পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ミ প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩১৭ ঔষধ চিনিয়া আনিতে না পারায় হিমালয়ের এক পৰ্ব্বতখণ্ডই ভাঙ্গিয়া আনিয়াছিল। রাবণকোটা সেই পৰ্ব্বতাংশ। ইহার দক্ষিণে মাতরম্ নামক স্থানে কালিদাসের মৃত্যু হইয়াছিল বলিয়া প্রপাদ আছে। রত্নপুরের নিকটে সীতাবন নামে এক নিবিড় অরণ্য আছে। এখানকার লোকের আতিথ্য অতুলনীয়। প্রকাও প্রকাগু অট্টালিকা অতিথিদের জন্য নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। সেখানে ভূতাদের নিকট বহু অর্থ দেওয়া থাকে, অতিথিদের যাহা ইচ্ছা চাহিলেই পাইয় থাকেন। নারিকেল অতি প্রসিদ্ধ, বিশেষতঃ লাল নারিকেল। ইহাকে সৰ্ব্বরোগ হর বলা যায় । গলে মহেন্দ্র কলেজের ইউরোপীয় প্রিন্সিপাল বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী। সেখানে ভারতীয়ের, বিশেষতঃ বাঙ্গালীর, আদর খুব বেশী। কোন বাঙ্গালীর আগমন-সংবাদ পাইলে শত শত লোক র্তাহাকে দেখিতে আসে । সিংস্কলের অধিবাসীদের মধ্যে তিন প্রকারের লোক দেখিতে পাওয়া যায় । (১) যক্ষ, রক্ষ ও নাগগণের বংশধর । ইহাদিগকে বেদা বা ব্যtধ বলে । ইহাদের সংখ্য: ক্রমে কমিতেছে । হয়ত অল্প দিনের মধ্যে এই জাতির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হইবে । (২) বাঙ্গালী সেনাপতি বিজয়সিংহের সন্তানসস্ততি । ইহারাই সিংহলী বৌদ্ধ । ইহাদের ভাষার তিনচতুর্থাংশ শব্দ সংস্কৃত এবং বাঙ্গালীর সহিত সম্বন্ধযুক্ত । গণের প্রভাবে ভাষায় সংস্কৃতের প্রভাব ক্রমে বাড়িতেছে। বাঙ্গালীদের সছিত এই জাতির আকৃতিগত সাদৃশুও লক্ষিত হয় । আচার ব্যবহার ও অনেক মিলে । অন্নাহারেও ইহারা বাঙ্গালীকে অমুকরণ করে। (৩) তামিল। ইহাদের পূৰ্ব্বপুরুষগণ দাক্ষিণাত্য হইতে লঙ্কায় গিয়াছে। তামিলরা শৈব । ইহাদের মধ্যে ব্রাহ্মণগণ খুব নিষ্ঠাবান। পৌরোহিত্য ইহাদের উপজীবিকা । বক্ষণ ভিন্ন ক্ষত্রিয় ও বৈশুও আছেন । র্তাহাদের মধ্যে পাশ্চাত্যপ্রভাব বিশেষভাবে প্রবেশ করিয়াছে । কিন্তু ইউরোপ-প্রত্যাগত তামিলগণও গায়ে ভষ্ম মাখিয়া থাকেন ও পরিচ্ছদে জাতীয়তা বজায় রাখেন । roofs [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড প্রায় ছয়মাস পরে আমরা লঙ্কা হইতে বিদায় লই । আসিবার সময় সঙ্গজপথে কোষ্ট্রলাইন ষ্টীমারে রামেশ্বর দিয়া আসিয়াছিলাম । এক্ষণে রেলওয়ে কোম্পানী পুনৰ্ব্বার রামেশ্বর হইতে লঙ্কা পৰ্য্যন্ত সেতুবন্ধের আয়োজন করিতেছেন। আশা করি দুষ্টএক বৎসর মধ্যেই রেল চলিবে । শ্ৰীহেমদাকান্ত চৌধুরী। মহারাষ্ট্ৰীয় নিমন্ত্রণ খুব ভোর থেকেই স্রোঁতে মঙ্গরাজের বাড়ী সানাইয়ের বাজনা বাজতে আরম্ভ হয়েছে। এ সানাইট আমাদের অনেক দিনের পরিচিত। প্রায় পাচ৭ৎসর ধরে যেখানে “হলদিকুঙ্কুম” “পানশুপাঢ়ি” “দোলনায় ডালা” “গৌরীপুজা” “গণেশপূজা” আর যতকিছুর নিমন্ত্রণ হয়েছে, নিমন্ত্রণবাড়ীতে গিয়েই ঐ সানাইয়ের ধ্বনি শুনেছি, আর তখনই বুঝেছি সেই চেনা-শোনা মুরট ছাড়া আর কোন মুর নয় । আমাদের এই বিখ্যাত সানাই ওয়ালাট ছাড়া সহরে আর কোন বাদ্যকর অাছে কিনা সে বিষয়েও আমার সন্দেহ হয়েছিল । যাহোকৃ, বিছানায় গুয়ে সেই একঘেয়ে স্বর শুনতে শুনতে তন্দ্রাট যখন বেশ ভাল করে ভেঙ্গে গেল, তখন মনে পড়লো, আজক্ট স্রেীতে মহারাজের জ্যেষ্ঠপুত্র গবাইয়ের মুঞ্জিবন্ধন অর্থাৎ যজ্ঞোপবীত ধারণ। স্রেীতে মঙ্গরাষ্ট্রব্রাহ্মণ, তার সম্পূর্ণ নাম আত্মারাম বলবন্ত শ্রেীতে, ‘মহারাজ উপাধিট—ব্রাহ্মণত্ব বাচক । বেচার কলেজে ছেলে পড়িয়ে দেড়শত টাকা মার্কিন পায়, তাইতেই তা’কে অনেক পরিবার প্রতিপালন করতে হয়। রাজ্য তো দুরের কথা—এককাঠা জমীও তা’র দখলে নাই। অথচ বেশ নিৰ্ব্বিবাদে ‘মহারাজ” উপাধিটা ভোগ দখল করে” আসছে, এজন্য কোন হসপিটাল অথবা মেমোরিয়াল ফণ্ডেও কিছু দান খয়রাত করতে হয়নি। শ্ৰেীতের বাড়ীট আমাদের বাড়ীর ঠিকৃ একখানা বাড়ীর পরে । চারচাল, দোচাল ও বাংলা ঘরের চালে চালে জোড়া লেগে অনেকদূর পর্য্যস্ত সৈন্তনিবাসের মত