পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. চইয়া দুকূল হার মজিবে আকুল ধারা, কলহাসি কোপা যালে ভাসি’ তপ্তবুকে ধুধু বালুরাশি ! ঐযতীন্দ্রমোহন বাগচী ।

এস্কাইলাস - প্রায় ২৫০০ বৎসর পূর্কে (খৃ: পূ: ৫২৫ অব্দে ) গ্ৰীসদেশে এস্কাইলাস জন্মগ্রহণ করেন। তখন করাইলাস, প্ৰতিনাস প্রভৃতি পণ্ডিতগণ গ্ৰীকগীতিনাট্যের সবে মাত্র স্বত্রপাত করিয়াছেন । ইউরোপের অন্ত কোনও স্থানে তখন পর্য্যন্ত নাটকের চর্চা বিশেষভাবে আরম্ভ হয় নাই । ভারতবর্ষেও সেই দূর অতীতে যে তেমন একটা নাট্যসাহিত্য ছিল তাহার নিদর্শন ধড় বেশী কিছু নাট । জাৰ্ম্মেন লে কক (Le Coq) সাহেবের যত্নে, উদ্যোগে ও নেতৃত্বে ১৯০৪ খৃঃ অবো বার্লিন হইতে মধ্যএসিয়ার তুফান নগরে এক প্রত্নতত্ত্ব সম্পৰ্কীয় অভিযান প্রেরিত হয় ; তাঙ্গর ফলস্বরূপ তিনি এক পরিত্যক্ত নগরীর ভূগর্ভনিহিত অট্টালিকাপ্রকোষ্ঠ হইতে বহুতর পুস্তক নিজদেশে লইয়া গিয়াছেন । বর্তমান বর্ষে আমরা জানিতে পারিয়াছি যে এই সকল পুস্তকের ভিতরে ২৫•• বৎসরের প্রাচীন সং ক বাহির হইয়াছে । জনমানবের অনাদৃত, প্রত্নতত্ত্ববিদগণের কৌতুকস্থল এই সংস্কৃতনাটকের কথা বাদ দিলে, বোধ হয় গ্ৰীসদেশের নাট্যচর্চ বিশ্বসাহিত্যে একটী শ্রেষ্ঠ স্থান পাইবার উপযোগী, এবং এস্কাইলাস গ্ৰীসদেশের গৌরবস্থানীয় সেই নাট্যকলার শ্রেষ্ঠসাধক নামে অভিহিত হইবার সম্পূর্ণ অধিকারী । বস্তুতঃ শোকাবহ মৰ্ম্মস্পর্শী হৃদয়বিদারক চিত্রাঙ্কণে তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন ; ষোড়শ শতাব্দীতে ইংলণ্ডে সেক্ষপিয়রের প্রান্তর্ভাবের পূৰ্ব্বে ট্রাজেডি নাটকে জগতের অপর কোনও লেখক এস্কাটলাসের সমকক্ষ হইতে পারেন নাই । সাহিত্যরাজ্যে আপন বিভাগে এইরূপ অক্ষুন্ন প্রতাপে প্রায় দুষ্ট হাজার বৎসর ব্যাপিয়া মানবমনের, সমাজেয় ও সভ্যতার উপর একাধিপত্য করিয়াছেন, পরবর্তীকালের এক হাস্তরসিক

  • প্রবাসী—চৈত্র, ১৩১৭

{ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড

    • S SAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS

এপ্লিষ্টফেনিস ভিন্ন এমন অপর আর কেচ জগতে জন্মগ্রহণ করেন নাই । এস্কাইলাস নিজে একজন সৈনিক ছিলেন, এবং মেদী ও পারসীঞ্জাতি যখন অগণিত সৈন্ত লইয়া গ্ৰীসদেশ আক্রমণ করে, তখন বিরাটবাহিনীর সম্মুখে সেলামিস, নামক প্রসিদ্ধ রণক্ষেত্রে সৌনিকের বেশে উপস্থিত ছিলেন । সেই যুদ্ধের পরিণামফল স্বপ্রণীত “পারসী” নামক নাটকে তিনি লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন । এই নাটকখানি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার স্মারকলিপি বলিয়া ইতিহাসের হিসাবে গৌরব অর্জন করিয়াছে। অগণিত ধনরত্নের অধিপতি হইয়। যাহার প্রতিবাসী স্বাধীনতাপ্রিয় দরিদ্র জাতিকে পদানত করিবার জন্ত দিগ্বিজয়ে বর্তির্গত হন, পারস্তসম্রাট জেরাকৃসিসের শোচনীয় পরাভব তাহাদিগের শিক্ষার স্থল ৷ বিজয়পিপাসু আক্রমণকারী পরাজয়ের প্রতিঘাতে কিরূপে অভিভূত হইয় পড়েন, ইহাই এই নাটকে বর্ণিত হইয়াছে । জেরাকৃসিস যুবাপুরুষ, ধূলিপটলে দিজুগুল সমাচ্ছন্ন করিয়1 অক্ষৌহিণী সেনা সমভিব্যাঙ্গরে স্থলপথে গ্রীসযাত্রা করিয়াছেন ; ক্ষেপণি-নিক্ষিপ্ত জলকণায় ভূমধ্যসাগরের পুৰ্ব্বভাগে কুয়াস সৃষ্টি করিয়া তাঙ্গর শত শত যুদ্ধজাহাজ গ্ৰীসদেশ বেষ্টন করিয়াছে। জেরাকৃসিস মুখস্বপ্ন দেখিতেছেন। বৃদ্ধের অন্তরে, নারীর হৃদয়ে, বালকের চিন্তুদর্পণে বিপদের পূর্বচ্ছায়া সৰ্ব্বাগ্রে পতিত হয়। দেশে বৃদ্ধপ্রধানগণ (elders) একত্রিত হইয়া এক অব্যক্ত আশঙ্কায় শিহরিয়া উঠিতেছেন। প্রৌঢ়া জননী অতোসা স্বর্ণ পালঙ্কে কুস্বপ্ন দেখিয়া ভয় পাইতেছেন। তিনি দেখিলেন পরমান্বন্দরী দুইটী পারসী ও গ্রীকু রমণী কলহ করিয়া তাহার পুত্রের সম্মুখে উপস্থিত হইয়াছে, র্তাহার বীরপুত্র উভয়কে বধিয়া রথবাহকের কার্য্যে নিযুক্ত করিয়াছে, হঠাৎ সেই গ্রীকরমণী রথ উল্টাইয় দিয়া জেরাকৃসিসকে ভূপতিত করিয়াছে, পক্ষিত পুত্রের সম্মুখে পিতা দন্নায়ুস আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন—পুত্র রাগে তাহার বস্ত্রাঞ্চল ছিন্ন করিয়া দিতেছে । জাগরিত হইয়া অতোসা মধুচক্র ও গন্ধদ্রব্য লইয়া সুৰ্য্যের মন্দিরে বলি দিতে যাইবেন, হঠাৎ তিনি দেখিলেন একটী বাজ