পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] স্বদেশী ও বিদেশী বদান্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টি ইঙ্গর উপর পড়া উচিত । তাহা হইলে ইহা আরও উন্নতি লাভ করিয়া দেশের মঙ্গল করিতে পারিবে । আমেরিকা হইতে হেরম্ব বাবু ইংলণ্ডে আগমন করেন । সেখানে তিনি বেশ দিন থাকিতে পারেন নাই। পালেমেণ্টের সভা নিৰ্ব্বাচনের গোলমালে, যে কয়দিন ছিলেন, তাহার মধ্যে ও ভাল করিয়া কাজ করিবার সুযোগ পান নাই। ইংলণ্ডেও প্রকাশ বক্তৃতায় ছাড়া, ভারতের বর্তমান রাজমন্ত্রী লর্ড ক্র, প্রভৃতি কয়েকজন গণ্যমান্ত লোকের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া তিনি ভারতবর্ষ সম্বন্ধে অনেক প্রয়োজনীয় কথা পলিয়াছেন। প্রকাগু বক্ততা ও উপদেশ তিনি প্রধানতঃ এগার বাব দিয়াছিলেন ;--অক্সফর্ডে হটবার, কেম্বিজে একলাব, এবং লওনে আটবার । ধৰ্ম্মোপদেশ ও ধৰ্ম্মবিষয়ক বতুতা ছাড়া তিনি লণ্ডনে গবর্ণমেণ্টের আবকারী নীতি সম্বন্ধে একটি বক্তৃত করেন ও ভারতবর্ষের নানা বাজনৈতিক বিষয়সম্বন্ধে আরও দুই স্থানে পর্তুত করেন। সুতরাং পালেমেণ্টের সভ্য নিৰ্ব্বাচনের কোলাহল সত্ত্বেও তাহার বিলাতযাত্রা ব্যর্থ হয় নাই । বাঙ্গালাদেশে মৎস্য পালন মাছ খায় বলিয়া বাঙ্গাণার ভারতব্যাপী একটা দুনাম আছে । কিন্তু কয়েক শ্রেণীর হিন্দু ও উচ্চশ্রেণীর হিন্দু বিধবার না থাইলেও মাছ জগতের সকল জাতিরক্ট ভক্ষ্য। দুধ, ঘির ন্যায় মাছও বাঙ্গালাদেশে আজকাল ক্রমশঃ দুষ্পাপ্য হইয়া উঠিতেছে । পদ্মা নদীর ধারে এক আনায় যে “এক হালি” ( ৪টা ) ইলিশ মাছ পাওয়া যাষ্টত ইছা এখন উপকথায় পরিণত হইয়াছে । ইংরাজের বঙ্গোপসাগর হইতে সামুদ্রিক মাছ ধরিয়া কলিকাতায় চালান দিবার ব্যবস্থা করিয়াছিল । দেশে মাছের অভাব না হক্টগে ક્રિન ব্যবস্থা হইত না । এই অভাবের কারণ কি ? প্রত্যেক আদম মুমারির প্রতিবেদনে (Census Report) দেখা যায় ভারতের মোটের উপর বৃদ্ধি পাইতেছে । অতএব (১) লোকসংখ্যার অনুপাতে মৎস্তকুল বৃদ্ধি না পাচলে এই লোকসংখ্যা বাঙ্গালাদেশে মৎস্য পালন ASA SSASAS SSAS ৬০১ SAASAASAASAASAASA SAAAAA SAAAAA SAAAAA অভাব ঘটা সম্ভব। (২) পূৰ্ব্বে বাঙ্গলা দেশে যে পরিমাণ * জল ছিল এখনও সেই পরিমাণ জল আছে বলিয়া মনে হয় না । পুকুব, খাল, বিল এমন কি ভাগীরথী ও পদ্মা প্রভৃতি বাঙ্গলাব প্রধান প্রধান নদীগুলির ও জল কমিয়াছে ; জলেব পরিমাণ হ্রাস হওয়ায় মাছেৰ সংখ্যাও কমিয়া থাকিবে । (৩) আমাদেব গায় মাছেদেব মধ্যে ৪ অনেকটা খাদ্যাভাল হঠয়াছে বলিয়া মনে হয় । আজকাল সুন্দরবনের জঙ্গল আপাদ ওয়ায় ঐ অঞ্চলে বৃক্ষাদির গলিত পত্র, ফুল ও ফল নদীগর্ভে পতিত ইয়া পূৰ্ব্বেং স্তায় আর তত পচিতে পায় না। পত্রাদিতে যে বস থাকে তাঙ্ক। পচিয়া জলে মিশ্রিত গুইলে সেঙ্গ জল মৎস্তের পক্ষে বিশেষ উপযোগী চষ্টয়া থাকে। মাছেবা গলিত পত্রাদি ভক্ষণ করিয়া শরীরের পুষ্টিসাধন করে । (৪) রেলের জন্য অনেক নদী খাল নষ্ট eষ্টয়াছে , ভৈরব প্রভৃতি ছোট ছোট নদীতে সৰ্ব্বদ ঈমার যাতায়াত করায় উঠার ঝপ ঝপ । শব্দে মাছের ভয় পাচয় থাকে। যে শব্দ শুনিয়া কুমারের পর্য্যস্ত ভৗত গুচয় অন্যত্র আশ্রয় লয় সেই শব্দে যে নিরীহ মৎস্তের প্রাণভয়ে ভীত হইয়া অন্তস্থানে যাইবে না তাহার কারণ কি ? (৫) সৰ্ব্বোপরি আমাদের সমাজের অজ্ঞতা মৎস্তকুলনাশের আর একটি প্রধান কারণ। আমরা মাছের বংশ লোপ করিতে মজবুত কিন্তু কিরূপে উচ্চার সংখ্যা বৃদ্ধি করিতে হয় তাঙ্গ আদেী জানি না। গর্ভিণী জীব নাশ যে মহা পাপজনক তাহা সকলেই জানেন । কিন্তু ডমওয়াল মাছ মারা আদেী পাপজলক বলিয়। মনে হয় না । ডিমওয়াল মাছ অষ্টা) মাছ অপেক্ষা অধিক মূল্যে বিক্রীত হয় বলয় অজ্ঞ জেলের সেক্টরূপ মাছ অতি আগ্রহের সচিত ধরিয়া থাকে। পাশ্চাত্য দেশে এইরূপ মাছ ধরা আইনবিরুদ্ধ। এক একটি ডিমওয়াল মাছের নাশ হইলে যে কত মৎস্ত নষ্ট হয় তাহ সহজেই অনুমান করা যায়। একটি ইলিশ মাছের ডিম্বাণু গণিয়া দশ লক্ষ তেইশ হাজার ছয়শত পত্নতাল্লিশ হইয়াছিল। গোয়ালনা প্রভৃতি স্থানে প্রতিবৎসর যে সব ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ ধরা কষ্টয়া থাকে তাঙ্গাদের বাচ্ছা হক্টতে পাইলে ইলিশ মাছের বর্তমান অভাব হৃষ্টত কি ? ষ্টকার উপর মাছের অত্যন্ত অভাব দেখিয়া জেলেরা