পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(?bー○ -هم--عه ۰عمر - به جامعه بسته هم تم উদয় দেখি । রাত্রিকালে চন্দ্র, শুক্র, শনি প্রভৃতি গ্ৰহ উপগ্রহকে যথাস্তানে দেখিতে পাষ্ট । কাজেই সমগ্র জগৎ যে ভীমবেগে চুটিয়া চলিয়াছে তাঙ্গ অনুভলক্ট করিতে পারি না। যেসকল জ্যোতিষ্ক সুর্যোর পরিবারভুক্ত নয়, যখন তাহাদের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ কার, কেবল তখনই আমরা সৌরজগতের গতি বুঝিতে পারি। জ্যোতিষিগণ ঠিক এষ্ট প্রকারেই সূর্য্যের গতি ও তাঙ্গার দিক নির্ণয় করিয়াছেন। যেসকল অতি দুরবর্তী নক্ষত্র আমাদের নিকট প্রায় নিশ্চল বলিয়া বোধ হয়, তাতাদেরই তুলনায় সৌরজগতের স্থান পরিবর্তন লক্ষ্য করিয়া, জ্যোতির্ষিগণ সুৰ্য্যের গতি আবিষ্কার করিয়াছেন। শনি, শুক্র, বৃহস্পতি প্রভৃতি গ্রচগণ যেমন একই ধারায় সুর্য্য প্রদক্ষিণ করিতেছে, নক্ষত্রগুলির মধ্যে অন্ততঃ কতক সেই প্রকার কোন যোগস্থত্রে আবদ্ধ থাকিয়া একই নির্দিষ্ট পথে চলে, এই কথাটা কিছুদিন পূৰ্ব্বে কয়েকটি জ্যোতিষীব মনে উদিত হইয়াছিল । জড়-জগতের বাহিরে যতই অনৈক্য থাকুক না কেন, তলায় তলায় গ্রন্থ চন্দ্র তারা সকলেই যে একই মহা যোগসূত্রে আবদ্ধ থাকিয়া চলিতেছে, তাত আধুনিক বৈজ্ঞানিকগণ যত ভাল করিয়া বুঝিতেছেন, বোধ হয় প্রাচীনগণ সে প্রকার বুঝিতেন না। কাজেই গ্রহ চন্দ্রের দ্যায় নক্ষত্রদিগের গতিরও একটা সাধারণ লক্ষ্য আছে বলিয়া মনে করা যাহা হউক, এই অনুমানের উপর নির্ভর করিয়া আধুনিক যুগের কয়েকজন বিখ্যাত জ্যোতিষী যে ফললাভ করিয়াছেন তাঙ্গ সত্যই বিস্ময়কর। ইহঁার বলিতেছেন, যেসকল নক্ষত্রের গতিবিধি আমাদের জানা আছে, তাহাদের এক একটি দলের গতির মধ্যে এমন কতকগুলি ঐক্য দেখা যায় যে, কেবল তাহার দ্বারাষ্ট উহাদিগকে এক পরিবারভুক্ত বলিয়া চিনিয়া লওয়া কঠিন হয় না । এগুলি কোটি কোটি মাইল দূরে থাকিয়াও কোন এক মহাকর্ষণের বন্ধনে পড়িয়া একই দিকে ছুটিয়া চলিয়াছে । আমাদের স্বর্য্য একটি নক্ষত্র । তা ছাড়া অপর নক্ষত্রদিগের দ্যায়ই ইহা গতিবিশিষ্ট । কাজেই কোন এক নক্ষত্রের বাকে থাকিয়া ইহা মহাকাশে চলাফেরা করিতেছে এরূপ অনুমান করাই যুক্তিসঙ্গত । এই যুক্তি মনে রাখিয়া কয়েক অসঙ্গত হয় নাই । প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩১৭ SAASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASSAeAMSAMMAAASAAAAASAAAA [ ১১ম ভাগ, ২য় খণ্ড ംബങ്ങ জন পণ্ডিত স্বর্থোর সহচরদিগের অনুসন্ধান আরম্ভ করিয়াছিলেন । সম্প্রতি ডাক্তার ইবান্ট (Dr. Stroobant) নানা নক্ষত্রপুঞ্জের সহিত স্বৰ্য্যের গতি তুলনা করিয়া সেই সহচরদিগের সন্ধান পাইয়াছেন । ইনি গণনা করিয়া দেখিয়াছেন, কাসোপিয়া (Cassiopeia) ও বৃশ্চিক রাশির যোগতারাগুলি, এবং উত্তর ও পূৰ্ব্বভাদ্রপদার কয়েকটি নক্ষত্র স্বর্যের সঙ্গিত প্রায় সমবেগে একই দিকে চলিতেছে । এই নক্ষত্রগুলির মধ্যে প্রায় প্রত্যেকটিই দ্বিতীয় শ্রেণীর তারা অপেক্ষা উজ্জ্বল । আমরা মোট ১০৫টি দ্বিতীয় শ্রেণীর তারকার সঠিত পরিচিত আছি । সুতরাং ইহাদেরই মধ্যে যদি আট দশটিকে স্বর্য্যের সহিত চলিতে দেখা যায়, তবে ঘটনাটিকে কখনই আকস্মিক বলা যায় না। খুব সম্ভবতঃ পূৰ্ব্বোক্ত তারাগুলি স্বর্য্যেরই সচচর । ষ্টত ছাড়া সপ্তর্ষি মণ্ডল, মিথুন, কল্প ও সিংহ প্রভৃতি রাশির মাঝে কয়েকটি নক্ষত্রের গতি ও দিক্‌ সৌরগতিব তুলনায় অভেদ বলিয়া ই,বানট সাহেব মনে করিতেছেন। এখনো এ সম্বন্ধে গণনা ¢ब्ध छग्न नांठे । ৩ । নৃতন নক্ষত্র । খালি চোখে আকাশের যতগুলি নক্ষত্র দেখা যায়, জ্যোতিষিগণ তাহার এক সম্পূর্ণ তালিক প্রস্তুত করিয়াছেন। তার পর দূরবীন্‌ দিয়া, যত নক্ষত্র দেখা যায়, ফোটোগ্রাফির সাহায্যে আজকাল তাছাও নিভু লরাপে জানা যাইতেছে । সুতরাং কোনো রাশিতে যদি হঠাৎ কোনো নুতন নক্ষত্র দেখা দেয়, তবে অতি সহজেই এখন এক্ট ব্যাপার জানিতে পার! যায় । গত ১৮৬৬ সালে, সৰ্ব্বপ্রথমে এই প্রকার একটি নূতন নক্ষত্রের আবির্ভাব দেখা গিয়াছিল । এটি এক দিন হঠাৎ দ্বিতীয় শ্রেণীর তারকার দ্যায় উজ্জ্বল হইয়া দুষ্ট দিনের মধ্যে তৃতীয় শ্রেণীর দ্যায় মলিন হইয়া পড়িয়াছিল । এই প্রকার জ্যোতিষিক ঘটনার সহিত তখন কাহারে পরিচয় ছিল না। কাজেই ব্যাপারটা সকলকেই অবাকৃ করিয়া তুলিয়াছিল। শেষে স্থির হইয়াছিল, নূতন নক্ষত্রের অধিকৃত স্থানে নিশ্চয়ই পূৰ্ব্বে একটি ক্ষুদ্র তারকা ছিল । তার পর সেইটিই কোন জ্যোতিষ্কের সংঘর্ষণে জলিয়া উজ্জল হইয়া উঠিয়াছিল।