পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্য। “cझ cमद, cश् जमद्रनांभभन्न भशशृङ्गय, चांभि cऊांमारक झांज्जिन्नां এখন আর কাহার আশ্রয় গ্রহণ করিব? নির্মাতাও তুমি, স্রষ্টাও তুমি— যে প্রাসাদ মানবের করসাহায্যে গঠিত হয় না সে অদৃষ্ঠ প্রাসাদের রচয়িতাও তুমিই । তোম৷ হইতে বিকার অখৰ পরিবর্তনের আশঙ্কা নাই, কারণ তুমি চিরদিনই সমভাবাপন্ন। যে হৃদয় তুমি প্রসারিত করিয়াছ সে হৃদয় তুমিই পূর্ণ করিবে—যে আকাঙ্ক্ষা তুমি উদ্বোধিত করিয়াছ সে আকাঙ্ক্ষা তুমিই সফল করিবে—আমি তাহাতে সংশয় করিন । “একটি মঙ্গলও কখনও নষ্ট হইবে না । যাহা ছিল তাহ পূর্ববৎ চিরদিনই বিদ্যমান থাকিবে । অমঙ্গল সে ত শূন্ত পদার্থ মিথ্য বস্তু, নিঃশব্দ অভাব মাত্র। যাহা পুৰ্ব্বে মঙ্গল ছিল তাহ পরেও মঙ্গলই থাকিবে, অমঙ্গল সত্ত্বেও --অমঙ্গল সহিতও --মাঙ্গল্যশক্তি কখনই ধ্বংস হয় না, বরং বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। পুথিবীতে যাহা খণ্ডতাপন্ন, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত, স্বর্গে তাহ পুর্ণরূপে বিরাজমান। “আমরা চিরদিন যাহা চাহিয়া আসিতেছি, যাহার প্রতি আমাদের একান্ত আশা নিহিত, যে শুভস্বপ্ন আমাদের নিশিদিনের মানস-সহচর তাহাকে আমরা অবস্থাই প্রাপ্ত হইব —তাহ আছে এবং চিরদিনই থাকিলে--ছায় নহে, সাদৃষ্ঠ নহে, প্রকৃত বস্তু। যে সৌন্দৰ্য্য, মঙ্গল অথবু শক্তির মহাবাণী একবার ধ্বনিত হইয়াছে, কুত্রাপি আর তাহার বিনাশ নাই । যখন অনন্ত কালের মধ্যে মুহুর্তের কল্পনা সমত প্রাপ্ত হইবে, সেই মহাক্ষণে আবার সে অন্তৰ্হিত সৌন্দৰ্য্য, অদৃষ্ট মঙ্গল এবং সুপ্ত শক্তি প্রকাশমান হইবে । "যে উচ্চ ভাব অত্যধিক উচ্চতার জন্য অপূর্ণ রহিয়াছে, যে বীরত্বকল্পনা ক্ষুদ্র সংসারের সহিত সামঞ্জস্য রক্ষা করিতে পারে নাই, যে চিত্তবেদনা পৃথিবীর অন্তঃকরণ হইতে উঠিয় আশ্রয় খু জিতে খুজিতে fনরালম্বভাবে আকাশে বিলীন হইয়াছে – সে সমস্তই প্রেমিক অথবা কবির হৃদয়োখিত ঈশ্বরোদিষ্ট সঙ্গীতলহরী। যদি উহ। একবার তাহার শ্রীতিগোচর হইয় থাকে তাহা হইলেই যথেষ্ট, উহা শীঘ্রই আমরা শুনিতে পাইব ।” প্রেম সম্বন্ধেও ব্রাউনিংএর শিক্ষা কিছু স্বতন্ত্রভাবাপন্ন । যে কোন প্রকার গভীর আবেগ আমাদের চিত্তের উন্নতিকর, ইহা ব্রাউনিং এর বিশ্বাস। কারণ উচ্চাতে আমাদের প্রাণে অনস্তাভিমুখী অনন্তকালস্থায়িনী গতির সৃষ্টি হয় এবং এই গতির দ্বারা আমরা ঈশ্বরের সন্নিহিত হইতে পারি। এই স্থলেও টেনিসন এবং ব্রাউনিংএর মধ্যে কিছু প্রভেদ লক্ষিত হয়। উভয় কবিই