পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

aম সংখ্যা ] .-- هع ہ**-مہ. ASSASAS SSAS SSAS SS SAAAAAS AAAAAS چاه -- بستهها ----عه دههه= مسدسیه - - اه সমস্ত দেঙ্গে একটি লাবণ্যময় লীলা পারদরাশির মতে টলটল করিতেছিল । সে এবার আরো অবাক হইয়। মেয়েটিকে দেখিতে লাগিল ; এবারও মেয়েটি তাহার রকম দেখিয়া হাসিল, কিন্তু তেমন সহজভাবে মুখের দিকে তাকাইয়া নয়— ঘাড় অন্যদিকে বাকাইয়। কিন্তু দৃষ্টিখানি তারই দিকে হানিয়া । তাদের আলাপ হইতে দেরি হইল না, এবং আলাপ যদি হইল তো তাহার মধ্যে এমন কথা ও হইল যাঙ্গ শুধু সেই দুটি মুথেরই বলিবার মতো আর সেই চারটি কানেরই শুনিবার---আর কারো কাছে সে বলিবার নয়, আর কারো সে শুনিবারও নয় । মেয়েটি বিধবা । তাকে বিয়ে করা অসাধ্যসাধন। কিন্তু সৰ্ব্বস্ব যেখানে বাধা পড়িয়াছে, প্রাণপণ করিয়াই তো সে-সব উদ্ধার করিতে হয় । ছেলেটি উপার্জন করিবার জন্য আপনাকে প্রাণপণ যত্নে তৈরি করিতে লাগিল । সে ইঞ্জিনিয়ার কইবে--তার জন্যে অন্তত পক্ষে আট বছর দরকার। আট বছর ! ছেলেটি মাঝে মাঝে মামার বাড়ী আসে আর মেয়েটিকে দেখে—সে দিনে দিনে নব নব শ্রীতে পরিমণ্ডিত হইয়া উঠিতেছে। এমনি আশায় আনন্দে বাধায় চুরিতে প্রণয় তাহীদের প্রগাঢ় হইতে লাগিল । এমনি করিয়া তিন বছর গেল। চতুর্থ বছরে মেয়েটির জর-বিকার হইল । তারপর ছেলেটি যখন তাহাকে দেখিল, তখন মেয়েটির রং বিবর্ণ, চোখ কোটরগত ও উদাস, মাথার চুল কাটা, স্বগোল দেহের লাবণ্য কঙ্কালসার বিশ্রী । অমন রূপ হতশ্ৰী হওয়াতে ছেলেটির দুঃখ হইল, কিন্তু তাহার অনুরাগের হ্রাস হইল না। ক্রমে ছেলেটি ইঞ্জিনিয়ার হইল। অর্থ প্রতিপত্তিও হইল। কত সুন্দরী কিশোরীর পিত। তাছাকে দুবেলা সাধ্যসাধনা করিতে লাগিল—কিন্তু সে সেই চৌদ্দ বছরের মেয়ের কাছে প্রতিজ্ঞাকর ভূলিল না । সে বিধবাকেই বিয়ে করিল। মেয়েটির আবার চুল ইষ্টয়াছিল, কিন্তু তেমন ঘন লম্বা छौबन-नाछे7 Qs> গোছ বাধে নাই ; তার চোখের কোল ভরিয়াছিল, কিন্তু দৃষ্টিতে সে চঞ্চল আবেশ ছিল না ; রং ফিরিয়াছিল কিন্তু আগেকার সেক্ট চোদ্দ বছরের মেয়ের উচ্ছল লাবণ্য ফিরে নাই ; হৃদয়ের অন্তরে প্রণয় জমাট বাধিয়াছিল, কিন্তু বাহিরের সেই উচ্ছসিত শ্রী এখন শিথিল হইয়া গিয়াছিল। চোদ্দ বছধের মেয়েকে ভালো বাসিয়া ছেলেটি বাইশ বছরের মেয়েকে বিবাহ করিল —তবু তাহাকে ভালো বাসিত । ভালো বাসিত ; কিন্তু আগেকার সেক্ট ব্যগ্রতা আর ছিল না ; অনাবশ্যক বকুনি থামিয়া গিয়াছিল ; পলকে পলকে চাওয়াচা ওয়ি ও চুরি করিয়া কাসাহাসি বিদায় লষ্টয়াছিল ; মুহূৰ্ত্ত আদর্শনে প্রলয়বোধ এখন ঘরকল্লার কাজের মাঝে ডুব দিয়াছিল। ক্রমে ক্রমে ফুটি ছেলে আর একটি মেয়ে হইল । মেয়েটি বাপের প্রাণ, তার নয়নতারা, তার অনন্ত সাপ্তনা | মেয়েটি যত বড় হইতে লাগিল তত ভাব মধ্যে তার মায়ের অতীত ছবি ফুটিয়া উঠিতে লাগিল ; আর ততই সে বাপের হৃদয় অধিকার করিতে লাগিল । দশ বৎসর বয়সে তার মায়ের সেই চোদ্দ বৎসরের ছলি বাপের চোখে নূতন হষ্টয়া দেখা দিল । বাপ সময় পাইলেই মেয়ের কাছছাড়া হৃষ্টত না ; মেয়েকে যতটা পারে চোখে চোখে রাখে । মেয়েকে লষ্টয়াই বাপ ব্যস্ত, মেয়ের মায়ের খবর বড় একটা লওয়া ঘটিয়া উঠিত না । দুৰ্ব্বল শৰীরে সস্তান প্রসব ও ঘরকন্নার খাটুনিতে মায়ের শরীর ভাঙিয়া গিয়াছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেষ্ট কাজে বাস্ত, দেখা সাক্ষাৎ বড় একটা ঘটিত না । তবু ভালোবাসা ছিল । কিন্তু যেমনটি ছিল তেমন কি ? একদিন প্রভাতে মেয়েটি বিছানা কষ্টতে উঠিল না। মা বলিল—স্কুলে না যাইবার ছুতো । বাবা কিন্তু তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাকিল । মৃত্যুর দূত মেয়েটিকে ডাক দিয়াছে—মেয়েটির যক্ষ হষ্টয়াছে। মা ঘরকন্ন, লইয়া ব্যস্ত। বাবা তাহার গুশ্রষার জন্ত আহার নিদ্রা কাজকৰ্ম্ম ত্যাগ করিল। অর্থে শ্রমে চেষ্টা যত্নে যত রকম আরাম দিতে পারা যায়