পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SAASAASAASAASAASAA AAASA SAASAASSAAAASA SAAAAS AAASASAAAA ৬২২ প্রথমতঃ দেখাইয়াছেন যে বৈদিক আখ্যান ও পরবর্তীকালে মেঘকেই লক্ষ্যস্থলে রাখিয়া যে সকল আখ্যান প্রস্তুত হইয়াছে উভয়ের মধ্যে ভাষা ও উপমা ইত্যাদিতে বিস্তর পার্থক্য । মনে কয় যেন দুষ্ট সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র বিষয়ের বর্ণনা পাঠ করিতেছি । অন্যদিকে আবার তিনি পাশ্চাত্য সাহিত্য হইতে, —যেমন লাটিন, নান শাখায় বিভক্ত প্রাচীন টিউটনিক, বর্তমান ইংরাজী, জাৰ্ম্মান, সুইডিস প্রভৃতি ভাষা হইতে— গাথা সংগ্ৰহ করিয়া দেখাইয়াছেন যে ইহাদের সঙ্গে বৈদিক আখ্যানের অপূৰ্ব্ব সামঞ্জস্ত রহিয়াছে। কিন্তু এ সব সাহিত্যে তো গ্রীষ্ম বর্ষার বিবাদ নয়, এ যে শত বসন্তের কোন্দল। এই সব উত্তর প্রদেশের সাহিত্যের বর্ণনীয় বিষয় এই, যে, শীত নদী প্রস্রবণ সকল আট্‌কাইয়া রাখিয়াছে, বসন্ত আসিয়া তাছাদের শিকল ছিড়িয়া তাহাদিগকে মুক্ত করিয়া দিল এবং তাহারা আনন্দে নৃত্য করিতে করিতে ছুটিয়া চলিল। বেদে বর্ণনীয় বিষয়, বুত্র জলস্রোত পৰ্ব্বতে বদ্ধ করিয়া রাখিয়া শৃঙ্খলব্ধপে যেন তাহার চারি পাশে ঘিরিয়া রহিয়াছে, ইন্দ্র অসুরকে বধ করিয়া জলস্রোত প্রবাচিত করিয়া দিলেন। অর্থাৎ বুত্র মেঘামুর বা গ্রীষ্মমুর নহেন কিন্তু শিশিরদানব, যে পৰ্ব্বতগহবরে জলস্রোত বরফাকারে কঠিন করিয়া বাধিয়া রাখিয়াছে । ইন্দ্রদেব বসন্ত-স্বৰ্য্যরূপে আবিভূত হইয়া সে বন্ধন মুক্ত করিয়া দিলেন কিন্তু ইহ যে ভারতের কোনও প্রাকৃতিক ঘটনার সঙ্গে মিলে না তাঙ্গার কি ? পৃথিবীর উত্তর প্রদেশ সকলে শীতকাল অতি দীর্ঘ এবং শীতের অত্যাচারে সমস্ত প্রকৃতি একেবারে ম্রিয়মাণ হইয়া পড়ে । সেখানে শীতকালকে দানবকাও মনে করা কিছুই আশ্চর্য্য নহে । আবার যখন শীতান্তে বসন্তের আগমনে অসুরকরকবলিত। পীড়িত প্রকৃতি মুক্তিলাভ করতঃ নব ভাবে নব আনন্দে জাগরিত হইয়া উঠেন, বিশেষভাবে জলস্রোত তুষার বন্ধনমুক্ত হষ্টয়া নৃত্য করিতে করিতে পৰ্ব্বতকদের হইতে নামিয়া আসিয়া ধরণীতল প্লাবিত করত: আবার মুহামল তৃণগুলো ধরাপৃষ্ঠ স্থশোভিত করিয়া তোলে, তখন তাহাকে দেবতার কৃপা বলিয়া মস্তক পাতিয়া গ্রহণ করাটাও কিছু বিস্ময়কর নছে এবং উত্তর দেশের কবিগণের কাছে এ গাথা কখনও পুরাতন না হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু ভারতবর্ষের প্রবাসী—চৈত্র, ১৩১৭ SMAMAeMMAMSAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS g [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড চতুঃসীমার মধ্যে ইহার অনুরূপ ঘটনা কোথায় ? প্রশ্ন এক্ট, ঋগ্বেদের কোনও সমস্তার পূরণের জন্ত কি ভারতের চতুঃসীমার মধ্যে আবদ্ধ থাকাটা অপরিহার্য্য ? আৰ্য্যগণ যে ভারতবর্ষের আদিম অধিবাসী নহেন, তাহারা যে কোনও উত্তর প্রদেশ হইতে আসিয়া এখানে উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছিলেন ইহা তো সৰ্ব্ববাদীসম্মত কথা । তাহারা পঞ্চনদ প্রদেশে বসিয়া বেদ লিপিবদ্ধ করিয়া থাকিতে পারেন, কিন্তু তাহার উপাদান উক্ত দেশ হইতে নাইবা সংগ্ৰহ করিলেন ? এ কথাটা পণ্ডিতগণ বহু দিন পূৰ্ব্বেই নিৰ্দ্ধারণ করিয়াছেন যে ঋগ্বেদের কবি কোন কোন বিষয়ে এমন ভাবে কথা বলেন যাহাতে মনে হয়, যাহা তিনি বর্ণনা করিতেছেন তাহা তাহার নিজের গোচর কখনও হয় নাই, কেবল জন প্রবাদের উপর নির্ভর করিয়াই বলিতেছেন । এমন কি, সময়ে সময়ে মনে হয় যে বর্ণিতব্য বিষয়ের উপলক্ষিত দেব বা দানবের অর্থ কি তাহাও যেন তাহার বুদ্ধির অধিগম্য নহে । যে ইন্দ্র-বুত্র-সংবাদের উপাদান র্তাহারা আপনাদের আদিম আবাসভূমির ঘটনা হইতে সংগ্ৰহ করিয়া মৌখিক আখ্যায়িকারূপে সঙ্গে করিয়া আনিয়াছিলেন, তারপর লিখনপ্রণালীর আবিষ্কার হইলে স্মৃতি হইতে তাঙ্ক লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, তবে কি একটা অসম্ভব কল্পনার আশ্রয় লওয়া হয় ? তিলক বলিতেছেন, এ রূপকের উপাদান আর্য্যগণ আদি বাসভূমি স্বমেরু প্রদেশ হইতে লইয়া আসিয়াছেন। র্তাহার মতে বৃত্র যে জল চরণ করে তাহা আর কিছুই নহে cosmic waters ol watery vapours its coff cof প্রদেশের মুদীর্ঘ শীতরজনীর অন্ধকারে আর খুজিয়া পাওয়া যায় না, কোন পাতাল পুরীতে চলিয়া যায়। একটা সুন্দর ছবির সাহায্যে তিনি এই বিষয়টা বুঝইয়া দিয়াছেন। কেন যে পরবর্তী সময়ে বৃত্রকে সর্প রূপে কল্পনা করা হইয়াছে উক্ত চিত্রে তাহারও আভাস পাওয়া যায় । আমরা র্তাহার সঙ্গে এতদূর যাইবার জন্য এখন প্রস্তুত না হক্টলেও আমাদের মতন আর্য্যসস্তানদিগকে আর্য্যদেশ ও ম্লেচ্ছদেশের পার্থক্য ভুলিয়া বাপ পিতামহের অনুসন্ধানে একটু ঘরের বাহির হইতে হইতেছে সে বিষয়ে আর সন্দেহ নাই । আফগানিস্থান হইতে বাহির হইয়া সুতরাং এখন যদি মনে করা যায়