な家や বস্ততঃ শব্দের উচ্চারণ বিষয়ে বাগলা ভাষা নিরুষ্ট, এবং ইহা দেখিয়া ভারতের অন্যান্তাভাষী বাগালীকে উপহাস করে । বাগালীর মধ্যে বুদ্ধিমান ও পণ্ডিত আছেন, অথচ উচ্চারণ-বিষয়ে তাহার। উদাসীন কেন, একথা অনেকে জিজ্ঞাসা করিয়া থাকেন। সংস্কৃতমূলক যাবতীয় ভাষার মধ্যে বা-গলা ভাষা অধিক সংস্কৃতমুখী, অথচ উচ্চারণে জান্মযোগ্য । সময়ে সময়ে বাগালী পণ্ডিত বাগলাকে আরও সংস্কৃত দেখিতে ইচ্ছা করেন। কিন্তু, ভুলিয়া যান শব্দের ধ্বনিতে ভাষা, দ্যোতকে নষ্ঠে । উচ্চরণের প্রতি মন দিলে বানান আপনি আসিবে। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি বানান ঠিক, না জানুআরি ফেব্ৰুর আরি ঠিক ? এথানে শব্দের ধ্বনি প্রধান। কারণ ভাষায় শব্দ নূতন প্রবেশ করিতেছে। বহুয়ারী ঝিয়ারী বানান এখন পরিবর্তন করিতে পারা যায় না। কারণ এই বানানের সঠিত পুরাতনের যোগ আছে। এইরূপ, মেনেজার, কেষিআর বানান ঠিক, ন ম্যানেজার ক্যাশিয়ার ঠিক ? পুরাতনের সাদৃশ্যে অনেক নুতন শব্দের বানান করা কইয়া থাকে। তথাপি শব্দটা কি, এবং বাগল উচ্চারণে ধ্বনি কি, এবং কি কি অক্ষরযোগে সে ধ্বনি ঠিক প্রকাশিত হইতে পারে, তাহ বিবেচনা করা আবশ্যক। লেখা ধবনিকে স্থায়ী করে, একথা লেখককুল বিস্তৃত হইলে ভাষা রক্ষা করিলে কে ? কটক । শ্ৰীযোগেশন্দ্রচ রায় বিদ্যানিধি। প্রবাসী-বাঙ্গালী বাবু যম্নাদাস । আগ্রা নসীম নামক উর্দ, পত্রের ভূতপূৰ্ব্ব সম্পাদক স্বৰ্গীয় বাবু যমুনাদাস বিশ্বাস এতদঞ্চলের হিন্দু-মুসলমান জনসাধারণের মধ্যে “বাৰু যমূলাদাস” বলিয়াই পরিচিত। আগ্রার জনৈক হিন্দুস্থানী ভদ্রলোকের সহিত কথাপ্রসঙ্গে সে-দিন বিশ্বাস মহাশয়ের নাম উল্লেখ করিলে ভদ্র লোকটী বলিলেন “বাৰু যম্নাদাস' সাহেবের কথা বিলক্ষণ জানি, সম্ভবতঃ তিনিই বিশ্বাস বাবু। বাৰু যমুনাদাস একজন নামী ও সৰ্ব্বজনমান্ত ব্যক্তি ছিলেন। এখনও רצסכ ,הח4dsff-st AASAASAASAASAASAASAASAASAASAA ( २०ब डांग, २ग्न थ७ তাহার পরিবারবর্গ আগ্রাতেই আছেন।” আমরা বিশ্বাস মহাশয়ের বিষয় ইতিপূৰ্ব্বেষ্ট অবগত ছিলাম সুতরাং তাঙ্কার সম্বন্ধে আর কোন প্রশ্ন করিলাম না । উচ্চাভিলাষের সহিত অধ্যবসায়, একাগ্রতা ও সাধুতার মিলন কষ্টলে যে ভাগ্যবিপর্যায় অতিক্রম করিয়া এবং দারিদ্র্যের শত পন্ধন ছিন্ন করিয়া আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ করা যায়, প্রবাসী বাঙ্গলী বাবু যমুনাদাস বিশ্বাস তাহা দেখাইয়া গিয়াছেন । ইনি হাবড় জেলার অন্তঃপাতী আঁছ্ল বিপ্রোণাপাড়। নিবাসী শ্রীযুক্ত বলরাম দাস বিশ্বাস মহাশয়ের জ্যেষ্ঠপুত্র। ইঙ্গর পূৰ্ব্বপুরুষগণের অনেকে মুর্শিদাবাদ নবালসরকারে কৰ্ম্ম করিতেন । র্তাহার নবাবের বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারী ছিলেন বলিয়া “বিশ্বাস” এই পদবী লাভ করেন । তদবধি তাঙ্গর বিপ্রোণার বিশ্বাস বলিয়া থ্যাত । বলরাম দে মহাশয় ইংরাজী ও পারস্ত ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপন্ন ছিলেন। তিনি র্তাকার খুল্লতাতগণের দ্যায় নবাবসরকারে কৰ্ম্ম গ্রহণ না করিয়া ইংরাজ সরকারে রাজস্ব বিভাগে নিযুক্ত হন এবং সেই সূত্রে জন্মস্থান ত্যাগ করিয়া আলিগড়ে প্রবাসী হন । তিনি উত্তর-পশ্চিমের নানা স্থান ভ্রমণ করেন । কিন্তু আগ্রা ও সাহারাণপুরেই অধিকাংশ কাল অবস্থিতি করিতেন। বাবু যমুনাদাসের জীবনের সহিত এই দুই প্রবাসস্থানই অধিক ঘনিষ্ঠ ভাবে সম্বদ্ধ । আবেদ যখন বলরাম বাবু আগ্রার ‘ভৈরো বেলনগঞ্জ পাড়ায় অবস্থিতি করিতেছিলেন তখন যমুনাদাস বাবুর জন্ম হয়। তাহার পরেই সাহারাণপুরে তিনি বদলি হন। তথায় তাহার দুষ্ট কন্যা ও দ্বিতীয় পুত্রের জন্ম হয়। কনিষ্ঠ পুত্রের বয়স যখন পাচ বৎসর মাত্র তখন বলরাম বাবুকে কৰ্ম্মস্থত্রে রুড়কী যাইতে হয়। রুড়কীতে আসিয়া হঠাৎ তিনি পীড়িত হন এবং পরিবারবর্গকে সম্পূর্ণ অসহায় অবস্থায় রাখিয়া পরলোক গমন করেন। যমুনাদাস বাবু তখন ১২ বৎসরের বালক । সে সময় তাহাদের কয়েকজন আত্মীয় আগ্ৰায় বাস করিতেছিলেন । সুতরাং বলরাম বাবুর পরিবারবর্গ আর বঙ্গদেশে ফিরিয়া না গিয়া আগ্রাতেই রছিলেন । সাহারাণপুরে অবস্থান কালে যমুনাদাস বাবুর শিক্ষা ב 8"ל כי
পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।