পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS কথাটি যেন মনে রাখেন যে হঠাৎ একবারে মৎস্ত মাংস ত্যাগ করিয়া পাকা নিরামিষাশী হইতে চেষ্টা করিতে নাই—তাহাতে পেটের নানা প্রকার গোল যোগ উপস্থিত হয় এবং সে গোলযোগ কিছুতেই যায় না। কিন্তু নিরামিষ আহারের সহিত যদি অল্প মাত্রায় মৎস্ত কিম্বা মাংস ভক্ষণ করেন, তৎক্ষণাৎ তাছা দূর হয় । সুতরাং পাক আমিষাশীর পাকা নিরামিষাশী হওয়া একরূপ দুষ্কর ব্যাপার। মৎস্ত মাংসের পরিমাণ অবশ্য খুবই হ্রাস করা যাক্টতে পারে কিন্তু একবারে ত্যাগ করা ইতাদের পক্ষে একরূপ অসম্ভব বলিয়াই মনে হয় । বৃদ্ধ বয়সে দেহের ওজনের স্বভাবতই হ্রাস হয়। অনেকে মনে করেন পূৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক পরিমাণে আহার করিয়া দেহের এই ক্ষয় দূর করা আবশুক। সাধারণতঃ ইহার কোন অবিশু্যক নাঈ। SAASAASAASAASAASAASAASA SAASAASAASAAAS তবে শরীরের ওজন যদি সহসা কমিয়া যায় কিম্বা শরীর যদি অসম্ভবরূপেই ক্লশ হইতে থাকে তবেই খাদ্যের পরিমাণ বৃদ্ধির আবগুক নচেৎ নহে। পরীক্ষা দ্বারা স্থির গুইয়াছে যে ৬০।৭০ বৎসর বয়ক্রমের পর শরীরের ভার হ্রাস হওয়াই স্বাভাবিক। এ বয়সে শরীরের ভার বৃদ্ধি হওয়া ভাল লক্ষণ নহে। এজন্ত বৃদ্ধ বয়সে কাহারও দেহের যদি বৃদ্ধি হইতে দেখা যায় তাহ হইলে খাদ্যাদির পরিমাণ, ( বিশেষতঃ পুষ্টিকর খাদ্যেৰ পরিমাণ ) হ্রাস করিয়া এই ভার কমান উচিত। খাদ্য ও আকার সম্বন্ধে কি কি নিয়ম পালন করা দরকার তাহ জানিবার জন্য অনেকেরই বিশেষ একটা আগ্রহ দেখা যায়। তাহাদের এ ঔৎসুক্যটি মিটান কিন্তু একরূপ অসম্ভব ব্যাপার। খাদ্য সম্বন্ধে কোনরূপই সন্তোষজনক ধারাবাহিক নিয়ম বাধিয়া দেওয়া চলে না । ব্যক্তিগত অভ্যাস, শরীরের অবস্থা, বয়স, পরিশ্রমকাল প্রভৃতির উপর খাদ্যের তারতম্য ও পরিমাণ বিশেষ ভাবেই নির্ভর করে। ইহা ব্যতীত, দেশকাল আবহাওয়া প্রভৃতির উপরও ইহা কম নির্ভর করে না । যে নিয়ম সৰ্ব্বদেশে সকলের পক্ষে প্রয়োগ করিতে পারা যায় না তাহা কোন মতেই সঙ্গত নিয়ম বলা যাইতে পারে না । এই কারণে আহারাদি বিষয়ে কোনরূপই সাধারণ নিয়ম সম্ভব নয় । অকালবাৰ্দ্ধক্য নিবারণ ও দীর্ঘ জীবনলাভের উপায় • Jుల్ఫి SAASAASAASAAeS MAAASAAAAS AAASASASS =حي حي - سري - ه ---عميم ع নাতি শীত নাতি গ্রীষ্ম দেশবাসী একজন মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির কি কি দ্রব্য কি পরিমাণ ভোজন করা উচিত তাহার তালিক প্রদান করিলাম। এ ব্যক্তির ওজন যদি ১ মন ৩০ সের হয় আর দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ছয় সে যদি প্রতিদিন ৩ ক্রোশ করিয়া ভ্রমণ করে আর ৬৭ ঘণ্টা কাৰ্য্য করে তাহ হইলে তাহার স্বাস্থ্য ও সামর্থ্য রক্ষার জন্ত এইরূপ আহার করা আবশু্যক হয় -দুগ্ধ ১ সের ; রাধা মাংস ৩/৪ ছটাক ; ভাত বা রুটি আধসের ৩ পোয় ; তরিতরকারী ৮ ছটাক ; আলু ৮ ছটক ; স্কৃত ১ ছটাক ; লবণ r/4 ounce ( আধ কঁাচ্চ ) ; জল ১le সের । পশু মাংসের পরিবর্তে মৎস্ত বা পক্ষীমাংস ব্যবহার করা যাইতে পারে। দধি ও ঘোল ভাfর উপকারী । Gout ( বাত ) রোগে ইহার একপ্রকার ঔষধ বলিলেই হয় । অধ্যাপক মেচেনিকফ বলেন মামুষের পেটের মধ্যে নানাপ্রকার জীবাণু বাস করে। এইসকল জীবাণু সৰ্ব্বদাই একরূপ বিষ স্বষ্টি করে । সেই বিষ রক্তের মধ্যে শোষিত হইয়। শরীরের বিশেষ অনিষ্ট ও অকালবাৰ্দ্ধক্য উৎপন্ন করে। দধি বা ঘোলে এই সব জীবাণু বিনষ্ট হয়—সুতরাং অকালবাৰ্দ্ধক্যও নিবারিত হয়। উপরে যে থাষ্ঠের তালিকা প্রদত্ত হইল তাহ অবশু মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির পক্ষে । ১৪•ছইতে ২০ বৎসর বয়স্ক ছাত্রদিগের পক্ষে উক্ত প্রচুর নহে। ইহাদের পক্ষে মৎস্ত মাংসাদিরও পরিমাণ বেশি হওয়া আবশুক । ১২ হইতে ১৮ বৎসরের বালিকাদিগের পক্ষেও ঐ নিয়ম। মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিদিগের অপেক্ষ ইহাদেরও অধিক খাদ্যের আবগুক হয়। বৃদ্ধদিগের পক্ষে খাদ্যের পরিমাণ খুবই অল্প হওয়া উচিত। ৫•।৬০ বৎসরের ব্যক্তিদিগের পক্ষে যুবকদিগের ; পরিমাণ খাদ্য যথেষ্ট । ৬৫ বৎসরের উৰ্দ্ধবয়স্ক ব্যক্তিদিগের অৰ্দ্ধেক ভোজন করা উচিত। বৃদ্ধ বয়সে মাছ মাংস দাইল প্রভৃতির পরিমাণ যতই কমান যায় ততই মঙ্গল । খাদ্য সম্বন্ধে সব ক্ষেত্রেই যে আঙ্গর সম্বন্ধে পূৰ্ব্বোক্ত নিয়ম পালন করিতে হইবে তাহার কোন অর্থ নাই। সৈন্তগণ যে সময় যুদ্ধে ব্যাপৃত থাকে সে সময় পূৰ্ব্বোক্ত হিসাবে আহার করিলে চলিবে না। অভ্যস্ত পরিশ্রম অপেক্ষা অধিক পরিশ্রম করিতে হইলে খাদ্যের পরিমাণও বৃদ্ধি হওয়ার