মানবের নানাবিধ প্রলোভনের বিষয় বর্ণনা কবিয়াছেন। কিন্তু উভয়ে কি স্বদূর ব্যবধান । টেনিসন মনে করেন, কৰ্ত্তবা কৰ্ম্ম অবহেলা করিয়া অথবা বিবেকের বাণী অগ্রাহ করিয়া প্রেম প্রবৃত্তি চরিতার্থ করা মানবের প্রধান প্রলোভন । কিন্তু ব্রাউনিং মনে করেন সতর্ক সাংসারিকতা, লোকাপবাদের ভয়, গভীর আলন্ত অথবা হৃদরের দুৰ্ব্বলতার খাতিরে জীবনের প্রকৃত উন্নতিদায়ক এবং মহিমাব্যঞ্জক ব্রাউনিং ১৯ প্রেম প্রবৃত্তির পরিচালনা না করা মামুষের অধিকতর প্রলোভন ৷ “Youth and Art" নামক কবিতায় ব্রাউনিং দেখাইয়াছেন যে প্রেমের অভাবে জীবন শুষ্ক হইয়া যায়। একটি ভাস্কর-লালক এবং সঙ্গীত-বালিকার মধ্যে অল্পে অল্পে প্রণয় সঞ্চার হইতেছিল। কিন্তু সে ভাব অধিক দিন স্থায়ী হয় নাই। উভয়েব মনে অদম্য বৈষয়িকপূহ ছিল, সতর্ক সাংসারিকতার দ্বারা উভয়ের জীবন পরিচালিত হষ্টতে লাগিল । সুতরাং যে ফুলিঙ্গ এতদিন অন্তরে অস্তরে একটু একটু প্ৰজলিত হুইতেছিল বিষয়ানিলে তাঙ্ক। একেবারে নির্বাপিত হইয়া গেল। উভয়েই সংসারে প্রভূত প্রতিপত্তি এবং কৃতকাৰ্য্যতা লাভ করিলেন, কিন্তু শেষে দেখিলেন কেহই মুগী হইতে পারেন নাই-- “Each life's unfulfilled you see: It langs sti'l patchy and scrappy; \\'v have not sighed deep. laughed free, Starved, feasted, despaired,—been happy.” “Statue and Bust'Es gš HSIS 2fS-fffS হইয়াছে । ডিউক এবং মহিলার ঈদয়ে পরস্পরের প্রতি আসক্তি জন্মিয়াছিল । এই মহিলা পরিণীত রমণী-— তাহার স্বামী এই গৃঢ় আসক্তির বিষয় অবগত হইয় র্তাহাকে প্রাসাদকক্ষে আবদ্ধ করিয়া রাখেন। মহিলা বাতায়ন-সন্নিধানে উপবেশন করিতেন এবং স্বীয় প্রণয়ীর দৃষ্টলাভ করিবার জন্ত ব্যাকুলভাবে তাঙ্গার প্রতীক্ষা করিয়া থাকিতেন। ডিউক প্রতিদিন যথাসময়ে অশ্বরোহণে তলবর্তী পথ দিয়া বাতায়নের দিকে নিবন্ধদৃষ্টি হইয়া গমনাগমন করিতেন । এষ্ট রূপে কতকদিন অতিবাহিত হইল । পরে উভয়েই সংকল্প করিলেন এক সঙ্গে পলায়ন করিবেন–কিন্তু আগামী দিবসের জন্ত অপেক্ষা করিতে করিতে আর পলায়ন ঘটিয়া উঠিল না। প্রত্যহই পরদিন পলাইবেন এই আশায় উৎফুল্ল থাকেন, কিন্তু সে পরদিন আর আসিল না। এদিকে ক্রমেই র্তাহীদের প্রেমের নিবিড়ত শিথিল হইয়া আসিতে লাগিল, তাহার শূন্যগর্ভ আশা লইয়াই সন্তুষ্ট রছিলেন। এই ভাবে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কাটিয়া গেল—র্তাহারা উপলব্ধি করিলেন যে র্তাহীদের প্রেম অলীক স্বপ্নমাত্র এবং এই স্বপ্নের মোহে তাহাদের সমস্ত যৌবন অতিবাহিত হইয়াছে ।