পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮼ8Ꮼ - ** **-** ***...* **.------- অতি সামান্তই দৃষ্ট হইয় থাকে। মুক্তিফৌজের এই সৈনিকগণ জড়রাজ্যের পরিবর্তে মনোরাজ্য অধিকারে সাধ্যাতীত শক্তি প্রয়োগ করিয়া গিয়াছেন। ভারতীয় ভাব উন্মেষক অনুকুল অাব হাওয়ার সহিত র্তাহাদের সরল ধৰ্ম্মমতগুলি মিশ্রিত হইয়া তাহাদিগকে অজেয় প্রায় করিয়া তুলিয়াছিল। রামাননা, গোরক্ষনাথ, কবীর, নানক, বল্লভাচার্য্য, ও চৈতন্ত্যাদি ভারতীয় ধৰ্ম্মবীরগণ যথা সময়ে আসিয়া যদি তাৎকালিক ভারতীয় সমাজের সঙ্গে একটা রফা বন্দোবস্ত না করিতেন তাহা চক্টলে ভারতের পরবর্তী ইতিহাস কি ভাবে লিখিত হইত কে বলিতে পারে! যাহাই হউক আমাদের এই উত্তর বঙ্গে কথিত পীরশ্রেণীর কৰ্ম্মক্ষেত্র নিতান্ত সঙ্কীর্ণ ছিল না। প্রতি জেলাতেই দুই চারিট করিয়া ইহঁাদের সমাধি বা আশ্রম বিদ্যমান থাকিয়া আজ পর্য্যন্ত এষ্ট ধৰ্ম্মবীরগণের কীৰ্ত্তি ঘোষণা করিতেছে । একশত বৎসর পূৰ্ব্বে যপন হেজাজ যাতায়াতের পথ অপেক্ষাকৃত দুর্গম ছিল, সেই সময়ে এতদঞ্চলের মুসলমানদের নিকট পাণ্ডুয়া, মঙ্গাস্থান, ও পাঞ্জতনের ( জেলা গোয়ালপাড়া ) দরগা তীর্থ বলিয়া পরিগণিত হইত। ক্রমান্বয়ে ইসলামের শিক্ষার বিরুদ্ধে বিবিধ আচার অনুষ্ঠান ঐ সব পীরস্থানে আচরিত হইতে থাকায় এবং বঙ্গীয় মুসলমান সমাজেও ভক্তিভাব উত্তরোত্তর খকীরুত হইতে আরম্ভ হওয়ায় এই পীরস্থানগুলির দুর্দশা আরম্ভ হইয়াছে। অধিকাংশ স্থলেই পীরোত্তর সম্পত্তি ব্যক্তিবিশেষের প্রয়োজন সাধনে নিযুক্ত। মন্দির বা সমাধিগুলির অবস্থা অনেক স্থলেষ্ট শোচনীয়। পীরসাহেবগণের যথার্থ পরিচয় ও র্তাহীদের জীবনের ঘটনাবলী বিবিধ অলৌকিক ও অসম্বদ্ধ ঘটনাদ্বারা আচ্ছন্নপ্রায়। অধিকাংশ স্থলেই সত্যউদ্ধার সম্বন্ধে নিরাশ হইতে হয়। কয়েকবৎসর যাবৎ আমাদের এই উত্তরবঙ্গের পীরস্থানগুলির একটা তালিকা সংগ্রঙ্গের দুরাশা আমি অস্তরে পোষণ করিতেছি। কিন্তু আমার দ্যায় অযোগ্য ব্যক্তির দ্বারা এই কাৰ্য্য সমাধা হইবার কোন সম্ভাবনা দেখা ৰাইতেছে না। উপস্থিত সাহিত্যিক মহোদয়গণকে এই কার্বে প্রবৃত্ত হইতে আমি সনিৰ্ব্বন্ধ অনুরোধ নিবেদিতেছি। অস্তুতঃপক্ষে আমাকে সাহায্য ও উপদেশ প্রদান করিলে প্রবাসী—চৈত্র, ১৩১৭ SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASم۔".....۔===...