পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । এই ব্যবস্থাষ্ট চলিত । মনুষ্যহৃদয় এতদূর নিৰ্ম্মমতায় পূর্ণ হইতে পারে আমরা প্রথমে বিশ্বাস করি নাই, কিন্তু দোভাষী আমাদিগকে এ বিষয়ের সত্যতা সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ হইতে বলিয়াছিল । জানি না সে নিজে চীনেমান, স্বজাতিগ্রীতি বশতঃ আমাদিগকে অযথা ভীত করিতে চেষ্টত হইয়াছিল কি না ? চীনেদের স্বজাতিগ্রীতি সাতিশয় । সময় ভ্রাতা ভ্রাতার শত্ৰু কয় কিন্তু বিদেশীয়ের সংঘর্ষে শত্ৰুত ভুলিয়া গিয়া মঙ্গভারতে কথিত আছে গন্ধৰ্ব্ব-যুদ্ধে দুৰ্য্যোধন বন্দী হইলে যুধিষ্ঠির উক্ত ঘটনা অবগত ইষ্টয়া ভীমাৰ্জুনকে এই মৰ্ম্মে বলিয়াছিলেন যদি ও অনেক এক চয় | “ভাই এই সংবাদে আহলাদত তইও না । সুযোধন আমাদের সঙ্গে শক্রতা করে বটে, কিন্তু তজ্জন্ত বাহিরের শক্ৰ আসিয়া তাহাকে অপমানিত করিবে, আর আমরা নিৰ্ব্বাক চন্তয় তাঙ্গ অবলোকন করিব, এরূপ কখনই হইতে পারে না । একশত পাচ ভাই । তাহাকে উদ্ধার করিতে হইবে।” অদ্যের সঙ্গে শক্রতায় আমরা অতএব গন্ধৰ্ব্বের হাত হইতে বয়ং পঞ্চ বয়ঃ পঞ্চ বরং পঞ্চ শতং চ তে । অনৈঃ সন্থ বিবাদে তু বরং পঞ্চ শতঞ্চ বৈ ॥ চীনের স্বজাতি ছাড়া আর সকলকেই ঘূণা করে এবং বিদেশী আখ্যায় অভিহিত করে । উক্ত শব্দের সহিত শয়তান কথাটীও যোগ করিয়া দেয় । জাতীয় মন্ত্র “কাং-টাই’ বা "শয়তানকে মার’ । বিদেশীকে তাহার। অন্তরের সহিত ঘৃণা করে সত্য, কিন্তু তাই বলিয় তাহাদিগকে অতিথিসৎকার-বিমুখ বলা যায় না। নিজেদের প্রাচীন রীতিনীতি ছাড়া অপরের কিছু ভাল হইলেও তাহার অনুকরণ নিতান্ত নারাজ। তজ্জন্তই এই প্রাচীন জাত আধুনিক সভ্যজগতে এত পিছাইয়া পড়িয়াছে। এক্ষণে বিজ্ঞানামুমোদিত উন্নতির সোপানাবলী আশ্রয় না করিলে চীন জাতির জাতীয় জীবন যে উন্নত হইতে পারিবে তাহার আশা মুদুর পরাহত। গুনিতে পাওয়া যায় আজ কাল জাপানের আদর্শে তাহারা আধুনিক বিজ্ঞানসন্মত উন্নতি গ্রহণে সমধিক প্রয়াসী। এমতাবস্থায় তাহারা যে ক্ষিপ্রগতিতে তাহাদের করিতে তাহার। অামার চীন-প্রবাস 86 & উন্নতিমার্গে আরোহণ করিবে তদ্বিষয়ে অণুমাত্র সনো নাই। চীনের শ্রমদক্ষ, বুদ্ধিমান এবং উদ্ভাবনীশক্তিসমম্বিত। ভাষা কথায় বলে ‘হুনরে চীন, ভূজ্জতে বাঙ্গাল । চীন জাতির সহিষ্ণুতা অতুলনীয়। শিল্পকার্য্যে অসাধারণ। চীনেদের ধারণ, বুদ্ধি পেটের ভিতরে থাকে। তাহার নিজেকে নির্দোষ মনে করে । তাতাদের দেশকেই সভ্য, শিক্ষিত, উৰ্ব্বর এবং অতি প্রাচীন বলিয়া বিশ্বাস । বিদেশকে অসভ্য আখ্যা দিয়া থাকে। তাছাদের যুক্তি এই 'আমরা তোমাদের ছাড়া চলিতে পারি, কিন্তু তোমর আমাদেব ছাড়া পার না । তোমাদের দেশ যদি এত ভাল তবে আমাদের দেশে চা, রেশম ইত্যাদি লক্টতে আসিয়াছ কেন ? এ যুক্তির বিরুদ্ধে তাঙ্গার কোন মতই শুনিতে চান্তে না । সামাজিক জীবনে তাহারা অনেক জাতিকে এপিষয়ে তাহারা সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাবাপন্ন । তাঙ্গাদের মধ্যে জাতিবিচার নাই । পরাভূত করিয়াছে । একজন অপরিচিত পথিক ও নিতান্ত গবিবের সঙ্গে থাইতে কোন প্রকার দ্বিধা বোধ করে না। তাহাদের খাদ্য সাদাসিদে এবং সামান্ত । ভাত, মাছ, এবং শাক সবজিঠ তাঙ্গাদের প্রধান খাদ্য। তাঙ্গাদের পেটের আয়তন এবং রুচি দেখিয়া অবাক হক্টতে প্রাণীরাজ্যে চামড়া তইতে নাড়ীভূড়ি পর্য্যন্ত এবং উদ্ভিজ্জ বিষয়ে পর্তু হইতে মূল পৰ্য্যন্ত জীবন ধারণের জল্প ব্যবহৃত হয়। ভেককুল সাধারণ খাদ্য মধ্যে পরিগণিত, কুকুরশাবক উপাদেয় খাদ্য। বিড়ালছানার মাংস বিলসিতার উপকরণ এবং বড়লোকের বাড়ীতেই শুধু দেখা যায় । ইদুরবংশ গরীবদের প্রায় একচেটে, ইতাদের মাংস বাজারেক্ট বিক্রয় চয় ; বাজারে গেলেই ছাল ছাড়ান এবং অন্ত রকমে প্রস্তুত ইঁদুর লম্বা সারিতে বারটা করিয়া ঝুলান রeিয়াছে দেখিতে পাওয়া যায়। পঙ্গপালভাজা জল থাবারের দ্যায় ব্যবহৃত হয় । এষ্ঠ পঙ্গপালদল মাছ ধরার মত জাল দ্বারা ক্ষেত্র হইতে ধুত হয়, এবং অস্তি ভর্জিত চষ্টয়া কাগজের ঠোঙ্গায় পুরিয়া ঘুংনিদানার স্তায় স্থাকিয়া বিক্রয় করে। আমি প্রথম তথায় গিয়া ঘুংনিদানা খাওয়ার আশায় বাজারে বিক্রীত ফড়িংভাজা ঘুংনিদান বোধে কিনিয়া আনিয়াছিলাম। কিন্তু ঠোঙ্গ খুলিয়া দেখিয়া ত হয় ।