পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] এজন্য এতদুপযোগী ইঙ্গিতসমূহ বা ভাষার সৃষ্টি হইয়াছে। এই ইঙ্গিতসমূহের মপো মানব ধ্বনি ও বচনের বিশেষ উৎকর্ষ সাধন করিতে সমর্থ হইয়াছে পলিয়া বাচনিক ইঙ্গিত বা কথা প্রধানতঃ ও মুখ্যতঃ ভাষা নামে অভিহিত হয় । যদিও ভাষা বা ইঙ্গিতসমূহ ব্যতীত পরম্পর মনোভাব ব্যক্ত করা অসম্ভব, তথাপি ভাষা উপায় মাত্র, টদেগু ভাল পকাশ। অর্থ আছে বলিয়াই লাক্যের প্রয়োজন । বৃক্ষ, পৰ্ব্বত, সমাজ, রাষ্ট্র প্রভৃতি যাবতীয় পদার্থের দ্বাবা চিত্তেব আন্দোলন জন্মে বলিয়া এবং এজন্য ইতাদের গুণ নির্ণয়, লক্ষণ নির্দেশ এবং পক্লনির পরিচয় ও স্বরূপ উপলব্ধি হয় বলিয়াই ঈঙ্গিত অবলম্বন করিয়া, পাকোর সাহায্য গ্রহণ করিয়া, ভাষা বাপহার করিয়া হাদিগকে ব্যক্ত করিতে BB S BT Kg BBB BBB KK S BBBBS BBB প্রকৃতি, উৎপওি • ক্রমিক বিকাশ ভাপের উৎপত্তি, প্রকৃতি ৪ ক্রমিক বিকাশের অনুরূপ । ভাষা সকল বিষয়ে ভাবেরক্ট অর্কুসরণ করে । এই গষ্ঠ ভাপ ও ধাৰণার কারণ এই বিষয়সমূহ ভাষার মধ্যে কথার দ্বারা ইঙ্গিতের ভিতর দিয়া ধবনির সাহায্যে প্রকাশিত হয় । প্রাকৃতিক জগৎ ও মানবীয় জগতের তথ্য ও ঘটনাসমুঙ্গই মানবের ভাষার বিষয়। মানব যখন কোনও ইসি ত ব্যবহার করে বা কোনও কথা বলে তখন এষ্ট বিবিধ বিশ্বেৰ পদার্থ ই তাeাব কথা বা ইঙ্গিতের বিষয়ীভূত কয় । এষ্ট সমুদয় ছাড়িয়া দিয়া তাঙ্গার কোন ভাষা ৭। বাচনিক কায্য সমাধা চয় না । বিশ্বের দ্বারা তাঙ্গার মনের উপরে যে কাৰ্য্য ছয় সেই সমুদয় তাহার ভাষার বিষয় ও কারণ । কথাসমূহ ও ইঙ্গিতসমূহ এই বিশ্বের বিবিধ ঘটনাবলীর দ্বারাষ্ট পূর্ণ। সুতরাং ভাব যেরূপ মানব ও প্রকৃতি-বিষয়ক, ভাষাও সেক্টরূপ মানব ও প্রকৃতি বিষয়ক । আবার ভাবের প্রকতি যেমন পদার্থের গুণ আরোপ করা, ভাষার প্রকৃতিও সেক্টরূপ গুণ ব্যক্ত করা । মানব কথা বলিয়া এবং ইঙ্গিত ব্যবহার করিয়া মানবের নিকট পদার্থসমূহের তুলনা করে, সংযোগ সাধন করে এবং নানা উপায়ে ইঙ্গদের ধৰ্ম্ম ব্যক্ত করে। মানবের ভাষার ভিতর দিয়া ইহাদের প্রকৃতি ও পরিচয় সমাজে প্রকাশিত হয়। তাহার ভাষাশিক্ষা Գծ মানব যখন কোন কথা বলে তখন সে অন্ততঃ কোন পদার্থের একটা ধৰ্ম্ম প্রকাশ করে। এমন কোনো কথা হইতে পারে না যাহার দ্বারা কোন বস্তু বা ব্যক্তি সম্বন্ধে বিশেষণ ব্যবহার করিয়া তাঙ্কাকে বিশিষ্ট ও নিদিষ্ট করা হয় না । একটমাত্র ধ্বনির সাহায্যে একটমাত্র পদ ব্যবঙ্গার বা শব্দ প্রয়োগ করিয়া মানব তাঙ্কার চিত্তের উপর কোন পদার্থের কার্য্য অথবা কোন বস্তু বা ব্যক্তির গুণ নির্ণয় বা পরিচয় প্রকাশ করিতে পারে না । প্রকৃতভাবে পরিচয় প্রদান ও স্বরূপ বর্ণনা করিতে হইলে, এবং যথার্থভাবে গুণ বা লক্ষণসমূহ ব্যক্ত করিতে হইলে অন্ততঃ একটা পূৰ্ণবাক্য ব্যবহার করিতে হয় । এই পাক্যের দুইট অঙ্গ থাকে । বিশ্বের যে পদার্থের দ্বারা ভাবের উদেক হয় এবং যে পদার্থ সম্বন্ধে গুণের আরোপ আবশ্যক হয়, ভবাং যে সম্বন্ধে কিছু লিবার প্রয়োজন হয়, সেই পদার্থবাচক ধ্বনি বা শব্দ বাক্যের একটা অঙ্গ ; এবং সেই পদার্থের আঘাত প্রাপ্ত ইষ্টয় মানবচিত্ত যেরূপ আন্দোলিত হয় এবং সেই আন্দোলনের ফলে তৎসম্বন্ধে যে গুণ আরোপ করা হয়, সুতরাং তাতার পরিচয়স্বরূপ যাহা বলিবার প্রয়োজন হয়, সেই বক্তবাবাচক ধ্বনি বা শব্দ বাক্যের অপর অঙ্গ । কেবল একটামাত্র ধ্বনি প্রয়োগ করিলে কোন পদার্থের সহিত তাঙ্গার গুণের সংযোগ করা হয় না, পদার্থেব সঙ্গিত পদার্থেব তুলনা সাধন বা সংযোগ বিধান হয় না, অথবা স্বতরাং তুলনা সেইরূপ শৰী নিজের সঠিত সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠিত হয় না । সাধন ও গুণারোপ ধেমন ভালের প্রকৃতি, যোজমা, পদসংযোগ এবং বাক্য রচনাই ভাষার লক্ষণ ও প্রকৃতি । কোন বিষয়ের স্বরূপ উপলব্ধি না করিলে, পদার্থের সহিত তাঙ্গর ধৰ্ম্মের সংযোগ না করিলে যেরূপ চিন্তাকার্য্য হয় না, সেইরূপ শব্দ যোজনার দ্বারা বাক্য রচনা না করিলে কোন ভাষা সিদ্ধ হয় না । পদার্থবিশিষ্ট লাক্যই ভাষার মৌলিক উপাদান । ভাষা কতকগুলি শবের সমষ্টি নচে । কেবল মাত্র শব্দ ব্যবহার কারণেই ভাষা ব্যবহার করা হয় না । যেখানে বাক্যপরম্পরা অথবা একটমাত্র বাক্যের প্রয়োগ নষ্ট সেখানে ভাষার অস্তিত্ব নাই ।