পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭০

む8br প্রবাসী—কাত্তন, ১৩১৭ [ >०य डां★, २ब्र थ७ BB eA BBB AA DD DDD DD BDB BB BBB BBD DBBB BBBB DDD BBBBB BB BB হয়। হস্তি গণের ভ্রমণশীলতার জন্ত এক রাত্রিতেই এষ্ট হয়। কাজ সারিতে হয় । বেষ্টনী নিৰ্ম্মাণ সম্পন্ন চক্টলে এই বোঝাগুলিতে আগুন লাগান হয়, এবং উহাদিগকে সৰ্ব্বদা জ্বালাষ্টয়া প্রত্যেকটীর কাছে দুইজন করিয়া লোক দাড়াঙ্গয় থাকে । এই কাৰ্য্য শেষ হইলে সমস্ত ব্যাপারটার প্রথমাংশমাত্র সম্পন্ন চইল । সমগ্র যুথ এখন নিঃসন্দেহ বশে আসিল, কারণ উষ্ঠার কোনও অংশ বেষ্টনীর বাহির হইতে চেষ্টা করিলে সন্মুখে আগুন দেখিয়া বেষ্টনীর কেন্দ্রের দিকেষ্ট ছুটিয়া আসিবে । কার্য্যক্ষেত্র নিবিড় অরণ্যের মধ্যে হওয়াই বাঞ্ছনীয় ; এই কারণে যুথকে প্রায়ই স্বচ্ছন্দে বিচরণ করিতে দেওয়া হয়, পরে উক্ত নিবিড় অরণ্যে প্রবেশ করিলে বেষ্টনী নিৰ্ম্মাণ আরম্ভ হয়। 始 বেষ্টনীর মধ্যে হস্তীযূথ একবার প্রবিষ্ট হইলে খেদা বা ফঁাদ এবং উঠার পথ প্রস্তুত করিতে হয় । বনের নিবিড়তম অংশই এজন্য মনোনীত হঠয়া থাকে । সম্ভবপর তইলে কোন ও জলাশয়ের অভিমুখে ইঙ্গ নিৰ্ম্মিত হওয়া উচিত। বেষ্টনী স্তইতে থেদায় ষাষ্ট৭ার পথ দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৫• তক্টতে ২০০ গজ, এবং বেষ্টনীর পরিধির নিকট ১০০ গজ হইতে ক্রমশঃ সঙ্কীর্ণতর হইয়া খেদার নিকটে প্রায় ৪ গজ পর্য্যন্ত বিস্তৃত। এই পথ নিৰ্ম্মাণ করিতে চইলে ভূমিতে শক্ত খোটা পুতিয়া তাহার উপরে শক্ত খোটা দিয়া বেড়া দিতে হয় । সমস্ত বেড়াটা মোটা কাছি দিয়া শক্ত করিয়া বাধা দরকার । হস্তিগণ পাছে ভিতর হইতে ঠেলা দেয় এইজন্য বেড়াট বাহির হইতে খোটা দিয়া ঠেক্‌না দিয়াও রাখা হয় । এষ্ট পথের প্রান্তভাগে খেদার দিকে একটা দরজা থাকে, উচ্চাতে সংলগ্ন দাড় কাটিয়া অতি অল্প সময়ের মধ্যে উহ উঠাইতে ও নামাইতে পারা যায় । ‘খেদা’ বা ফাদ প্রায় ৩০ ফুট ব্যাসবিশিষ্ট একটী গোলাকার বেড়া । ইহার নিৰ্ম্মণপ্রণালীও পূর্ববর্ণিত পথের অনুরূপ। "খেদা ও উহার পথের নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য শেষ হইলে পরে ডালপালা এবং পাতা দিয়া খোটাগুলিকে রাথিতে হয় । পথের প্রশস্ততর প্রাস্তে, উহার উপর কয়েক গজ মাত্র ব্যবধানে দুই লাইনে শুষ্ক ঘাসের বোঝা ও কাঠের টুকৃর স্ত,পাকারে রাখা হয় । এই সকল প্রাথমিক কাৰ্য্য সমাপ্ত হইলেই অবিলম্বে হস্তীযুথ তাড়নের কার্য্য আরম্ভ করিতে হয়। ইহা দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ ও অতিশয় নীরস । ইহা সচরাচর সকালে ৯১৯টার সময়ে আরম্ভ করা হয়। পূৰ্ব্বে বলা হষ্টয়াছে যে, বেষ্টনী রেখার উপরে যে অগ্নিকুণ্ড রাখা হইয়াছে, তাহার প্রত্যেকটির নিকট দুষ্টজন করিয়া লোক দাড়াইয়া আছে । তাহাদের একজন সতর্ক থাকিয়া কুণ্ডগুলি জ্বালাইয়া রাখে, এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি অল্পে অল্পে বৃত্তের মধ্যে অগ্রসর হয় । বৃত্তট এইরূপে ক্রমশঃই ছোট হইতে থাকে, এবং হস্তীযূথ ধীরে ধীরে নিঃশব্দে থেদার দিকে নীত হয়। এই সময় সবিশেষ সতর্কতার প্রয়োজন, কারণ উক্তাদের শ্রবণেন্দ্রিয় এত ভীক্ষু যে, সামান্ত শুষ্ক ডালের মরমন্ত্র শবো সমস্ত শ্রম পণ্ড হইতে পারে। সকলের পশ্চাদ্বত্তী হস্তীটি খেদার পথের সন্মুখে রক্ষিত ঘাস ও কাষ্ঠের বোঝা অতিক্রম করিলে কতকগুলি লোক দৌড়াইয়া মশাল দ্বারা ঐ সকল বোঝাতে আগুন লাগাইয়া দেয় । সমগ্র যুথ তৎক্ষণাৎ ঐ পথ দিয়া খেদার অভিমুখে উন্মত্তের দ্যায় ধাবিত হয় । সাঙ্কেতিক ঘণ্টা বাজাইবামাত্র দড়ি কাটিয়া খেদার দরজা নামাষ্টয়া উহাদের সকলকে বন্দী করা হয় । এক্ষণে খেদার ভিতরে ও বাহিরে ভীষণ গণ্ডগোল আরম্ভ হয় ; ভিতর হইতে হস্তিগণ ফাদের বাক্তিরে আসিবার চেষ্টা করে, আর বাহিরে প্রহরীরা বংশনিৰ্ম্মিত স্বতীক্ষ বরমের খোচা দিয়া উহাদিগকে বেড়া হইতে সরাষ্টয় দেয় । খেদার বেড়া হইতে উহাদিগকে দূরে রাখিবার জন্ত সময় সময় বন্দুকের ফাক আওয়াজ ও ছিটাগুলিরও প্রয়োগ করিতে হয়। যুথপতি প্রায়ই ঢুষ’ দিয়া বেড়াট ভাঙ্গিতে চেষ্টা করেন, এইরূপ স্থলে বাধ্য হইয়া অপরাধীকে গুলি করিতে হয় । দুষ্ট হস্তীগুলি এইরূপে মারিয়া ফেলিয়া সমগ্র যুথকে