পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] ভিখারীকে স্বর্ণমুষ্টি দিয়া বিদায় করে এ দান যদি সেই ভাবের দান হষ্টত তবে জগৎ দু’দিনেই নিঃসম্বল হইয়া যাক্টত । ভিখারীর ভিক্ষার ধনে আর কয় দিন চলে ? কিন্তু দাতাশ্রেষ্ঠ সে ভাবে দান করেন নাই, তিনি যে কেবল প্রাণ দিয়াছেন তাঙ্গ নয়, প্রাণ বিলাইয়া দিবার ক্ষমতাটীও সেই সঙ্গে দিয়াছেন, সেইটাই তাঙ্গর অক্ষয়ভাণ্ডারের চাবি । র্তাহার অক্ষয় আনন্দের উৎস যেখানে সেই তপস্তা-হিমাচলের পথটাও তিনি দেখাইয়া দিয়াছেন । সে পথ বড়ই বন্ধুর, কণ্টক-কঙ্কর-পরিপূর্ণ। তথাপি সে পথে পথিকের অভাব নাই। “ক্ষুরধার নিশিত দুর্গম দুরত্যয়” সেই পথ সাধারণের পথ। যদি সে পথে এত বিঘ্ন, এত কষ্ট, তবে আমরা সে পথ দিয়া কেন চলি ; সে আয়াসে, সে ক্লেশে আমাদের প্রয়োজনষ্ট বা কি ? তাৰু খুব সহজ উত্তর এই যে, সেই ক্লেশষ্ট আমরা চাই । মানলের যদি কোথায়ও তৃপ্তি থাকে তলে সে তৃপ্তি সেই কণ্টকময় পথেই চলিয়া। যদি কোনখানে আনন্দ থাকে তাঙ্কা সেই “ক্ষুরধার নিশিত তুর্গম দুরত্যয়” সাধনার পথে। উমা মহাদেবের জন্ত তপস্বিনী সাজিয়াছেন, অতি স্থল্ম স্বর্ণ-সুত্র-বিরচিত ক্ষেীম পট্টবস্ত্র পবিত্যাগ করিয়া কৰ্কশ কাষায়বস্ত্র পরিয়াছেন । কর্ণাবলম্বী মুক্তাগুচ্ছের পরিবর্তে ছুটী কণিকার পুষ্প কর্ণে ধারণ করিয়াছেন । কমকণ্ঠে গজমুক্তার একাবলী হারের স্থানে রুদ্রণক্ষমালা শোভা পাইতেছে । র্তাহার তপঃক্লেশশার্ণ বাহুলত হইতে রুদ্রাক্ষবলয় খসিয়া পড়িতেছে। এই বেশে পাণ্ডুর ইন্দুলেখার ন্তায় তপস্বিনী উমা যখন আমাদের মানসনেত্রের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইলেন তখন পুরন্দরের সৌভাগ্যগৰ্ব্বিত৷ স্বৰ্গরাজ্যেশ্বরী ইন্দ্রাণীর সৌন্দর্য্যও তাহার রূপপ্রভায় স্বৰ্য্যরশ্মির নিকট দীপের ন্যায় একমুহূর্তেই স্নান হইয়৷ গেল। তাপলী উমার মুকুমার তমু আজ আর মণিমাণিক্যভূষণে ভূষিত হইয়া উজ্জ্বল হয় নাই, এক অপূৰ্ব্ব আনন্দদীপ্তিতে আজ র্তাহার সকল অঙ্গ পূর্ণিমার জ্যোৎস্নাভরণে ভূষিত ভাগীরথীর স্তায় শোভা পাইতেছে। তপস্তার ফলে উমা মহাদেবকে প্রাপ্ত হইবেন সেই আশাতেই কি સ્કિત્રિ છ আনন্দিতা ? তাই নয়। গিরিরাজ-তনয়ার তপস্তাক্লেশেই আনন্দ-উৎস উছলিয়া উঠিতেছে। এ তপস্তা তপস্যা ኟቑ যে র্তাহারই জন্ত ! বামদেবের চরণপ্রাপ্তির কামনাতেই