পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> १२ કરું 5ांाशंज সোরার অভিধানেও যবক্ষারের ঐ অর্থ প্রদত্ত হইয়াছে । অর্থ অস্ত্রযায়ী নাইট্রোজেন (nitrogen) নামক বাঙ্গালায় যবক্ষারজান নামে অভিহিত হইয়াছে। বৈজ্ঞানিক নাম নাইট্রেট অব পটাশ (nitrate of potash) এবং যব হইতে প্ৰস্তুত যবক্ষার, কার্বনেট অব পটfশ-দুষ্ট দ্রব্য সম্পূর্ণ বিভিন্ন । রাসায়নিক বিশ্লেষণ---ভিন্ন ভিন্ন কপিরাজী দোকান পবে পরীক্ষায় জানা গেল যে কবিরাজ মহাশয়েরা যে দ্রব্য যবক্ষার বলিয়া ব্যবহার করেন, তাছা নাইট্রেট অব পটাশও নঙ্গে কাৰ্ব্বনেট অব পটাশও নহে । প্রথম নমুনা । কলিকাতার কোন বিখ্যাল কবিরাজী দোকান হইতে ক্রীত। ইঙ্গ সলফেট অব পটাশ (Sulphate of potash) ane Grizfềg zrā vēr* (Chloride of potash)-s: দুষ্ট দ্রব্যের সংমিশ্রণ। সালফেটের ভাগই বেশী, ক্লোরাইডের ভাগ অনেক কম । কাৰ্ব্বনেট নাই । দ্বিতীয় নমুনা । কলিকাতার আর একটি বিখ্যাত কবিরাজী দোকান হইতে ক্রীত। ইক্তাও উপরোক্ত দুইটি দ্রব্যের সংমিশ্রণ । ও বাজার কক্টতে যলক্ষীর ক্রয় করা হয় । তৃতীয় নমনা । কলিকাতার সিমলা বাজারের কোন বেণের দোকান হষ্টতে । ইহণও উপরোক্ত দুইটি দ্রব্যের সংমিশ্রণ। ইঙ্গতে ক্লোরাষ্টডের ভাগ খুব কম। দেখিতে শাদা ডেলার মত । উপরোক্ত রাসায়নিক বিশ্লেষণ হইতে দেখা যাইতেছে যে আজকাল বাজারে এবং কবিরাজ মহাশয়দের দোকানে যাহা যবক্ষার বলিয়া ব্যবহৃত হয়, তাহা কাৰ্ব্বনেট নহে, সলফেট ও ক্লোরাষ্টডের সংমিশ্রণ। ক্লোরাষ্টড অব পটাশ হইতে সালফিউরিক এসিডের সংযোগে চাইড্রোক্লোরিক এসিড প্রস্তুত করিবার পর যে দ্রব্য পড়িয়া থাকে, তাহাই যবক্ষার বলিয়া ব্যবহৃত হইতেছে। এখন বুঝা যাইতেছে কেন কবিরাজ মহাশয়ের যবক্ষণরের দ্বারা হরিতালাভস্ম প্রেস্তুত করিতে সক্ষম নহেন । কাৰ্ব্বনেট অব পটাশ হরিতালের সহিত রাসায়নিক ভাবে ংযুক্ত হয়, সলফেড বা ক্লোরাইড অব পটাশ হয় না। প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ Y o it ভাগ, ২য় খণ্ড সেইজন্ত কাৰ্ব্বনেট না ব্যবহার করিয়া সলফেট বা ক্লোরাষ্টডের সহিত হরিতাল উত্তপ্ত করিয়লে হরিতলি বাষ্পাকারে উড়িয়া যাইবে । যব ভিন্ন আরও অনেক স্থলজ বৃক্ষ পোড়াইয় তাহার ক্ষার ব্যবহৃত হঠত । অধিকাংশ স্থলজ বৃক্ষ পোড়াইলে অবিশুদ্ধ পোটাসিয়াম কাৰ্ব্বনেট পাওয়া যায়। অনেকেই জানেন যে কদলীবৃক্ষ পোড়াইয়া যে ক্ষার পাওয়া যায়, তাহা এখনও পর্য্যন্ত বস্ত্রাদি ধৌত করিবার জন্ত ব্যবহৃত হইয়৷ থাকে স্বশ্ৰতে নিম্নলিখিত বৃক্ষলতা পোড়াইয় ক্ষার প্রস্তুত করিবার ব্যবস্থা দিয়াছেনx -ঘণ্টাপারুল, কুড়চি, অশ্বকৰ্ণ (লতাশাল বৃক্ষ ), পরিভদ্রক ( পালিদ মান্দার ), বঙ্গেড়, সোন্দাল, তিহুক ( লেtধবৃক্ষ ), আকন্দ, মনসাসাঁজ, আপাং, পারুল, ডক্তরকরঞ্জ, বাকস, কদলী, রক্তচিত, নাটাকরঞ্জ, ইন্দ্রবৃক্ষ ( কুটজ বিশেষ), আস্ফোত ( অনস্তমূল ), অশ্বমারক ( করব ), ছাতিম, গনিয়ারী, কুঁচ, এবং ঘোষাবৃক্ষ। যে সকল দেশে (যথা কেনেড, উত্তর আমেরিকা, মোরেভিয়া, দক্ষিণ রুষিয়া, হঙ্গারী ইত্যাদি) স্থলজবৃক্ষ প্রচুর পরিমাণে জন্মিয়া থাকে সেই সকল দেশে এখনও পর্য্যস্ত বৃক্ষাদি দগ্ধ করিয়া তাহণদের ভস্ম হইতে কাৰ্ব্বনেট অল পটাশ প্রস্তুত হয় + । সর্জি কাক্ষার । যেমন স্থলজ বৃক্ষলতাদি দগ্ধ করিয়া তাহীদের ভস্ম হইতে কাৰ্ব্বনেট অব পটাশ পাওয়া যায়, সেইরূপ জলজ এবং সমুদ্রতীরজাত বৃক্ষলতাদি দগ্ধ করিয়া তাহদের ভষ্ম হইতে কাৰ্ব্বনেট অব Cat5 (carbonate of soda) প্রাপ্ত হওয়া যায়। মিশরদেশে অতি প্রাচীনকাল হইতে এই সেড বা ট্রোন (Trona) সাবান ও র্কাচ প্রস্তুত করিবার জন্ত ব্যবহৃত হইত। ভারতেও ইহা প্রাচীনকাল হইতে প্রচলিত ছিল, চরক ও স্বশ্ৰুতে ইহার উল্লেখ আছে । বাজারে সাজিমাট বলিয়া যাহা বিক্রয় হয়, তাহা মৃত্তিকামিশ্রিত কাৰ্ব্বনেট অব সোডা । পঞ্জাব ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কোন কোন লবণাক্ত মৃক্তিকার উপর এক প্রকার সামুদ্রিক লতা জন্মায়, তাক দগ্ধ করিয়া ® • স্বজতে চিকিৎসিত স্থান ক্ষীরপাকৰিৰ। f Roscoe and Schorlemmer: Vol.II, Pe 92.