পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

と>b SSAS A SAS SSAS SSASAS SSAS SS SS SS রাজার বিদ্রোঙ্গ প্ৰজাগণের সহানুভূতির স্থলবর্তী কেন্দ্রভূমি বস্থদেবের হাতের বন্ধন খুলিয়া দিবার লোকের অভাব হয় না, সেজন্য কোন অলৌকিক শক্তির প্রয়োজন নাই । এরূপ স্থলে মায়াদেবীর সহায়তা ব্যতীত ও প্রঙ্গরিগণকে নিদ্রিত করিয়া ফেলা যায় । সুতরাং এমন সময় যদি রজনীযোগে ঝড় বৃষ্টির আচ্ছাদনের সুযোগে অনার্য্যপতি বাসুকী সঙ্গস্ত্ৰ অনুচর সহ সাঙ্গায্যের জন্ত দণ্ডায়মান চন তবে পুত্ৰক্রোড়ে বসুদেলের পক্ষে ভাদ্র মাসের যমুনা পার হওয়াটা একটা কষ্টকর কার্য্য চক্টবে না । কিন্তু অলেীউপাখ্যানকে স্বাভাবিক ঘটনার ভূমিতে আনিতে পারিলেই যে তাহ ইতিহাস হইল, তাহ। নহে । ইতিহাস কষ্টবার পক্ষে প্রথম অণপত্তির নিরসন হইল মাত্র । এখন স্বাধীন প্রমাণের দ্বারা আখ্যtiয়কাকে ইতিহাস রূপে গড়িয়া তুলিতে হইবে । সে অতি দুরূহ ব্যাপার । ইতিহাস হইলেও এতদূর হইতে কোনও ঘটনাকে ইতিহাসরূপে প্রমাণ করা বহু আয়াসসাধ্য। তারপর ইতিহাসকে অবলম্বন করিয়া যখন কাব্য বা উপন্যাস রচিত হয় তখন ইতিহাস আরও জটিলতা-জালে আচ্ছন্ন হইয় পড়ে । কবি তো চিত্রকর । তিনি যেখানে যেটি ভাল পাইবেন তাতারই একত্র সমাবেশ করিয়া চিত্রাঙ্কণ করিবেন। তিনি যে দশ জায়গা হক্টতে উপাদান সংগ্ৰচ করিলেন তাঙ্গা ঐতিহাসিক হইলেও তিনি যে চিত্র আঁকিলেন তাঙ্গ তো আর ঐতিহাসিক বলিয়া ধরিয়া লষ্টতে পারি না। এতদূর হইতে ঐ চিত্র বিশ্লেষণ করিয়! তাহার অংশগুলির ঐতিহাসিকতা প্রমাণিত করা যে একরূপ অসাধ্য তাহা বলা মিশ্রয়োজন । ২ । দ্বিতীয়তঃ, কতকগুলির মূলে আধ্যাত্মিক ভাবের রূপক—যেমন চওঁীকাব্য । মানব-অন্তরে বা মানবসমাজে দেবাম্বরের সংগ্রাম সৰ্ব্বদাই চলিতেছে এবং “সৰ্ব্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা” দেবীর কৃপায় অসুরগণ চিরদিনই পরাজিত হইতেছে, ইহা প্রতিদিনের অভিজ্ঞতালব্ধ সত্য । ইহাই অাখ্যায়িকার উপাদান । কিন্তু আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা বস্তুটি এরূপ ব্যাপক যে এমন ক্ষেত্র নাই যেখানে ইহা খাটিবে না। প্রত্যক্ষ দৃষ্ট ঘটনার আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা বিরল নছে । সুতরাং আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা সত্ত্বেও যদি কিকতা বর্জন করতঃ প্রবাসী—চৈত্র, ১৩১৭ S