যে এই তপঃক্লেশ স্বীকার । তাই এই তপস্তার আনন্দেহ উমার চিত্ত পরিপূর্ণ, তপস্তার ফলে বামদেব প্রসন্ন হইবেন অথবা বমিষ্ট রহিবেন, সে চিন্তার এখন তথায় স্থান নাই । গীতায় শ্ৰীকৃষ্ণ অৰ্জুনকে সম্বোধন করিয়া বলিয়াছেন, “হে কৌন্তেয়, যাহা কিছু তপস্যা করিবে সমস্ত আমাকে অপণ কর” অর্থাৎ তাহার কোন ফল প্রার্থনা করি ও না । প্রকৃতপক্ষে তপস্ত। আপনাতেই আপনি পরিপূর্ণ, সে কোন ফলের কামনা রাখে না । দ্রোণ- প্রত্যাখ্যাত একলব্য মৃগয় দ্রোণমূৰ্ত্তি স্থাপন করিয়া তপস্তায় দুর্লভ অস্ত্রবিদ্যা আয়ত্ত করিয়াছিলেন। তাঙ্কার অস্ত্রক্ষেপণ-কৌশলে বিস্মিত দ্ৰোণ যখন জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কে, কাছার শিষ্য, কাছার নিকট এই অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষা করিলে ?” তখন বিনয়াবনত একলব্য উত্তর করিলেন, “আমি নিষাদরাজ হিরণ্যধমুর পুত্ৰ একলব্য, আমি দ্রোণের শিষ্য, তাছারই নিকট এই অস্ত্রবিদ্য প্রাপ্ত হইয়াছি।” একলব্য নিজে যে কঠোর তপস্তায় অস্ত্রবিদ্যা অর্জন করিয়াছেন সে অভিমান র্তাহার মনে স্তানও পাইল না। আবার যখন দ্রোণ গুরুদক্ষিণ স্বরূপ র্তাহার দক্ষিণ হস্তের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ চাছিলেন, তখন একলব্য প্রসন্নমনে ধনুৰ্দ্ধারণের প্রধান অবলম্বন সেই বৃদ্ধাঙ্গুলি ছিন্ন করিয়া গুরুর হস্তে দক্ষিণ দান করিলেন। তাঙ্গর এত ক্লেশে অর্জিত অস্ত্রবিদ্যা যে বিফল হইয়া গেল, সেজন্য তাঙ্গার মনে বিন্দুমাত্রও ক্ষোভের উদয় হইল না। একলব্যের উপাখ্যানের ভিতর এমন একটী কথা আছে যাহাতে তপস্যার ভিতরের খবর কতকটা জানিতে পারা যায়। সে কথাটী এই যে—“একলব্য প্রসন্ন মনে দক্ষিণহস্তের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দান করিলেন।” কৰ্ত্তব্যের চরণে প্রাণ দেওয়া সকলের পক্ষে সহজ নহে, কিন্তু পুরুষের পক্ষে প্রাণ দেওয়া অপেক্ষা মান দেওয়া আরও কঠিন, সাধনালন্ধ সিদ্ধি দেওয়া আরও কঠিন ;–তথাপি কৰ্ত্তব্য-পথের পথিক যাহার, যাহারা বীর, তাহারা চিরদিনই এ সকল দিয়া আসিতেছেন। . একলব্য ও দিয়াছেন, কিন্তু কেবল. কর্তব্যcबारथ निग्रारछन डांश नब्र, ‘७थगन्न मान' निग्नदिछन । cर्ष দুষ্কর একাগ্র তপস্যায় তিনি দ্রোণের অজ্ঞাতে দ্রোণের অস্ত্রবিদ্যা আয়ত্ত করিয়াছিলেন, সেই তপস্যার আনন্দেষ্ট তাহার