পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vol. . ՏՀ8 রণা রক্ষ গত শ্রাবণ মাসের প্রবাসীতে শ্ৰীযুত মোজাফফর আহমদ সন্দ্বীপের “পুল্লাল-বৃক্ষ ও পুন্নাল-ংৈল” সম্বন্ধে এক প্রবন্ধ লিখিয়াছেন । আমাদের বঙ্গদেশের বনে, জঙ্গলে ও বাগানে ঐ প্রকার আয়কর ও প্রয়োজনীয় অনেক রকম বৃক্ষ দেখিতে পাওয়া যায়। রণা বৃক্ষ তাঙ্গদের মধ্যে একটী । কেরোসিন তৈল প্রচলনের পূৰ্ব্বে পুৰ্ব্ব-বঙ্গের (বিশেষতঃ কুমিল্লা ও নোয়াখালির ) প্রায় প্রত্যেক পরিবারে রণার তৈলের ব্যবহার ছিল । আজকালও অনেক দুঃস্থ গৃহস্থ কেরোসিন তৈলের পরিবর্তে রণার তৈল ব্যবহার করিয়া থাকে। রণা বৃক্ষ পুৰ্ব্ব বঙ্গেই অধিক জন্মায়। ইহার পত্রগুলি গাঢ় সবুজবর্ণ এবং ৫/৬ ইঞ্চি লম্বা। পত্রের অগ্রভাগ স্বচল। এই বৃক্ষ আম, কঁঠাল প্রভৃতি বৃক্ষের দ্যায় বহু শাখা বিশিষ্ট এবং উচ্চতায়ও তাতাদেরই মত । এই গাছ জন্মাইতে লোকের অধিক ক্লেশ পাইতে হয় না । ইহা বাগানে আপনা-আপনি হঠয়া থাকে। গো, মহিষ প্রভৃতি ইহার পাতা খায় না, কাজেই চার গাছগুলি নিৰ্ব্বিঘ্নে বাড়িতে থাকে। ৬৭ বৎসরের মধ্যেই এই গাছে ফল ফলিতে আরম্ভ করে। ভাদ্র আশ্বিনে ইষ্ঠার প্রশাখা হইতে সফুল ডাটা বাহির হয়, এক একটা ডাটা প্রায় এক হস্ত পরিমাণ লম্বা হইয়া থাকে। ফুলগুলি সাদা, দেখিতে অতি সুন্দর। সেই ফুল হইতে ফল হইয়া ক্রমে বাড়িতে বাড়িতে ফাল্গুন মাসে ফল পাকা আরম্ভ হয়। ফলগুলি দেখিতে বয়ড়ার মত, কিন্তু ইহা বয়ড়া অপেক্ষাও বড় হয়। বয়ড়া মেটে বর্ণের, আর রণার বর্ণ পীতাভ সাদা। একটা ফলের মধ্যে সাধারণতঃ ৩ টার বেশ বীচি হয় না । তিনটা আবরণ ভেদ করিয়া তবে উহার সারাংশ পাওয়া যায়। উপরের আবরণটা পুরু, ফল পাকিলে উহা ফাটিয়া যায়। তখনই লালবর্ণের বীচিগুলি দৃষ্ট হয়, ঐ লাল জিনিষটা একটা পাতলা আবরণ। তাহার নীচে কাল রঙ্গের একটা তেলতেলে কঠিন আবরণ আছে, তারপরই সারাংশ, ইহা হুবহু সাদা ছোট মারবলের স্তায় দেখায়। তৈল প্রস্তুতের প্রক্রিয়া । ফল পাকিলে উহা ফাটিয়া היה זהייtס זילי והלא ש8חה 6 "סוואחאל חfיארזיל זיאש. প্রবাসী—পৌষ, ১৩১৭ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড কুড়াইয়া আনিয়া ২/৩ দিন রৌদ্রে দিবার পর, পায় মাড়াটা উপরের লাল খোসা ছাড়াইলে ভিতর হইতে কাল রঙ্গের মন্থণ রণা বাহির হয় তারপর ৩৪ দিন রৌদ্রে শুকাইয়া টেকিতে কুটিয়া লইলে কাল আবরণট শাস হইতে পৃথক হইয়া যায়। এখন কুলায় ঝাড়িয়া, কালে আবরণটা ফেলিয়া দিতে হয় । ভিতরের সাদা জিনিষr গুলিকে পুনরায় টেকিতে কুটিয়া গুড়া গুড়া হইলে জল মাথিয়া রৌদ্রে দিতে হয় ; খুব শুষ্ক হইলে আবার টেকিতে কুটিতে হয় ; তখন ঐ গুড়া জিনিষগুলি ডেলা ডেলা হইয়া থাকে। পূৰ্ব্বেষ্ট উনানে এক ছাড়ি জল ফুটাইয়। রাখিতে হয়। এই জলে উপযুক্তি ডেলাগুলি ফেলিয়া দিয়া কাঠির সাহায্যে নাড়িতে হয়, এইরূপ কিছুক্ষণ নাড়িয়া ছাড়ির মুখে সরা ঢাকা দিতে হয়। খানিকক্ষণ পরে জাল হইতে নামাইয়া হাড়িটা নাড়িলে, তৈল উপরে ভাসিয়া উঠে । এই ভাসমান তৈল নিপুণতার সঙ্গিত পায়ান্তরে ঢালিয়া লইলেই হইল। এই তৈল রেড়ির তৈলের মত গাঢ় এবং ইহার আলোও তাচারই মত স্নিগ্ধ ৷ বর্ষাকালে চাষীগণ সৰ্ব্বাঙ্গে এই তৈল মাখিয়া, ধান, পাট প্রভৃতি কাটিতে জলে নামে ; ইহাতে মাঠের বিষমিশ্রিত জলের উপদ্রব এবং জলেীকার আক্রমণ হইতে শরীর রক্ষা পায় । রণাগাছে উৎকৃষ্ট তক্তা প্রস্তুত হয় ; এবং এই তক্তা দ্বারা তক্তপোষ, চৌকি, কবাট, জানালা, বাক্স প্রভৃতি তৈয়ার করিলে অনেক দিন স্থায়ী হইতে পারে । বাবুর হাট। ঐঅক্ষয়কুমার রায় চৌধুৰী। বাঙ্গালা সাহিত্যের ক্রেটি আমরা সাহিতাসেবক নহি ;—সাহিত্যসেবিবৃন্দের রচনার পাঠক মাত্র । এমত অবস্থায় আমরা আমাদের আকাজক্ষার কথা বঙ্গীয় লেখকসমাজে নিবেদন করিলে বোধ হয় তাহা নিতান্ত অবাস্তর বলিয়া বিবেচিত হইবে না । সাহিত্য স্বষ্টির প্রথম ও প্রধানতম প্রয়োজন লোকশিক্ষা—লোকের জ্ঞান বৃদ্ধির সহায়তা করা। নিজের চেষ্টায় যে জ্ঞান আহরিত হয় অন্তকে সেই জ্ঞানের

  • . ה-'יי-ילדו דיזולדו דהחיf-ידי אלזהפד 8 אייזיקה