পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ֆ(t Ն. ছিল । বর্তমান সময়ে গুহের সংখ্যা আরও বৰ্দ্ধিত হইয়াছে । কলিকাতার সন্নিকটে বারাকপুরে বড়লাট বাহাদুরের যেরূপ একটা নিভৃত বিশ্রামনিপাস আছে, শিমলা ইষ্টতে প্রায় ছয় মাইল উত্তরে মুসোত্ৰ (Muslobra) নামক স্থানেও তাঙ্গর তদ্রুপ একটী বিশ্রামনবাস আছে । মুসোত্ৰা তিববত হিমালয়-রাঞ্জপথের পাশ্বে অবস্থিত। একদিন আমরা মুসোত্ৰা দেখিতে গিয়া তত্ৰত্য বিচিত্র পাৰ্ব্বত্য শোভা দৰ্শন পূর্বক চমৎকৃত চষ্টয়াছিলাম। স্থানটি অতীব নির্জন ও মনোহর । একটী পৰ্ব্বতের শিখরদেশে বড়লাটের বিশ্রামনিবাস নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। বড়লাট বাহাদুর প্রতি শনিবারে বিশ্রামনিবাসে উপনীত হন। পৰ্ব্বতের পাদমূলে কতিপয় দোকান আছে এবং অনতিদূরে একটা গেটেল আছে। এই হোটেলে ইংরাজ নরনারীগণ আসিয়া বাস করেন। মুসোত্ৰ যাইবার পথে একটা বৃহৎ পাৰ্ব্বত্য মুড়ঙ্গ (tunnel পার হইতে হয় এবং সিঞ্জেলি নামক গ্রামের ভিতর দিয়া গমন করিতে হয়। এই পথে গমন করতে করিতে শিমলার মধ্যে জঙ্গীণাটের স্নোডন (snowdon নামক বাসভবন দেখিতে পাওয়া शॉग्न । শিমলার পশ্চিম প্রান্তে জুটোগ (Jurogh) নামক পৰ্ব্বতশিখরে একটা সৈন্তনিবাস আছে । এই সৈন্তনিবাসটি শিমল হইতে প্রায় তিন মাইল দূবে অবস্থিত এবং জুটোগ পৰ্ব্বভের পদমূলে জুটোগ, ষ্টেশন নামে একটা রেলওয়ে ৯েশনও আছে। একদিন আমরা জুটোগ পৰ্ব্বতে আরোহণ করিয়া সৈন্তনিবাস দেখিয়া আসিয়াছিলাম । সিমলার উত্তর-পশ্চিম , কোণে Pottery Hill বা কুম্ভকার পর্বত আছে, তাহা পূর্বেই বলিয়াছি। এই পৰ্ব্বতটিও পরম রমণীয় । বসন্তগিরি ও কুস্তকার পর্বতের enwogn știis fsē (Jutogh View) also ai? আমরা ভাড়া লইয়াছিলাম। সুতরাং আমি প্রায় প্রত্যহষ্ট এই দুষ্টট পৰ্ব্বতে আরোহণ করিয়া তাঙ্গার শিখর প্রদেশে ভ্রমণ করিতাম। প্রাতে প্রায়শঃ বসন্ত গিরির চতুর্দিকে ভ্রমণ করিতাম ; বৈকালে কুম্ভকারু পৰ্ব্বতে আরোহণ করিয়৷ সূৰ্য্যাস্ত দেখিতাম । কুম্ভকার পৰ্ব্বত শিমলাসীমার প্রবাসী—চৈত্র, ১৩১৭ ۰ ریا» --هه۳۰۰۰۰۰۰۰۰- هه ۰" "۰۰۰۰۰۰۰، [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড বহিভূত ও পাটিয়ালা-রাজ্যের অন্তর্গত, তাঙ্গ পূৰ্ব্বেষ্ট উক্ত হইয়াছে। সুতরাং এই পৰ্ব্বতগাত্রে কোনও প্রশস্ত রাজপথ প্রস্তুত হয় নাই । একটা অপ্রশস্ত পাৰ্ব্বত্য পথ দিয়া পাকুড়াগুী লাঠীর সাহায্যে ইহার শিখরে আরোহণ করিতে হয়। ইহার শিখরদেশ পরম রমণীয় ও বুনাচ্ছন্ন । স্থানে স্থানে প্রশস্ত মাঠও আছে । মাঠের উপর বৃক্ষগুলি এরূপ ভাবে দণ্ডায়মান, যেন তদ্বারা প্রকৃতিদেবী একটা চমৎকার গোলক ধাঁধার স্বষ্টি করিয়াছেন । শিমলাপ্রবাসী জনৈক বন্ধু বলিলেন, এই গোলক ধাধার নাম Lovers' Labyrinth, অর্থাৎ প্রেমিকগণের গোলকধাঁধা । দুই একটা মনোরম নিভৃত স্থান দেখাষ্ঠয় তিনি বলিলেন, “এই ofesco Lovers' Bower Al Cox{& Co. i* * মহাশয় কেবল প্রেমিক ও প্রেমের কথা লক্টয়াই ব্যস্ত । কিন্তু আমার মনে হইল, এই পবিত্র ও মনোরম স্থানগুলি প্রকৃত তপস্তারই স্থান । এই স্থানসমূহে কিয়ৎক্ষণ একাকী বসিয়া থাকিলে সংসার ভুলিয়া যাহতে হয়, আত্মার গভীরতম প্রদেশে কি এক উচ্চ আকাঙ্ক্ষা জাগরিত হয়, এবং অস্তদৃষ্টি যেন উজ্জ্বল ও প্রখর হইয় উঠে। শুনিলাম, প্রবাসী বাঙ্গালী মহোদয়গণ মধ্যে মধ্যে এখানে পরিবারবর্গ সহ বেড়াইতে আসিয়া বনভোজন করিয়া যান। এক মনোরম পৰ্ব্বতশৃঙ্গে আসিয়া কিয়ৎক্ষণ যাপন করিয়া গেলে পবিত্ৰহৃদয় ব্যক্তিমাত্রেরই মনে যে উচ্চ ও মহান ভাবের উদয় হয়, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাঙ্গ সন্ধ্যার প্রাক্কালে ঘন বৃক্ষপত্রের অন্তরাল হইতে একজাতীয় পতঙ্গ বা কীট রজতময় ঘণ্টাধ্বনির দ্যায় শব্দ করিতে থাকে । সেই ঘণ্টাধ্বনি করিয়া প্রকৃতিদেবী যেন বিশ্বেশ্বরের সান্ধ্য আরতি করিতে প্রবৃত্ত শ্রবণ মনে হয়, হইয়াছেন । শ্ৰীঅবিনাশচন্দ্র দাস। অযোধ্যা-প্রবাসী বাঙ্গালী ( বলরামপুর ) লক্ষ্মেী, প্রতাপগড়, ভরোচ এবং গোডার অন্তর্গত বলরামপুরের তালুক অযোধ্যার তালুকগুলির মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