পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্য। ] ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS খান চটি বই ছাপাইয়া প্রচার করিলেন । কেশবচন্দ্রের এই রকম ও অন্য প্রকার চেষ্টায় বিস্তর লোকের মন যে ধৰ্ম্মের দিকে ফিরিয়াছিল, তাহাতে আর সন্দেহ নাই। সকলেই জানেন, এদেশের যুবকগণ যাহাতে সরল, সচ্চরিত্র, সত্যনিষ্ঠ, কর্তব্যপরায়ণ ও ধাৰ্ম্মিক হয়, সেজন্ত ব্ৰাহ্মসমাজ নানা রকম চেষ্টা করিয়াছেন। ব্রাহ্মসমাজের সেই চেষ্টায় দেশের দুর্নীতির দূষিত বাষ্প যে অনেক পরিমাণে দূরীভূত হইয়াছে, তাহ আর কে অস্বীকার করিবে ? কিন্তু এই চেষ্টার মূলে র্যাঙ্গর ছিলেন, কেশবচন্দ্রই তাঙ্গাদের মধ্যে একজন প্রধান ব্যক্তি । কেশবচন্দ্র ও ব্রাহ্মসমাজের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগণ দেশের মধ্যে বিবেকের মাহাত্ম্য প্রচার করিলেন । র্তাহারা বলিলেন, প্রত্যেক মানুষের অন্তরে লিবেক বা ধৰ্ম্মবুদ্ধি আছে । অন্তর্যামী ঈশ্বর সেই বিবেকের ভিতর দিয়া র্তাহার দ্যায়-আদেশ, অথবা ধৰ্ম্মবুদ্ধির ভিতর দিয়া তাহার শুভইচ্ছা আমাদিগকে জ্ঞাপন করেন ; সভ্যতা কি, অসত্য কি, পাপ কি, পুণ্য কি, দ্যায় কি, অন্তায় কি, এবং আমাদের কর্তব্য কি, তাহা স্বয়ং ঈশ্বর বিবেকের মধ্য দিয়াই আমাদিগকে বলিয়া দেন। অতএব কাণ পাতিয়া বিবেকের বাণী শুনিতে হইবে এবং তদনুসারে ইচ্ছা নিয়মিত ও জীবন গঠন করিয়া তুলিতে হইবে। কেশবচন্দ্র আপনার উন্নত জীবনের প্রভাবে এই বিবেকের কথা যুবকদিগের হৃদয়ে অঙ্কিত করিয়া দিয়াছিলেন। এমন এক সময় ছিল, যখন নব্য যুবকগণ প্রাণপণ করিয়া বিবেকের আদেশ পালন করিতেন । র্তাহার কথায় কথায় বলিতেন, যাঙ্গ অসত্য, যাহা বিশ্বাস করি না, যাহা পাপ, তাহ কেমন করিয়া করিব ? বিবেক যে তাহা করিতে বাধা দেয়। আমরা কি বিবেকবাণী অগ্রাহ করিতে পারি ? তখন পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী, স্বৰ্গীয় আনন্দমোহন বস্থ প্রভৃতি যুবক ছিলেন ; তাহার বিবেকের দোহাই দিয়া এই কবিতা আবৃত্তি করিতেন — “কৰ্ত্তব্য বুধিৰ যাহ নিৰ্ভয়ে করিব তাঁহা, शांब्र शां'क थांएक थांक थन थॉ१ भांन, সত্যকে ধরিয়া রব পৰ্ব্বতসমান।” পূৰ্ব্বে কেশবচন্দ্রের বিষয়কৰ্ম্মের কথা লিখিয়াছি। মহাত্মা কেশবচন্দ্রের কৰ্ম্মযোগ రిషి করিয়াছেন, তাঙ্গাকে কে বিষয়কৰ্ম্মে বাধিয়া রাখিবে ? সাহেব তাঙ্গার আকার রক্ষা দিলেন ; সময়ে যে তিনি আপিসের বড় বাবু হইবেন, সে কথাও বুঝিতে বাকী রহিল না ; তবু কেশবচন্দ্র চাকুরী ত্যাগ করিয়া আপনাকে ঈশ্বরের কার্য্যে অর্পণ করিলেন । অগ্রে যুবকদিগের দুৰ্গতি দেখিয়া তাঙ্গার প্রাণ র্কাদিয়া উঠিয়াছিল ; এই ধার স্ত্রীলোকদিগের দুঃখ অপহ হইল। তিনি নারীজাতির উন্নতির জন্ত সংকল্প গ্রহণ করিলেন। ১৮৬৩ সালে তাঙ্কারই উদ্যোগে “ব্রাহ্মবন্ধু-স ভা” স্থাপিত হইল । সভ্যগণ কেশবচন্দ্রের উৎসাহে উৎসাহিত হইয়া উঠিলেন । ইহার দেশের উন্নতির জন্য নানা কার্য্যে প্রবৃত্ত হইলেন । কেশবচন্দ্র ইঙ্গাদিগকে লইয়া স্ত্রীজাতির মুশিক্ষা ও উন্নতির জন্ত বিশেষ চেষ্টা করিতে লাগিলেন। ইষ্ঠার পর কেশবচন্দ্র নারীদিগের ধৰ্ম্মোন্নতির জন্ত ব্রান্ধিকাসমাজ স্থাপন করিলেন ; তিনি স্বয়ং এই ব্রান্ধিকাসমাজের মহিলাদিগকে ধৰ্ম্ম শিক্ষা দিতেন। উক্ত সমাজের বার্ষিক রিপোটে লেখ! আছে—- "স্ত্রীলোকদিগের দুরবস্থা দূরীকরণ জছ গত বর্ষে ব্রান্ধিকাসমাজ সংস্থাপিত হইয়াছে। সেখানে কতকগুলি ব্রাক্ষিক একত্র হইয়া উপসন করেন এবং প্রচারক বাবু কেশবচন্দ্র সেন মহাশয়ের নিকট উপদেশ শ্রবণ করেন। একটি ভদ্রবংশীয় ইউরোপীয় মহিলা এখানে ভূগোল, অঙ্কবিদ্যা ও শিল্পবিষয়ে শিক্ষাদান করিয়া থাকেন।” ১৮৬৬ সালে কেশবচন্দ্র মহিলাদিগের স্বাধীনতার পথ মুক্ত করিয়া দিলেন। ইহার পূৰ্ব্বেষ্ট তিনি আপনার তরুণবয়স্ক স্ত্রীকে লইয়া মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের গৃহে গমন করেন ও সস্ত্রীক উপাসনায় যোগ দেন। তাহার অভি ভাবকগণ এই ঘটনাটিকে একটা ভয়ানক ব্যাপার বলিয়৷ মনে করিয়াছিলেন । এজন্য কেশবচন্দ্রকে তাহারা বর্জন করেন। কেশবচন্দ্র ও তাঙ্গার পত্নী গৃহ হইতে তাড়িত হইয়া অনেক দিন দেবেন্দ্রনাথের পরিবারে বাস করিয়াছিলেন। কিন্তু তখনও মহিলাগণ উপাসন-মন্দিরে যাইবার অধিকার প্রাপ্ত হন নাই । তাহার নিরাকার ঈশ্বরের অর্চনা করিতে পারবেন কি না, সেই বিষয়েই অনেকের সন্দেহ ছিল । তাহার পর কেশবচন্দ্রের চেষ্টায় আদি আপিসের উপর ওয়াল করিলেন, বেতন বাড়াইয় এই সভার