঙ্কের দোষ, তবুও কিন্তু মন হইতে সন্দেহ উঠিত— সত্যই কি এ ফ্র্যাঙ্কের দোষ! সে ইভাকে ভুলিতে পারেন, সে কি তাহার দোষ ? না ! না! এ দৈবের লীলা ! দোষ কাতারো নয় । এ ঘটনাচক্রের খেলা ! বাটি তখন মনকে বুঝাইত – “হঁ, এই ঠিক কথা—এ ঘটনা চক্রেরই লীলা ! কিন্তু সবষ্ট যদি দৈবের খেলা তবে কেন আমাদের এ বুদ্ধি, বিচার-শক্তি ? যদি স্বাধীনভাবে লিs rকিহব সমর্থ আমাদের নাই তবে কেন আছে_ ংকলন ও সমালোচন-—ভাগ্যচক্র > (?○ আমাদের ব্যথা বোধ করিবার শক্তি ? আমরা তো গাছ কি পাথর হক্টলেই পারিতাম !” বাট এই সব বিপুল রচন্তের সম্মুখে দাড়াষ্টয়া ভাবিতে ভাবিতে আত্মতার চষ্টয়া যাষ্টত—হঠাৎ চমক ভাঙিয়া বিস্মিত কষ্টয়া পড়িত। তাঙ্গাব এ কী পরিবর্তন ! কোথা সে এসব চিন্তা করিতে শিথিল ? আমেরিকায় যখন সে মুঠা অল্পের জন্ত লালায়িত হইয়া হুঃ তে কথ! ঘুরিয়া বেড়াইত তখন কি কখনো এসব চিন্তা মনে স্থান পাষ্টয়াছে ? সে তখন শুধু বৃকিত থাও, দাণ, মজা কর ব্যস্ ! এখন আরাম ও পিরামের ক্রোড়ে থাকিয়া তাহাব দেহের স্নায় যেন বেশমের মতে সূক্ষ স্থতায় তৈরি হষ্টয়া উঠিতেছে—তাওয়াব মতে সামান্ত একটু ভাবের আঘাতে তাঙ্ক এখন স্পন্দিত চষ্টয় উঠে ! কোথা হইতে সে শিথিল এ সব তত্ত্বের কথা ? সে বিস্মিত হইয়া নিজের বাল্যজীবন অনুসন্ধান কবিত—কাঙ্গবো শিক্ষায়, কোনো কেতাব হইতে সে কি এসব তত্ত্বের বীজ শিশুকালে সংগ্ৰহ করিয়াছিল ? তা তো নয় !—তবে কোথা হইতে পাইল ? পিতা মাতার চরিত্র হইতে ? বাল্যকালের কথা, পিত মাতার কথা ভাবিতে ভাবিতে চোখের সামনে জাগিয়া উঠিত সে কী দৃশু ! স্নেহবেষ্টিত নীড়ের মধ্যে নির্ভয়ে নির্ভাবনায় উন্মুক্ত আনন্দের জীবন । চায় সে কী সুখের দিন । সে কি সতাই সৰ্থেব দিন, না, দুরের সামগ্ৰী বলিয়া সুন্দর দেখায় ? পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ আরো কয়েকদিন জীবন্মতভাবে অপেক্ষা করিয়া ফ্র্যাঙ্ক যখন ইভার নিকট হইতে কোনো পত্র পাষ্টলেন না তখন তিনি আর্চিবল্ডকে একখানি চিঠি লিখিলেন । কিন্তু তাহারও কোনো উত্তর আসিল না । তখন র্তাহার সমস্ত হৃদয়ের দুঃপ অভিমান উথলিয়া উঠিল—তিনি বার্টির কাছে সাশ্রনয়নে তুমুযোগের সহিত সেই দুঃখ প্রকাশ করিতে লাগিলেন । আরো কিছু দিন গেল তখন আর র্তাছার অভিমান রচিলনা, ইভার অসৎ ব্যবহারে তিনি উন্মত্ত পশুর মতে ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিলেন। তিন তিন বার তিনি ক্ষম ভিক্ষা করিয়া পত্র দিয়াছেন—ইহাষ্ট সামান্ত