পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ ο 3 ছোট ছোট পোনা মাছ ধরিতেও ক্রটি কবে না । ফলতঃ লোকসংখ্যার বৃদ্ধি, জলের অল্পতা, খাদ্যের অভাব, ডিমের নাশ প্রভৃতি কারণে বাঙ্গাগা দেশে মাছের অভাব ঘটিয়াছে । ইহা ভিন্ন রেল ও ষ্টীমারের প্রচলন হওয়ায় যেসকল স্থানে পূৰ্ব্বে মাছ যাইত মা এখন সেসকল জায়গায় অনায়াসেই চালান যাইতেছে । গ্রীষ্মকালেও যাঙ্গতে দুবদেশে চালান দেওয়া যায় তাহার জন্ত আজকাল লরফ দ্বারা বাক্স প্যাক করিয়া মুতরাং স্থানীয় বাজারে যে মাছ দুষ্পাপ্য ও দুৰ্ম্ম,ল্য হইবে তাঙ্কাতে আর সন্দেহ কি ? যাঙ্গতে পুষ্করিণী, বাধ প্রভৃতি ক্ষুদ্র জলাশয়ে মাছ পোষা যায় তাহার চেষ্টা করা দরকার । এ দিকে ঝোক দিলে অল্প ব্যয়ে প্রভূত এবং সেই সঙ্গে পল্লীর পুকুরগুলির সংস্কার সাধিত ও্যামের স্বাস্থ্যের উন্নতি চক্টতে পারে । কিরূপে বদ্ধ জলাশয়ে মাছ পোষা যায় তাহ। বহুকাল হইতে নানা দেশের লোকেই জানে । এদেশে জেলের বর্ষাকালে গঙ্গা, দামোদর, পদ্ম প্রভৃতি নদী হইতে মৎস্তের পোন (fry-fish) ধরিয়া থাকে । পাঠান হইতেছে । us]*[z{ লাভ কষ্টয়া কয়েক বৎসর চক্টতে মুর্শিদাবাদের নিকটস্থ ভাগীরথীতে পশ্চিম বঙ্গের জেলের বিস্তর পোন ধরিতেছে । লোকে সেই পোন পুকুরে ছাড়িয়া মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করে । অবলম্বন করিলে অতাল্প ব্যয়ে সংসারের খরচ বাদে ও অনেক টাকার মাছ বেচিয়া লাভবান হইতে পারা যায় । যৌথ কারবারে আমরা অভ্যস্থ নষ্টি । সুতরাং মূলধনের অভাবে আমব বস্তৃব্যয়সাপেক্ষ কারবার অা বস্তু করিবার উপযুক্ত নতি ; তবে অল্প মূলধনেও যেসকল এই সহজ উপায় ব্যবসায়ে বিস্তর লাভ হইতে পারে মৎস্তপালন তাতার মধ্যে একটি । ইহার আর একটি স্ববিধ এষ্ট যে প্রত্যেক পল্লীগ্রামেও মাছের খরিদদারের অভাব নাই । সুতরাং দূরদেশে চালান দিতে ন পারিলেও ক্ষতির আশঙ্কা নাই । কিরূপে সহজে মৎস্তসংখ্যার বৃদ্ধি করা যায় তাহাই এখন বিবেচ্য। ঈষ্টপুষ্ট সবলদেহযুক্ত জীবেরই অধিক সন্তান হষ্টয় থাকে অনশনক্লিষ্ট দুৰ্ব্বল জীবের সন্তান অধিক চওয়া কি সম্ভব ? স্বতরাং মাছের বংশবৃদ্ধি করিতে চইলে উহাদের থাষ্ঠের উপযুক্তরূপ যোগান আবশুক । প্রবাসী—ফfন্তুন, ১৩১৭ [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড মনুষ্য, পশু, পক্ষী প্রভৃতি জন্তুসকল যেমন একমাত্র বায়ুর সাহায্যে জীবনধারণ করিতে পারে না, মাছেরাও সেইরকম কেবলমাত্র জল খাষ্টয়া বাচিতে পারে না ; বায়ু ও জলের সঙ্গে খাদ্যেরও প্রয়োজন । মণ মাছ অনুসারে বিশ্লেষণ করিয়া তাঙ্গতে ২০ ভাগ নাইট্রোজেন, ৮০ ভাগ প্রস্ফরস মিশ্রিত অম্ল ও ৪॥০ ভাগ ক্ষার দেখা যায় এবং তৈলজ পদার্থ শতকরা ১৯ ভাগ থাকে ( কৃষিগেজেট ১ম খণ্ড )। অতএব ঐ কয়েকটি পদার্থ যে মৎস্ত্যশরীর গঠনকার্য্যেব উপযোগী ? তাহা বেশ বোঝা যায়। মনুষ্য, পশু, পক্ষী প্রভৃতির দ্যায় মৎস্তাদিগকে শরীরের তাপ (animal heat) væri করার জন্ত পেশা পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করিতে হয় না । পুকুব, খাল, বিল, নদী প্রভৃতি জলাশয়ে যেসকল পচা পাতা, শেওলা, দাম এবং অন্যান্স প্রাণীসমূহের মলমুত্রাদি Ֆ Հ|օ রাসায়নিক প্রক্রিয়া পড়ে বা থাকে তাঙ্গতে পূৰ্ব্বোক্ত নাইট্রোজেন, প্রখ,বসমিলিত অম্ল ও ক্ষণব থাকে বলিয়। ঐ সকল দ্রব্য আহার করায় মাছের শরীরপোষণ ও ভার অত্যস্ত বৃদ্ধি হইয়৷ থাকে। যেসকল পুকুরে লোকে স্নান কবে এবং থালা বাসনাদি ধোয় সেই সকল পুকুরের মাছ মিউনিসিপাল পুকুরের মাছ অপেক্ষা অনেক হৃষ্টপুষ্ট ও বড় হইয়া থাকে। ইহার কারণ এই যে মিউনিসিপাল পুকুরে দাম, শেওলা, পচা পাতা, মলমুত্রাদি পদার্থ না থাকায় অপেক্ষাকৃত খাদ্যহীন বিশুদ্ধ জল থাইয়া থাকিতে হয় বলিয়া মাছ বড় হইতে পারে না । সার জে, বি, লজ বলেন স্কটলণ্ডের প্রস্তরময় উচ্চ ভূমি হইতে যেসকল নদী নির্গত হইয়াছে ঐ সমুদায় নদীর জলে যবক্ষার অল্প (nitric acid) নাই এবং ঐ জলে এমন কোন পদার্থ দৃষ্ট হয় না যাহার সাহায্যে জলজ উদ্ভিদ জন্মিতে পারে । কাজেই জলজ উদ্ভিদভোজী কীট এবং মৎস্ত ঐ জলে বাস করে না । স্কটলণ্ডের অধিকাংশ সুন্দর নদী কিংবা হ্রদে কোন জাতীয় মৎস্ত দেখা যায় না। কিন্তু ঐ প্রদেশের উচ্চ ভূমিতে একটি বিভাগ আছে ; তাহাতে কতকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রবাহ রহিয়াছে । উতাদের মধ্যে ট্রাউট জাতীয় একপ্রকাব মৎস্ত দেখা যায় ; উচ্চাদের এক একটির ওজন এক ছটাকের বেশ কদাচ ইষ্টয়া থাকে । কিন্তু দুইটি