পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

© ᏄᏬ বাপের কাছে আছে,—আমিষ্ট কেবল বাপের কাছে থাকৃতে পেলাম না । ক্রমে সে যুবাপুরুষ হল। দেখলে, তার সঙ্গীরা সকলেই নিজের নিজের বাপকে সেবা করে, যত্ন করে,—তার মনে এই দুঃখ হতে লাগল,—আমি আমার বাপের সেবা করতে পেলাম না । সে সামান্ত রকম ছবি অঁাকৃতে জানত। ইচ্ছা হল, বাপের একখানি ছবি সে তাকে । সেই পাচ বছরের বেলায় বাপকে দেখেছিল— আবছায়৷ মত একটু মনে ছিল । সেই স্মৃতির অমুসরণ করে, নিজের সামান্য চিত্রবিদ্যার সাহায্যে, বাপের একখানি ছবি অঁাক্লে। কিন্তু আসলে সে ছবিখানি বাপের সঙ্গে কিছু মিললো না। সে সেই ছবিখানি সাম্নে রেখে রোজ প্ৰণাম করে, পুজো করে, এই রকম করে কিছুদিন যায়। একদিন সে বসে পুজো করছে, হঠাৎ তার বাপ এসে এই ব্যাপার দেখতে পেলে । তখন কি সে ছেলেকে জুড়ে নিয়ে মারতে যাবে, বলবে এ রকম ছবি একে কেন আমার মানহানি করেছিস ?—না, আনন্দে তার মন ভরে উঠবে— ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরবে ?” এই উপমাটি গুনিয়া প্রমথ ও মোহিত উভয়েই নিরুত্তর রহিল । উপমাটির সৌন্দর্য্য মোহিতকে অভিভূত করিয়া ফেলিল । যুবকগণকে নীরব দেখিয় গুরুদাস ৰাবু বলিলেন— *প্রমথ, ইনি শ্রান্ত হয়ে এসেছেন, একে নিয়ে যাও। যাও বাবাজী হাত মুখ ধুয়ে বাড়ীর মধ্যে আমার রাধাবল্লভজীউ আছেন, তাকে প্রণাম করে, জল টল খাওগে ।” প্রমথনাথ মোহিতকে লইয়া উঠিল। যাইতে যাইতে মোহিত বলিল—মূৰ্ত্তিপুজার স্বপক্ষে অনেক যুক্তিতর্ক গুনেছি কিন্তু উনি আজ গল্পচ্ছলে যে যুক্তির অবতারণা করলেন, সেটি বড়ই মুমার ।” প্রমথনাথ বলিল—“বাবা এত গল্প জানেন যে তার সংখ্য নেই। আমরা ওঁকে গল্পার্ণব উপাধি দিয়েছি— অবিশুি সেটা ওঁর অসাক্ষাতে ।” ষড়বিংশ পরিচ্ছেদ । বিলাতী চিনি । বৈঠকখানার পশ্চাতে বৰ্কিাট—তাহারই একটি মুসজ্জিত কক্ষ মোহিতলালের জন্ত নির্দিষ্ট ছিল । সেই প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩১৭ -- SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASA SAAAAS { ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড همه همه ی - ***** ه- *** تهیه میه-حه - ۰ی কক্ষের সহিত স্নানাগার প্রভৃতি সংলগ্ন । প্রমথনাথ সেই কক্ষে মোহিতলালকে লইয়া গেল । সমস্ত দেখাইয়া দিয়া, কিছুক্ষণের জন্ত বিদায় গ্রহণ করিল। কিয়ৎক্ষণ পরে ফিরিয়া আসিয়া দেখিল, মোহিতলাল হাত মুখ ধুইয়া, বস্ত্র পরিবর্তন করিয়া, প্রস্তুত চষ্টয়া বসিয়া আছে । আলমারি হইতে একখানি পুস্তক লইয়া, জানালার কাছে চেয়ার টানিয়া বসিয়া পড়িতেছে। প্রমথ বলিল—“কি পড়া হচ্ছে ?” *হক্সলির প্রবন্ধাবলী ।” “পড়ে না পড়ো না—নাস্তিক হয়ে যাবে।” মোহিত বহি রাখিয়া হাসিয়া বলিল---“আমার আস্তিকত তেমন ক্ষণভঙ্গুর নয়।” প্রমথ বলিল—“বাড়ীর মধ্যে চল । ঠাকুর প্রণাম করবে, মাকে প্রণাম করবে এস।” মোহিত উঠিয়া প্রমথনাথের পশ্চাৎ পশ্চাৎ অন্তঃপুরে প্রবেশ করিল । চকমিলানো দ্বিতল বাটী। উঠানে দাড়াইয়া একটি সাত বৎসরের বালক কলা থাইতেছে। ঝি চাকরের আপন আপন কাৰ্য্য করিতেছে। সেই বালককে প্রমথনাথ জিজ্ঞাসা করিল—“মা কোথা রে ?” আগস্তুকের প্রতি সস্নিগ্ধভাবে দৃষ্টিপাত করিয়া বালক বলিল—“উপরে।” প্রমথ তখন মোহিতকে লইয়া ঠাকুরঘরে প্রবেশ করিল। সিংহাসনোপরি কৃষ্ণপ্রস্তর-নিৰ্ম্মিত রাধাবল্লভজীউ বংশী হস্তে দণ্ডায়মান রহিয়াছেন, পাশ্বদেশে রাধিক । মোহিতলাল বিগ্রহের নিকটবৰ্ত্তী হইয়া জামু পাতিয়া বসিয়া প্রণাম করিল। তাহার পর পাশ্বের একটি কক্ষে মোহিতকে উপবেশন করাইয়া, প্রমথ মাকে ডাকিতে গেল। মোহিত দেখিল, কক্ষখানিতে ইংরাজী ধরণের আসবাব । মধ্যস্থলে একখানি বৃহৎ গোল টেবিল আছে—তাহার চারি পাশে চৌকি। চারিদিকে দেওয়ালের নিকট চারিখানি সোফা । টেবিলের উপর টানা পাথাও ঝুলিতেছে। মোহিত একখালি সোফায় বসিয়া অপেক্ষা করিতে লাগিল । কিয়ৎক্ষণ পরে প্রমথনাথ জননীকে সঙ্গে করিয়া প্রবেশ করিল। মোহিত ৰিস্মিত হইয়া দেখিল, ইহার বেশভূষা

  • ب-م ماه عبری هجده عدهه ۰--ه به " -