৬৮২ থাকায় হিন্দুস্থানের উপর বহিঃশত্রুর আক্রমণের নিত্য আশঙ্কা থাকিবে, তেমনি আবার সর্বপকার আক্রমণ হইতে স্বরক্ষিত হওয়ায়, দাক্ষিণাত্য স্বকীয় বন্দরগুলির দ্বার সামুদ্রিক সভ্যতা লাভ করিবে—যদিও দাক্ষিণাত্যের আল-হাওয়া খুবই গরম, কর্ষণ-যোগ্য ভূমিও খুব সংকীর্ণ। সুতরাং ভারতবর্ষের ইতিহাসে দাক্ষিণাত্য মুখ্য স্থান অধিকার না করিয়া শুধু একটা গৌণ স্থান অধিকার করিবে 8 - ভারতের ভৌগোলিক সংস্থান ইতে ভাবতবাসীদিগের অন্তঃপ্রকৃতি ও চরিত্র সম্বন্ধেও কতকগুলি গোড়ার কথা
- ां७ग्न| शांग्नि ।
আর কোন দেশে, বাহপ্রকৃতি এরূপ বিরাটু নহে— এরূপ ভীষণ নছে । ভারতের আকাশে, এই সকল প্রাকৃতিক ব্যাপার পরিলক্ষিত হয়, যথা –স্বর্যের প্রথর তেজ, মৌসম-কালের ঝড়, বৃষ্টির জলে পুষ্ট ইষ্টয়া নদীজলের ভয়ানক বৃদ্ধি । ( আসামের উত্তর ভাগে বর্ষায় তিন মাস যেরূপ বৃষ্টি হয়, আমাদের প্রদেশে অৰ্দ্ধশতাব্দীতেও সেরূপ তয় না । ) তার পর, ঘূর্ণ-ঝড় ; ১৮৭৪ অন্ধে এই ঝড়ে দুষ্ট লক্ষ মনুষ্য কালগ্রাসে পতিত হয় । ভূমির গঠন –হিমালয় পৰ্ব্বত, পৃথিবীর মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ উচ্চ, ও সৰ্ব্বাপেক্ষা সুন্দর । মেঘনা-নদী— যেখানে ব্ৰহ্মপুত্র ও গঙ্গা আসিয়া মিশিয়াছে তাচার বিস্তার 3. Kilometre offixto গাছপাল। —প্রকাও প্রকাও তালজাতীয় বৃক্ষ ; এমন বৃহৎ বটগাছ—যাহার তলায় একটা সমগ্র সৈন্তমণ্ডলী আশ্রয় লক্টতে পারে ; বড় বড় লতা-গাছের জঙ্গল। জীবজন্তু ঃ—হস্তী, গণ্ডার, সিংহ, ব্যান্ত্র, বানর, বড় বড় মহিষ, অজাগর, মারাত্মক বিষদংষ্ট্র সর্প। এইরূপ বাহপ্রকৃতি হইতে অসম্ভব কল্পনা প্রস্থত হইবারই কথা ;–এরূপ ধৰ্ম্মের আবির্ভাব হইবার কথা, যাহার মধ্যে নানাপ্রকার ভীষণ ও অতিপ্রাকৃত মত ও বিশ্বাসের সমাবেশ আছে। তা ছাড়া ভারতের বাহপ্রকৃতি, লোকের মনে একটা শৃঙ্খলার ধারণা জন্মাষ্টয়া দেয়। এই উপদ্বীপের আকার প্রায় Champagne প্রবাসী—চৈত্র, ১৩১৭ ৷ AeMSAAAA AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASA SAAAAS [ ১০ম ভাগ, ২য় খ ত্রৈকোণিক। হিমালয়কে দেখিলে যেরূপ বৃক্তত্বের ভাব, যেরূপ অনাড়ম্বর সরলতার ভাব মনে আইসে, এমন আর কিছুতে আইসে না। ঘাট-শৈলের গাত্রে ষেন কতকগুলা সোপান-ধাপ খোদিত রহিয়াছে বলিয়া মনে হয়। শরৎ, শীত, বসন্ত, গ্রীষ্ম--এই ঋতুগুলি যথাসময়ে নিয়মিতরূপে আদিভূত হয়। গ্রীষ্মকালে, নিত্য জলবর্ষণ হইয়া থাকে। শীতকালে, উত্তর-পূৰ্ব্ব দিক হইতে, এবং গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পূৰ্ব্ব দিক্ হইতে বায়ু প্রবাহিত হয়। প্রথম মৌসম-বায়ু কেবল করমণ্ডল-উপকূলে বৃষ্টি ও ঝড় আনয়ন করে ; দ্বিতীয় মেীসমে, ভারতের অন্তান্ত অংশে ঝড় বৃষ্টি কইরা থাকে। এই সমস্ত হইতে, ভারতবাসীদিগের মনে একটা শ্রেণীবন্ধনের ভাব আসিয়াছে, ইহার সঙ্গিত, আব-হাওয়া-জনিত অবসাদ-দৌৰ্ব্বল্যও বেশ খাপ খায়। উদ্ভট কল্পনা ও শ্রেণীবন্ধনের (classification) ভাব —এই দুইটি মিলিত হইয়া ভারতবাসৗদিগকে যে মানসপ্রকৃতি প্রদান করিয়াছে তাহ একটু বিশেষ ধরণের ; তাহারা যে সভ্যতা উত্তরোত্তর সকল জাতির মধ্যে—এমন কি, খুব নীচ জাতিদিগেরও মধ্যে প্রতিষ্টিত করিয়াছে, তাহারা যে সভ্যত এমন সকল জাতিরদিগের মধ্যেও প্রবৰ্ত্তিত করিয়াছে, যাহারা নিজের আচার-ব্যবহার, নিজের ধৰ্ম্ম সঙ্গে করিয়া ভারতে আসিয়াছিল—সেই অপুৰ্ব্ব সভ্যতার মৌলিকতার মধ্যে উপরি-উক্ত মানসপ্রকৃতির লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। শ্ৰীজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর । এস ! বন-পল্লবে ঘন করি’ দিয়ে এস বসন্ত বায় ! পুলকাঞ্চিত করি ধরণীরে এস লঘু দ্রুত পায়। এস চঞ্চল ! এস প্রসন্ন ! পূর্ণ কর গো যা আছে শূন্ত, সৌরভে, রসে, স্বপ্ত হয়ৰে ভরি’ দেচ চেতনায়। কোকিল-কণ্ঠে এস হে রঙ্গে, এস তরঙ্গে অঙ্গে অঙ্গে, হরিতে, স্বর্ণে, তরুণ বর্ণে, সুখ-ভরা মুষমার