পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२% अ५६NT সেই ধরণের ঠেলা-গাড়ীর একটি ফ্রেম এক কোণে রছিয়াছে। সন্ন্যাসীর উপবেশন করিলেন, তাছাদের প্রার্থন শোনা যাইতেছে—কিন্তু মৃতের জন্ত সাধারণত যে সকল প্রার্থন হইয়া থাকে এ ত সে প্রার্থনা নহে—এগুলি নিৰ্ব্বাণের গৌরব, উজ্জল জীবন এবং আলোক সম্বন্ধে! তাহারা উঠিয় তাহাকে বিদায় সম্ভাষণ করিতেছেন, বাহির হইয়া আসিয়া তাহারা দরজা বন্ধ করিয়া দিলেন। এখন সে একাকী—এখন হইতে আর কখনও নিজের কণ্ঠস্বর ছাড়া আর কোনও মানুষের কণ্ঠস্বর তাহার কর্ণগোচর হইবে না, তিনি যখন প্রার্থনা উচ্চারণ করিবেন তখন তাহ শুনিবার জন্ত আর দ্বিতীয় কেহ সেখানে উপস্থিত থাকিবে না । সকলে যথন চলিয়া গেল এবং দরজা শেষবারের জন্য বন্ধ করিবার সময়---( সে দরজা তিনি শবে পরিণত ন হইলে আর খুলিবে না )—মুহুর্তের জন্য যে গম্ভীর শব্দ উঠিয়ছিল তাহার প্রতিধ্বনি যখন দূরে মিলাইয়া গেল, তখন তাহার মনে কি ভাবের উদয় হইতেছিল কে জানে । —হয় ত ফ্রডিং যাহা কবিতায় ব্যক্ত করিয়া গিয়াছেন সেই ভাবেরই কিছু তাহার মনে আসিয়াছিল— “যে সকল বন্ধনে আত্মার পক্ষকে এই জীবনের সঙ্গে বাধিয়া রাখিয়াছে, আত্মা এখানে সে সমস্ত বন্ধন হইতে নিজকে ছিন্ন করিয়া লইল—ওপারের অন্ধকারের ভিতর সেই চিরবিস্তৃতির দেশে যাত্রা, এখান হইতেই আরম্ভ झहेण !” গুরুভার বৃহৎ পাথরগুলিকে ভ্রাতৃগণ উত্তোলকদণ্ডের সাহায্যে দরজার উপর গড়াইয়া আনিয়া স্তরে স্তরে সাজইক্ষ রাখিতেছিল-সেই স্তরের মধ্যে যে অবকাশ থাকিয়া যাইতেছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপলথও দিয় তাহ পূর্ণ করিয়া দিতেছেন—এ শব্দ তাহার কানে আসিয়া পৌছিতেছিল। এখনও সমস্ত একবারে অন্ধকার হইয়া যায় নাই—দরজার ফাক দিয়া উপরের দিকে অল্প অল্প স্বৰ্য্যালোক এখনও দেখা যাইতেছে ! কিন্তু বাহিরের দেয়াল ক্রমশঃ উচ্চ হইতে উচ্চতর হইতেছে। অবশেষে একটিমাত্র ক্ষুদ্র ছিদ্র अबलिडे ब्रश्णि-हेशम्र छिउब्र निम्न शृशींन्न ८लय किञ्चण সেই সমাধির মধ্যে এখনও প্রবেশ করিতেছে। অকস্মাৎ দারুণ নিরাশ আসিয়া কি তাছাকে আক্রমণ সংকলন ও সমালোচন—সংরুদ্ধ সন্ন্যাসী ᎼᏬᏱ করিল ? সে কি লাফাষ্টয়া উঠিয়া, দরজার উপর নিজের হাত ছুড়িয়া ফেলিয়া আর একটু পরেই তাহার চক্ষুর উপর হইতে চিরদিনের জন্ত অপসারিত হইয়া যাইবে যে স্বর্য্য-- তাহার একটু শেষ আভাস পাইবার জন্ত ব্যাকুল হইয়া উঠে নাই ? কিন্তু সে কথা ত কেহ জানে না—সে কথা কেহ কখন জানিবেও না । যে সন্ন্যাসীরা সেখানে উপস্থিত থাকিয় দেয়াল বন্ধ করিয়া দিতে সহায়তা করিয়াছিলেন, তাহারাও এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না । কিন্তু সে বেচারি মানুষমাত্র, সে ত দেখিতে পাইতেছিল উপরের যে রন্ধ পথে একটি মাত্র শেষ আলোকরশ্মি ভিতরে আসিতেছিল একটি পাথরের টালিকে কি করিয়া সেখানে খাজে খাজে বসান হইল ; তাহার পর এখন তাহার সম্মুখে প্রগাঢ় অন্ধকার ! যে দিকেই ফিরুক না কেন তাহার চতুদিকেই অভেদ্য অন্ধকার ! সে মনে করিতেছে অম্লান্ত যতিগণ এতক্ষণ সামদেপুক ও লিঙ্গতে ফিরিয়া গেছেন। কেমন করিয়া সে তাহার সন্ধ্যাটি কাটাইবে ?—এখনই তাড়াতাড়ি শাস্ত্রগ্রন্থ অধ্যয়নের কোন প্রয়োজন নাই--তাহার জন্ত প্রচুর সময় আছে, হয় ত চল্লিশ বৎসর ! সে মাছুরের উপর বসিয়া পড়িয়াছে তাহার মাথাটি ধীরে ধীরে দেয়ালের উপর ঝুঁকিয় জুলিতেছে। গত জীবনের খুঁটিনাটি সব কথা অত্যন্ত সুস্পষ্ট আকারে তাহার মনে জাগিয়া উঠিতেছে । সুকঠিন প্রস্তরে ক্ষোদিত স্ববৃহৎ অক্ষরে “ওঁ মণি পয়ে হ” তাহার মনে পড়িতেছে—অৰ্দ্ধস্বপ্নবিষ্ট ভাবে সে এই পুণ্যকথাগুলি উচ্চারণ করিতেছে—“পদ্মের মধ্যে তুমি যে মণি, তোমাকে নমস্কার!” কিন্তু শুধু একটি ক্ষীণ প্রতিধ্বনি সে মন্ত্রের সায় দেয় । সে একটু অপেক্ষা করে, আবার শব্দ শুনিবার জন্ত উৎকর্ণ হইয়া থাকে, তাহার পর সে নিজের স্মৃতির স্বর শুনিতে থাকে । প্রথম রান্ত্রি আরম্ভ হষ্টয়াছে কি না জানিবার জন্ত তাহার কৌতুহল হয়— কিন্তু বাহিরের অন্ধকার—তাহার সমাধির ভিতরে ষে অন্ধকার রহিয়াছে, তাহা অপেক্ষা গাঢ়তর কিছুতেই হইতে পারে না।—অস্তরের বেদনায় অভিভূত হষ্টয়া সে শ্রাত্ত অবসর দেহে ঘরের এক কোণে ঘুমাইয় পড়ে। ঘুম ভাঙ্গিয় গেলে নিজকে তাহার ক্ষুধিত বলির মনে