পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংকলন ও সমালোচন—নভোবিজ্ঞান (ሉ ግ তড়িতচুম্বকবাদমতের (Electro-magnetic theory of light) পোষকতা করিয়াছেন । আবার সামান্ত অবিশুদ্ধি হেতু কোন কোন বস্তুর বর্ণচ্ছত্র একেবারেই লোপ পাইতে দেখা যায়। যে পথ আজ বন্ধুর তমসাচ্ছন্ন সেই পথষ্ট একদিন বিজ্ঞানালোকে উদ্ভাসিত হইয়া সহজ হইবে । লৌহবাম্পের বর্ণচ্চত্রে প্রায় দুষ্ট হাজার বর্ণরেখা দেখা যায় । এষ্টরূপ অন্যান্ত মূল পদার্থের (element) বর্ণরেখ পরীক্ষা করিলে, জটিলতা দেখিয়া প্রথমে স্তম্ভিত হইতে হয় । লেনার্ড, কে জার, রুঙ্গে, লকিয়ার (Lenard, Kayser, and Runge, বিজ্ঞানবিদেরা পরীক্ষা এবং গবেষণার ফলে দেখিয়াছেন যে একটি জটিল বর্ণচ্ছত্রকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা যায় । এক একটি বিভাগ কোন বিশেষ বিশেষ বাহ অবস্তাভেদে বিশেষরূপে প্রকাশিত হয়। যেমন Cotifs to attois (Sodium vapour) feafé foots তড়িতালোকের (Electric Arc flame) বহির্ভাগাংশে একবিভাগ, আবার অন্তরাংশে অবস্থাভেদে অন্ত দুই বিভাগ প্রবল। বাদ্যযন্ত্রে কোন একটি সুর (fundamental note) ধ্বনিত হইলে তাঙ্কার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ #5 of NR (higher and lower pitch harmonies) অনেক মুর আপনিষ্ট বাজিয়া উঠে—তাঙ্কারই উপরেই স্বরের (timbre) মধুরত্ব নির্ভর করে। যন্ত্রের গঠনপ্রণালী এবং গঠনোপাদানের সহিত ইহা ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধে আবদ্ধ। দুইটি বেহালার মূল্যের তারতম্য উছাতেই । স্বরগুলির মধ্যে কিন্তু একটি সহজ নিয়ম আছে—তাঙ্গাদের স্পন্দন-অঙ্কগুলি সেই আসল স্বরের (fundamental note-frequency) স্পন্দন-অঙ্কের সঙ্গে বিশেষ নিয়মে আবদ্ধ (simply related) । সেইরূপ কোন একটি বর্ণচ্ছত্রের এক বিভাগে রেখাগুলির তরঙ্গের দৈর্ঘ্যও বিশেষ সহজ নিয়মের অন্তভূত বলিয়া দেখা যায় । সব তথ্য এখনও সহজবোধগম্য হয় নাই—এখনও ঘন আঁধার, শুধু একটু একটু অদৃশু আভা । ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দে জেনসেন (Jansen) স্বৰ্য্যগোলকের প্রান্তপ্রদেশে এবং গ্রহণকালীন প্রলয়প্রচণ্ড অগ্নিতুল্য বাষ্পশিখায় একটি নূতন হরিদ্রাবণ রেখা দেখিতে পান। লকিয়ার Lockeyer) প্রভৃতি a cratens (Lockeyer and Frankland) est . কোন, পৃথিবীতে তখনও অনাবিষ্কৃত, মূলপদার্থের (eleবর্ণরেখা অনুমান করিয়া ঐ মূলপদার্থটিকে হিলিয়াম (Helium সৌর্য্যেয় ?) আখ্যা দেন । șèrc:7 cants (Ramsay, Sir William) foầrts ইহার প্রথম সন্ধান পান । হিলিয়ামের আর একটি বর্ণরেখা সবুজ—তাঙ্গ অবস্থাভেদে কথন কখনও বিভক্ত হৃষ্টয়া প্রবল দেখায় । ment) ృtyసె& কেউ কেক এরূপ মনে করেন যে বর্ণরেখার এইরূপ বিশ্লেষণ পরমাণুর বিশ্লেষণত্বের পরিচায়ক । কিন্তু টমসন (Sir J. J. Thomson)এর মতে একই অণু জুই প্রকার পরমাণুতে বিশ্লেষিত হয় বলিয়াই এরূপ । একটি পরমাণু তইতে এক তড়িতকণা (electron--তন্মাত্র) ছুটিয়া মাষ্টয় অন্ত একটিতে গ্রথিত হইয়া যায় বলিয়া, এই বস্তুর পরমাণু দ্বিত্ব ভাব ধারণ করিতে সমর্থ । conse gas Wiś (Ramsay and Rutherford), বেড়িয়াম ধ্বংসে, তিলিয়ামের উৎপত্তি প্রতিপন্ন করিয়া বিজ্ঞানজগতে এক নূতন বিপ্লব ঘটাষ্টয়াছেন। স্বর্য্যে বেডিয়াম (Radium) বর্তমান, ইত যদিও আঞ্জ পর্য্যন্ত নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয় নষ্ট, তথাপি রেডিয়াম ধ্বংসে চিলিয়মের জন্ম -আবার স্বর্য্যে চিলিয়াম নিঃসন্দেহ বৰ্ত্তশেষ কথা দুটি হইতে কি অনুমান করা যায় ?—আবার রেডিয়ামের ধ্বংসসময়ে উৎক্ষিপ্ত বিদ্যুৎকণা এবং রেডিয়াম ইমেনেসন (Radium মান আছে দেখা গিয়াছে । emanation, and alpha, beta and gama rays ) তরল বাষ্প এবং অন্তান্ত অনেক বস্তুতে আঘাতের ফলে জ্যোতিকণা উৎপাদনে সমর্থ দেখা গিয়াছে। স্বৰ্য্য হইতে রেডিয়াম-উৎক্ষিপ্ত এবং উচ্চতাপsifrē Befoss fāgs peri (electrons or rays) পৃথিবীর উদ্ধতন বায়ুমণ্ডলে আসিয়া আঘাতের ফলে বায়ুমণ্ডলকে জ্যোতিষ্মান করিতে সমর্থ—ইহাই হয়ত Aurora Borealise;$ <pt<re] | 拳 সুৰ্য্যোত্তাপ সম্বন্ধে গণনার ফলে দেখা যায় যে স্বর্য্যের তাপের পরিমাণ ৬০০ • ডিগ্রি (centigrade)। লর্ড কেলভিন (Lord Kelvin) প্রমুখ পণ্ডিতগণ সুৰ্য্যের তাপ