পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] -بی.ه*" -جی.s**ss-اے- ما স্তরে স্তরে কত ঘুমের পর্দা একটি একটি করে খুলে গিয়েছে তা অতীত যুগযুগান্তরের পাতায় পাতায় লেখা রয়েছে—মহাকালের দপ্তরের সেই বষ্ট কে আজ খুলে পড়তে পারবে ? অনন্তের মধ্যে আমাদের এই যে জাগরণ, এই যে নানাদিকের জাগরণ, গভীর থেকে গভীরে, উদার থেকে উদারে জাগরণ, এই জাগরণের পালা ত এখনো শেষ হয় নি। সেই চিরজাগ্ৰত পুরুষ, যিান কালে কালে আমাদের চিরদিন জাগিয়ে এসেছেন—তিনি র্তার হাজারমহল বিশ্বভবনের মধ্যে আজ এই মনুষ্যত্বের সিংহদ্বারট খুলে আমাদের ডাক দিয়েছেন—এই মনুষ্যত্বের মুক্তদ্বারে অনস্তের সঙ্গে মিলনের জাগরণ আমাদের জন্তে অপেক্ষা কবৃচে—সেই জাগরণে এবার যার সম্পূর্ণ জাগা হল না— ঘুমের সকল আবরণগুলি খুলে যেতে না যেতে মানবজন্মের অবকাশ যার ফুরিয়ে গেল স কৃপণঃ, সে কৃপাপাত্র । মমুষ্যত্বের এই যে জাগা, এও কি একটিমাত্র জাগরণ ? গোড়াতেই ত আমাদের দেংশক্তির জাগা আছে--সেই জাগাটাই সম্পূর্ণ হওয়া কি কম কথা ! আমাদের চোখকান আমাদের হাত-পা তার সম্পূর্ণ শক্তিকে লাভ করে সজাগভাবে শক্তির ক্ষেত্রে এসে দাড়িয়েছে আমাদের মধ্যে এমন কয় জন আছে ? তারপর মনের জাগা আছে, হৃদয়ের জাগা আছে, আত্মার জাগা আছে—বুদ্ধিতে জাগা, প্রেমেতে জাগা, ভূমানন্দে জাগা আছে—এই বিচিত্র জাগায় মানুষকে ডাক পড়েছে—যেখানে সাড়া দিচ্চে না সেইখানেই সে বঞ্চিত হচ্চে—যেখানে সাড়া দিচ্চে সেইথানেই ভূমার মধ্যে তার আত্মউপলব্ধি সম্পূর্ণ হচ্চে, সেইখানেই তার চারিদিকে শ্ৰী সৌন্দৰ্য ঐশ্বৰ্য্য আনন্দ পরিপূর্ণ হয়ে উঠচে। মানুষের ইতিহাসে কোন স্মরণাতীত কাল থেকে জাতির পর জাতির উত্থানপতনের বজ্রনির্ঘোষে মনুষ্যত্বের প্রত্যেক দ্বারে-বাতায়নে এই মহাউদ্বোধনের আহবানবাণী ধ্বনিত হয়ে এসেছে—বলচে, ভূমার মধ্যে জাগ্রত হও, আপনাকে বড় করে জান ! বলচে, নিজের কৃত্রিম আচারের কাল্পনিক বিশ্বাসের অন্ধসংস্কারের তমিশ্র আবরণে নিজেকে সমাচ্ছন্ন করে রেখো না—উজ্জল সত্যের উন্মুক্ত আলোকের মধ্য জাগ্রত হও—আত্মানং বিদ্ধি। এই যে জাগরণ, ষে জাগরণে আমরা আপনাকে জাগরণ - AeSAeSA SAASAASSAAAASA SSASAS SSتهیه - همه نوع «حسیه 8位。 ASA SSASAS MMAeMSAeeAeeMAAAASASASS সত্যের মধ্যে দেখি, জ্যোতির মধ্যে দেখি, অমৃতের মধ্যে দেখি--যে জাগরণে আমরা প্রতিদিনের স্বরচিত তুচ্ছতার সঙ্কোচ বিদীর্ণ কবে আপনাকে পূর্ণতার মধ্যে বিকশিত করে দেখি—সেই জাগরণেই আমাদের উৎসব । তাই DDDBB BBBBB BBS BS BBBB BBBS BB BBB B উৎসবের দিনে আমাদের জাগিয়ে তোলবার জন্তে দ্বারে এসে তার ভৈরব রাগিণীর প্রভাতীগান ধরেছেন—আক্ত আমাদের উৎসব সার্থক হোক। আমরা প্রত্যেকেই একদিকে অত্যন্ত ছোট আরএকদিকে অত্যন্ত বড়। যে দিকটা; আমি কেবল মাত্রই আমি—সকল কথাতেই ঘুরে ফিরে কেবলই আমি—কেবল আমার মুখ দুঃখ, আমার আরাম, আমার আয়োজন, আমার প্রয়োজন, আমার ইচ্ছা—যেদিকটাতে আমি সবাইকে বাদ দিয়ে আপনাকে একান্ত করে •দেখতে চাই, সেদিকটাতে আমি ত একটি বিন্দুমাত্র, সেদিকটাতে আমার মত ছোট আর কে আছে! আর যে দিকে আমার সঙ্গে সমস্তের যোগ, আমাকে নিয়ে বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের পরিপূর্ণতা, যে দিকে সমস্ত জগৎ আমাকে প্রার্থনা করে, আমার সেবা করে, তার শত সহস্ৰ তেজ ও আলোকের নাড়ির স্বত্রে আমার সঙ্গে বিচিত্র সম্বন্ধ স্থাপন করে,—আমার দিকে তাকিয়ে তার সমস্ত লোক-লোকান্তর পরম আদরে এই কথা বলে যে, তুমি আমার যেমন এমনটি কোথাও আর কেউ নেই, অনন্তের মধ্যে তুমিই কেবল তুমি ; সেই খানে আমার চেয়ে বড় আর কে আছে! এই বড়র দিকে যখন আমি জাগ্রত হই, সেই দিকে আমার যেমন শক্তি, যেমন প্রেম, যেমন আনন্দ, সেই দিকে আমার নিজের কাছে নিজের উপলব্ধি যেমন পরিপূর্ণ, এমন ছোটর দিকে কখনই নয়। সকল স্বার্থের সকল অহঙ্কারের অতীত সেই আমার বড় আমিকে সকলের চেয়ে বড় আমির মধ্যে ধরে দেখবার দিনই হচ্চে আমাদের বড় দিন। জগতে আমাদের প্রত্যেকেরই একটি বিশেষ স্থান আছে । আমরা প্রত্যেকেই একটি বিশেষ আমি । সেই বিশেষত্ব একেবারে অটল ੇ ; অনন্ত কালে অনন্ত বিশ্বে আমি যা’ আর-কেউ তা নয়। তা হলে দেখা যাচ্চে এই যে আমিত্ব বলে একটি