পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ o প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩১৭ সেগুলি যাহাতে আমাদের শরীরের কোন ক্ষতি করিতে না পারে এজন্ত তাহাদের শক্তিকে প্রতিহত করাও এই লোহিতবর্ণের কণিকাগুলির অার একটি কাজ । এই দিক দিয়া দেখিলে এক্টগুলি যে আমাদের পেশীগুলির পক্ষে বড়ই হিতকর তাহাতে কোনো সন্দেহই নাই। কিন্তু এই কণিকাগুলির মধ্যে দুই রকমের কণিকা দেখা যায়— একদল সম্পূর্ণরূপে পেশীগুলির মঙ্গলাকাজী ; আর একদল একদিকে মঙ্গলাকাঙ্ক্ষী হুইয়াও আর একদিকে শক্ৰ । বাহিরের বীজাণু যখন পেশীকে আক্রমণ করে তথন এষ্ট দুই দলই একত্র কষ্টয়া বীজাণুর সহিত যুদ্ধ করে, কিন্তু এই দুইটির দ্বিতীয় দল শক্র ধ্বংস করিতে গিয়া পেশীগুলিকে ও ক্ষয় করিয়া এই রাক্ষুসে দলটিকে মাইক্রোফেগাস (microphagus) বা অনুভূকৃ-দল নাম দেওয়া হইয়াছে । যুদ্ধ-বিগ্রহই যেন ইতাদের স্বভাবগত। তাই যখন কোনো বীজাণুর সহিত যুদ্ধ করিতে না পায়, স্বভাবদোষে এগুলি অন্তযুদ্ধ উপস্থিত করিয়া স্বজাতিকেষ্ট ফেলে । গ্রাস করিবার চেষ্টা করে । মাইক্রোফেগাসগুলি পেশীগুলিকে ক্ষয় করিয়া আমাদের শরীরে বাৰ্দ্ধক্য আনয়ন করে । পেশীগুলিকে এই দুর্দান্ত শত্রর হস্ত হক্টতে রক্ষা করিবার ব্যবস্থা করিতে পারিলেই বাৰ্দ্ধক্যের আগমনকে বাধা দিবার একটা উপায় পাওয়া যায়। এম, মেশৃনিকফ এই বিষয়ে অনেক তথ্যানুসন্ধান করিয়াছেন । তিনি মাইক্রোফেগাসগুলিকে বিনাশ করিবার ঔষধ আবিষ্কার করিবার জন্ত চেষ্টা করিয়াছিলেন । র্তাহার চেষ্ট যে একেবারেই ফলবতী হয় নাই তাঙ্ক। নচে । কিন্তু তিনি যে ঔষধ আবিষ্কার করিয়াছিলেন তাঙ্গ আদেী কার্য্যোপযোগী হয় নাই, কারণ তাঙ্গ ব্যবহার করিলে দুষ্ট মাইক্রোফেগাসের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের পক্ষে অত্যাবশুক অম্লজানবাহী অপর রক্তকণিকার দলটিও বিনাশ প্রাপ্ত হইবার সম্ভাবনা আছে ; কাজেই ইহাতে সুফল পাওয়া তো দূরে থাক, কুফল ফলিবার সম্ভাবনাই অধিক । রোগ নষ্ট করিয়া রোগীকে বাচাইবার জন্তই ঔষধের প্রয়োজন ; যাঙ্গতে রোগের সঙ্গে সঙ্গে রোগীও বিনাশ প্রাপ্ত হয় তাহা তো ঔষধ নহে, তাঙ্গ বিৰ! মাইক্রোফেগাসগুলিকে নষ্ট করিতে গিয়া যেগুলি না থাকিলে আমরা ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড বাচি না যদি সেগুলিই নষ্ট হইয়া যায় তাহা হইলে আর কি হইল ? ভাই মেশ নিকফের চেষ্টা ফলবতী হইয়াও কার্য্যকরী হয় নাই । ফ্রান্সের প্যাষ্টিউর সমিতিতে আর একদিক হক্টতে এই বিষয়ের চেষ্টা চলিতেছে । আমাদের সকল বয়সেই আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে মাইক্রোফেগাস বর্তমান থাকে, কিন্তু সকল সময়েই তেমন প্রবলভাবে থাকিতে পারে না । যৌবনে যখন পেশাগুলি সবল থাকে তখন মাইক্রোফেগাস হইতে তাতাদের কোনো ক্ষতি হুইবার আশঙ্কা থাকে না । মাইক্রোফেগাস্গুলিকে বিনাশ করার পরিবর্তে যাহাতে পেশীগুলি দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িয়া বিনাশের মুখে অগ্রসর না হয় এরূপ কোনো ব্যবস্থা করিতে পরিলে বাৰ্দ্ধক্যকে বাধা দিয়া রাখা যাইতে পারিবে। প্যাষ্টিউর সমিতির বৈজ্ঞানিকেরা এই পথেই বাদ্ধক্যের চিকিৎসার আবিষ্কার করিবার চেষ্টা করিতেছেন । ইহঁাদের চেষ্টা ফলবতী হইলে আমরা এই একটা উপায়েই দীর্ঘায়ুর সংস্থান করিয়া লক্টতে পারিব বলিয়া আশা হয়। অবশু মৃত্যু রচিত করা যে কোনো দিনই সম্ভব হইবে না তাহাতে কোনো ভুল নাই । কাল সমস্ত পদার্থকেই ক্ষয় করে, আমাদের শারীরযন্ত্রের সুহ্ম সুহ্ম অংশগুলির তে কথাত নাই । কালের হস্ত হইতে কি নিস্তার পায় ? বাৰ্দ্ধক্য এবং মৃত্যু যে অবশুম্ভাবী তাহাতে সন্দেহক্ট নাই, কিন্তু বিজ্ঞানের করুণায় যদি বাদ্ধক্যের আগমনকে পিছাইয়া দিয়া আমাদের আয়ুকে দীর্ঘতর করিয়া লইতে পারা যায় সেটাই কি কম ? শ্ৰীজ্ঞানেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় । কেরোসিনের উৎপত্তি ঘরে আলো জালার কাজে অল্পদিন হইতে ব্যবহৃত হইতেছে বলিয়া কেরোসিনকে নুতন জিনিস বলা যায় না। চীন, গ্রীস ও রোমের অতি প্রাচীন গ্রন্থাদিতে কেরোসিনের উল্লেখ আছে। সাধারণ ভৈল বা চর্বির পরিবর্তে ইহা প্রদীপে ব্যবহৃত হইত বলিয়াই বোধ হয় অনেকে উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। ভারতবর্ষে কেরোসিন্‌ পাওয়া যায় না, এই জন্তই মনে হয় আমাদের প্রাচীন গ্রন্থাদিতে ইহার