مہ**ے. ہمہ ---.. ہم"حاجیعی مهمی مهیه مجیحس هم به همهه۰۰۰صه هاه...srسیاه، ۰یسی-هه ۳۰»، «ه-s- همهSAASAASAASAASAASAASAASAASAAASدههه «هده جبهه ۰عمی.» به مسی [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড পথ অনেকটা সহজ হইতে পারে। যাহাই হউক আমি এ যাবৎ যতদূর সংগ্ৰহ করিতে সক্ষম হইয়াছি আপনাদের সমক্ষে প্রকাশ করিতে চেষ্টা পাটব । সাহিত্যসন্মিলনে প্রবন্ধ পাঠের জন্ত যে সময় নিরূপিত হয় তাহ প্রয়োজনের তুলনায় অতি সঙ্কীর্ণ। এজন্ত আমার সংগ্ৰহ হইতে তিনজন পীরের সংক্ষিপ্ত বিবরণ অত্র প্রবন্ধে উল্লেখ করিতেছি। বলা বাহুল্য যে প্রদত্ত বিবরণে ভ্রম প্রমাদ থাকা কিছুমাত্র আশ্চৰ্য্য নহে। তাঙ্গর সম্ভাবনা আমি পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করিয়াছি । যে তিন জন পীরের নাম আমি উল্লেখ করিতেছি র্তাহারা যে কেবল উত্তরবঙ্গেই মাননীয় ছিলেন এরূপ নহে । তাঙ্গাদেব চরিতাপলা বিবিধ ছন্দে পোল, করতালাদির সাহায্যে বঙ্গের প্রায় সৰ্ব্বত্রই গীত চষ্টয়া থাকে । ইহাদের মধ্যে সত্যপীরের নাম সৰ্ব্বাগ্রে উল্লেখ করা যাক্টতে পারে । ইচ্চার কোন নির্দিষ্ট দবগা আছে ললিয়া জানিতে পারি নাই। সাধারণতঃ ভাদ্র মাসে আটা, কল, গুড় ও দুগ্ধ একত্রে মিশ্রিত করিয়া এষ্ট পীরের অপক্ক সিরণী লোককে ভোজন করাইবার রীতি অাছে । ইহার দেহত্যাগ ও সমাধি কোথায় হইয়াছিল এ পর্য্যস্ত আবিষ্কৃত হয় নাই । পুথি পাঠে জানা যায় যে মালঞ্চ নগরের হিন্দু অধিপতি মৈদলব রাজার অবিবাহিত কন্ত সন্ধ্যাবতীর গর্ভে ভগবদিচ্ছায় বিনা পিতায় সত্যপীরের জন্ম হয় । তিনি ঐশ্বরিক জ্ঞানে বিভূষিত হইয়া মাতৃগর্ভ হইতে ভূমিষ্ঠ হয়েন এবং পিতামহ সহ অন্তান্ত বহু লোককে ইসলামিক মতে দীক্ষিত করেন । ইহা বাতীত অনেক অলৌকিক কার্য্যও র্তাহার দ্বারায় সাধিত হইয়াছিল বলা হয়। পুথি হইতে মোটামোটি এই সত্য গৃহীত হইতে পারে যে সত্যপীর মূলে হিন্দুসস্তান ছিলেন। উত্তর কালে ইসলাম মত গ্রহণ করতঃ একজন সাধক ও ধৰ্ম্মপ্রচারক বলিয়া জনসমাজে বিখ্যাত হয়েন । অল্প দিন হইল এই পীরের জন্মস্থান আবিষ্কৃত ষ্টয়া রঙ্গপুর শাখা সাহিত্যপরিষৎ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় আমরা বিশেষ উপকৃত হইয়াছি। মালঞ্চ নগরের অবস্থান উত্তরবঙ্গ ষ্টেট রেল" ওয়ের জামালগঞ্জ ষ্টেসন হইতে ৪ মাইল পশ্চিমে এবং দিনাজপুরের অন্তর্গত পত্নীতলা থান হইতে ২০ মাইল