পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] তখন সে কী আনন্দ । তখন তিনি আর কখনোই পাষাণের মতো হইয়া চুপ্‌ করিয়া থাকিতে পারিবেন না-ব্যাকুল প্রাণে নিশ্চয়ই র্তাহাকে কাছে ডাকিয়া লইবেন । এই মনে করিয়া ফ্র্যাঙ্ক আবেগ ভরে পত্র লিখিতে বসিলেন--কিন্তু লেখাগুলা কিছুতেই তখন ঠিক হইল না ---প্রাণের কাতরতা, ঈদয়ের নম্রতা কিছুতেই যেন তখন ফুটিয়া উঠিতে চাহিল না । সমস্ত দিনটা তিনি পত্র-রচনায় ব্যাপৃত রছিলেন ; . কবি যেমন করিয়া তাহার কাব্যকে বিচিত্র রস, ছন্দ, ভাব ও কথায় উজ্জ্বল করিয়া তোলেন তেমনি করিয়া তিনি র্তাহার পত্র-রচনা করিতে লাগিলেন । শেষে যখন লেখা সমাপ্ত হইল তখন র্তাহার হৃদয় হইতে একটা গুরুভার যেন নামিয়া গেল, তাহার মনে হইল, যে অকাঙ্ক্ষিত বস্তু কারাষ্টয়াছিলেন তাহ যেন আবার ফিরিয়া পাষ্টয়াছেন । র্তাহার এ চিঠিতে ইভার মনের সমস্ত সন্দেহ, গ্লানি, দ্বিধা যে ঘুচিয়া যাইবে সে বিষয়ে র্তাহার বিন্দুমাত্র সন্দেহ রচিল না তিনি আনন্দের এই আবেগ লষ্টয় তাহার বন্ধু বার্টির কাছে গেলেন। গিয়া তাহাকে সকল কথা বলিলেন ;--- ইভাকে চিঠি লেখাব কথা, তাছাকে আবার যে ফিরিয়া পাইবেন সেই আশার কথা বলিলেন । ফ্র্যাঙ্ক মনের আনন্দে অত্যন্ত উৎসাহের সচিত কথা কহিতেছিলেন–র্তাহার কণ্ঠস্বর পর্য্যন্ত পরিবর্তিত হইয়া গিয়াছিল। বাটি কিন্তু গুনিয়া একেবারে বসিয়া পড়িল, তাহার মুখ পাংশুবর্ণ হইয়া গেল। হৃদয়ের ভাব তাড়াতাড়ি গোপন করিয়া সে তখন ফ্রাঙ্কের মুখের হাসির সহিত চেষ্টা করিয়া একটু হাসি মিলাষ্টয় তাহার আশাটাকে দৃঢ়তা দিবার জন্তই যেন কহিল—“না, আর কোনো ভাবনা নেই ।” সে মুখে বলিল বটে “কোনো ভাবনা নেই”, কিন্তু তাঙ্গর মনের মধ্যে যথেষ্ট ভাবন জমাট হইয়া উঠিতে লাগিল ! এবং কথাটা শেষ হইতে না হইতে তাহার কুঞ্চিত কেশের নীচে হইতে কপালটা দারুণ ঘৰ্ম্মাক্ত হইয়া উঠিল ! ক্রমশঃ শ্ৰীমণিলাল গঙ্গোপাধ্যায় । সংকলন ও সমালোচন—প্রাচীন অস্ত্রশস্ত্র اه رسی প্রাচীন অস্ত্রশস্ত্র ( চাণক্য হইতে সঙ্কলিত ) আয়ুধগারাধ্যক্ষ নিরূপিত সময়ে এবং নিৰ্দ্ধারিত বেতনে চক্র, অস্ত্র, কবচ, এবং যুদ্ধ, দুর্গনিৰ্ম্মাণ বা দুৰ্গরক্ষা অথবা শত্রুর নগর বা দুর্গ নষ্ট করিবার উপযোগী অস্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণে বহুদশী এবং নিপুণ কৰ্ম্মী নিযুক্ত করিবেন। ঐ সকল অস্ত্র ও যন্ত্রাদি উপযুক্ত স্থানে রক্ষিত চইবে । অস্ত্রশস্ত্রাদি সদাসৰ্ব্বদা একস্থান হক্টতে অন্তস্তানে স্থানান্তরিত করিতে হইবে ও উচ্চাতে রৌদ্র প্রদান করিতে হঠৰে । যে সকল অস্ত্র আতপ বা বাষ্প লাগিয়া নষ্ট শ্লষ্টতে পাবে এবং যাঙ্গর কীটদষ্ট কষ্টতে পারে, তাহীদের নিরাপদ স্থানে রাখিতে ভক্টবে এবং মধ্যে মধ্যে তাতাদের জাতি, রূপ, লক্ষণ, প্রমাণ, আগম, মূল্য এবং নির্দিষ্ট সংখ্যা পরীক্ষা করিতে হইবে । “স্থিরযন্ত্র” ( অচল )—সৰ্ব্বতোভদ্র । চক্রবিশিষ্ট শকট, ইঙ্গকে ঘুর্ণন করা যাইত এবং ঘুর্ণনকালে চতুৰ্দ্দিকে প্রস্তর বিক্ষিপ্ত তই ) ; জামদগ্না ( তীর নিক্ষেপ করিবার জন্য বৃহৎ যন্ত্র ) ; বহুমুখ ( দুর্গোপরিস্থিত আটালিকা হইতে চতুদিকে তীর নিক্ষিপ্ত হইত এবং তীরন্দাজদিগেব তাশ্রয়ের জন্য চৰ্ম্ম-আচ্ছাদন ব্যবহৃত হইত। যাচারা মেগাস্থিনিস-বর্ণিত পাটলিপুত্রের বিবরণ পাঠ করিয়াছেন তাহারাষ্ট জানেন যে পাটলিপুত্র নগরীর প্রাচীরের উপব এষ্টপ্রকার ৫৭০ট অট্টালিকা ছিল ) ; বিশ্বাসঘাতী ( দুর্গের পরিখার উপর স্থাপিত কাষ্ঠথও ; শত্র এই কাষ্ঠথণ্ডোপরি আরোহণ করিলেই ইহা ভগ্ন হইত ) ; সজঘাটী ( অট্টালিকা এবং ফুর্গের অন্যান্য স্থানে অগ্নি দিবার জন্ত ব্যবহৃত দীর্ঘ কাষ্ঠদণ্ড ) ; থানক ( চক্রোপরি স্থাপিত কাষ্ঠখণ্ড ; ইঙ্গ শত্রুর প্রতি প্রক্ষিপ্ত হষ্টত ) ; পর্য্যনক ( অগ্নি নিবারণের জন্য জল-যন্ত্র ) ; অৰ্দ্ধবাহু ( যুগলস্তম্ভ ; ইহা এরূপভাবে প্রস্তুত ও স্থাপিত চষ্টত যে শক্রকে দলিত করিবার জন্ত ইচ্ছানুসারে ভূমিসাৎ করা যাইত') ; উৰ্দ্ধবাহু ( উচ্চে স্থিত বৃহৎ স্তম্ভ ; অবিশুক অনুসারে শক্রর গতিরোধার্থ নিক্ষেপ করা হয় ত ) ৷ “চলযন্ত্র” ( চলনশীল )—পঞ্চালিক ( পেরেক সমম্বিত বৃহৎ কাঠফলক ; শত্রুর গতিরোধ করিবার জন্য ইহা