পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] AA AeMAeAAAS AAAAA SAAAMMAAA AAASA SAAAAA S (عنا ট্রেণ আসিতেছে—নিকটবৰ্ত্তী অম্ভ ষ্টেশন হইতে সংকেত পাইলাম। ষ্টেশনের পীঠভূমিতে দাড়াইয়া অধীরভাবে আমরা ট্রেণের প্রতীক্ষা করিতেছিলাম। “খোকা” নীল রঙ্গের উর্দি পরিয়াছে—তাহার জরির বোদাম স্বৰ্য্যকিরণে ঝিকৃমিক্‌ করিতেছে । সে ভয়ানক উদ্বিগ্ন ও ব্যস্তসমস্ত ! রেলের লাইন—যতদূর দৃষ্টি যায় ততদুর চলিয়া গিয়াছে ও স্বৰ্য্যকিরণে ঝিকৃমিকু করিতেছে... আর “ফিলস”—যাহার লেজ নাড়ার বিরাম নাই—সে সেই লাইনের উপর গুইয়। আছে। এক্ট শিটি শোনা গেল—শব্দটা এখনও দুর হইতে আসিতেছে বলিয়া মনে হইল । দিগন্তে একটা কালো বিন্দু দেখা দিল...শীঘ্রই সেই বিন্দুটা বড় হইয়া উঠিল এবং একটা অস্কট শব্দ সঙ্গকারে ক্রমেই নিকটবর্তী হইতে লাগিল ! কুকুরটার হইল কি ? এখনও যে উঠে না—দুষ্ট রেলের মাঝখানে সটান গুইয়া আছে । মাটী কাপাইয় গর্জন করিতে করিতে এঞ্জিনটা সেইখানে আসিয়া পড়িল -“ফিলস্ এদিকে আয়”—এই বলিয়া আমি কুকুরটাকে উচ্চৈঃস্বরে ডাকিলাম। “ফিলস্ !...ফিলস্!”—এই বলিয়া থোকাও উৎকষ্ঠিত হইয়া হাপাইতে হাপাইতে বারংবার ডাকিতে লাগিল । কুকুরটা আমাদের দিকে ফিরিয়া কাতর অমুনয়ের দৃষ্টিতে চাহিয়া রহিল-মনে হইল, মাথা নাড়াইবার চেষ্ট৷ করিতেছে—উঠিবার চেষ্টা করিতেছে কিন্তু পারিতেছে না —যেন হঠাৎ কোন পীড়ায় তাহার শরীর অবশ হইয়৷ পড়িয়াছে । এঞ্জিন চালক কুকুরটাকে দেখিতে পাইয়া সজোরে শিটি মারিতেছে । তখন—সেই চূড়ান্ত মুহূৰ্ত্তে—“খোকা” বিদ্যুৎবেগে সেইখানে ছুটির আসিল—আমি ষেধুতাহাকে ধরিয়া রাখিব, সেটুকুও সময় পাইলাম না। থোক আসিয়া কুকুরটাকে জাপটাইয়া ধরিল,—তাছাকে টানিয়া আনিবার জন্য—উঠাইয়৷ আনিবার জন্ত প্রাণপণে চেষ্টা করিতে লাগিল! এঞ্জিন-চালক কল টিপিয়া গাড়ীকে খামাইবার চেষ্টা कब्रिज । দুর্ঘটনা S S S eeAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASSAAAAAAS AAASASAAAAASA SSASAS SSAS 8హి AAAAS SAAAAAA AAAA AAAA AAAASAAAAASA SAASAASAASAAMAAAS BBBB BBBB BBB BBBB BBBBBBB BB BBS খানে ছুটি গেলাম...এঞ্জিনের গতি তখন একটু শ্লথ হইয়াছে—আমাকে একটু ধাক্কা দিয়া, সেই এঞ্জিন খোকার বাহ-পাশবদ্ধ কুকুর ও খোকার উপর দিয়া চলিয়া গেল ! আর, আমার বিরুত মস্তিষ্কের খেয়ালে, আমি যেন চখের সন্মুখে দেখিতে পাইলাম,—প্রথম শ্রেণীর গাড়ীর দ্বারদেশে, আধা-হাসিমুখ ও আধা-উৎকষ্ঠিত ফুটি হতভাগ্য, সতৃষ্ণনয়নে তাহাদের পুত্রটিকে খুজিতেছে !... এই ভীষণ দুর্ঘটনার কথা তাহারী কিছুই জানে না। এখন আমি—কোন সাহসে হাসি-মুখে তাঙ্কাদের সহিত সাক্ষাৎ করিব ?...তাঙ্কাদের ষ্টেশান-ঘরে টানিয়া লইয়া যাইব—এরূপ মনের বল আমার কোথায় ?—তাহাদিগকে এইরূপ বলিব কি, “খোকা একটা জরুরি কাজে গ্রামে গিয়াছে, তোমরা একটু অপেক্ষা কর, আমি ট্রেন্ট চালান্‌ করেই এখনি আসচি” । এদিকে বাহিরে—ভীষণ দৃগু ! বেলের পথ পরিষ্কার করা হইতেছে । দেখিলাম—ছিন্নভিন্ন একরাশ নীল কাপড়.রক্তাক্ত কতকটা মাংসপিও...আর কতকটা সাদা রোয় ! এই সময়ে একজন রেল-কৰ্ম্মচারী আমার সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইল । সে reserve শ্রেণীর কৰ্ম্মচারী। আমার সাহস পৌরুষ সব চলিয়া গিয়াছে—আমি এখন ভীরু কাপুরুষের মতন হষ্টয়া পড়িয়াছি। আমার মাথা ঘুরিতেছে। এই সময়ে একটা উপায় আমার হঠাৎ মনে হইল,—আমার মুখ দিয়া একটা মিথ্যা কথা বাহির হইয়া পড়িল! আমার সহকারীকে বলিলাম ; “কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে এইমাত্র একটা আদেশ-পত্র পাইয়াছি, আমার জায়গায় তোমার এইখানে থাকিতে হইবে—আমি এই টেণেই রওনা হইব...কোন জরুরি কাজের জন্য আমাকে তলব হইয়াছে...এখানকার আবগুকীয় কাজ তোমাকে নিৰ্ব্বাহ করিতে হইবে•••রিপোর্ট লিখিতে হইবে— আমার ছাত্র, কুকুরকে বাচাইতে গিয়া এঞ্জিনে চাপ পড়িয়াছে !” পরে, ষ্টেশান-মাষ্টারকে বলিলাম —