SAASSSMSAAAAAA SAAAA SAS A SAS SSAS SSASAS AASAASAASAASAAeSAASAASAASSAAAAAAS AAAAAS AAASASAS SSAS SSASAAA S [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড = ده"-- ۳-هی ه" عهه هاه - - ه اع هه ۰صه ه۹-مصیس هم ماه مه ***م কোন গল্পের অন্ত ব্যাখ্যা পাই তবে তাহ গ্রহণ করিতে অামাদের আপত্তি নাই । ৩ । তৃতীয়তঃ, বহু আখ্যায়িক জ্যোতির্ষিক রূপকের উপর প্রতিষ্ঠিত । তাঙ্গার মধ্যে দক্ষযজ্ঞ একটা সৰ্ব্ব প্রধান । ঈহার অাখ্যান বস্তু সকলেই অবগত অাছেন । দক্ষের আটাশ কন্সার একজন সতী, শিবের পত্নী। কোন কারণে জামাই শ্বশুরে বিবাদ হইলে, শিবকে নিমন্ত্রণ না করিয়া দক্ষ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন । এই যজ্ঞে পতিনিন্দ। শুনিয়া সতী দেহত্যাগ করিলেন, সুতরাং শিবামুচরগণ যজ্ঞ নষ্ট করিয়া দক্ষের প্রাণ সংহার করিল । শেষে দক্ষপত্নী প্রস্থতির প্রার্থনায় ছাগমুণ্ডে দক্ষের পুনরায় জীবন লাভ হইল । ইহার মধ্য হইতে জ্যোতির্ষিক রূপক বাহির করিতে চইলে হিন্দু জ্যোতিষের ইতিহাস কিঞ্চিৎ আলোচনা করিতে এই আলোচনায় প্রমাণ হৃষ্টবে, যাহারা মনে হিন্দু জ্যোতিষ গ্ৰীক জ্যোতিষের প্রতিবিম্ব (reflection) মাত্র তাহার। যেমন ভ্রান্ত, তেমনি আবার, যাহারা মনে করে হিন্দুগণ কাহারও নিকট হইতে কখনও কিছু ধার করেন নাই, জগৎকে কেবল ঋণ দিয়াই আসিয়াছেন তাহারাও তেমনি ভ্রান্ত । হিন্দুগণ যে অন্ত নিরপেক্ষ ভাবে আপনাদের নক্ষত্রচক্র আবিষ্কার করিয়া ছিলেন সে বিষয়ে বোধ হয় আর কোনই সন্দেহ নাই । এই নক্ষত্র চক্রে প্রথমতঃ আটাশ নক্ষত্র ছিল । ইহার চন্দ্রের ভ্রমণপথে অবস্থিত। সুতরাং পৌরাণিকের দক্ষপ্রজাপতির আটাশ কন্যা, এর মধ্যে ২৭টি চন্দ্রের সঙ্গে বিবাচিত। একটি পথ ইষ্টতে বহুদূরে অবস্থিত, ইহার নাম সতী বা অভিজিৎ (Vega), সেইজন্ত বোধ হয় ইহাকে চক্সের পত্নী করা হয় নাই। হিন্দু জ্যোতিষের গণনা এই নক্ষত্রচক্রের উপরই প্রতিষ্ঠিত ছিল । কালক্রমে বিদেশ হইতে রাশিচক্রের আবির্ভাব হইল। একদল এই রাশিচক্রের পক্ষপাতী হইয়া উঠিলেন। কেন না, নক্ষত্রচক্র অপেক্ষা রাশিচক্র উন্নততর। তাহারা বলিলেন রাশিচক্র লইয়া নক্ষত্রচক্রের সঙ্গে মিলাষ্টয় দেওয়া হউক। কিন্তু তাহা করিতে হইলে নক্ষত্র চক্রের মধ্যে অভিজিৎকে রাখা যায় না । অভিজিৎ রাশিচক্রপথের অত্যন্ত বাহিরে অবস্থিত। তাই প্রস্তাব হইল অভিজিৎকে পরিত্যাগ করা যাক্ । হইবে । করে