পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o 8"לג ভোজ যখন অৰ্দ্ধসম্পন্ন হইয়াছে—তখন আর রবার্ট foo #3. Afton—“My Lords and gentlemen, I give you the toast of the King."— ইহা শ্রবণমাত্র সভাস্থ সকলে (সম্রাট ছাড়া) ফেণোচ্ছ,সিত স্বর্ণবর্ণ স্যাম্পেনপূর্ণ স্ফটিক পাত্র হস্তে লইয়া দণ্ডায়মান হইলেন। সমস্বরে “The King" এই বাক্য গর্জন করিয়া, নিজ নিজ পাত্র নিঃশেষিত করিয়া ফেলিলেন। মঞ্চোপরি জাতীয় সঙ্গীতের সুর ধ্বনিত হইতে লাগিল । কেহ কেহ সুরের সঙ্গে নিজ কণ্ঠ মিলাইয়া গান ধরিলেন— কিন্তু সে তান শেষ হইবামাত্র সকলে সমস্বরে ভীমগঞ্জনে আনন্দধ্বনি করিতে লাগিলেন। ক্রমে ক্রমে অন্যান্ত toastও "প্রস্তাবিত ও গীত" হইতে লাগিল—যথ “The Queen, the Prince and Princess of Wales and the rest of the Royal “Domus" (s*if* *ata*)—“Absent members" প্রভৃতি। ধীরে ধীরে ভোজন ব্যাপার ও শেষ হইয়া আসিতে লাগিল । ভোজনান্তে বাকী রহিল পান (পর্ণ শব্দজ যে পাণ তাহা নহে) এবং তামাক। চুরোট এবং চুরোটিকা বহুল পরিমাণে বিতরিত হইতে লাগিল। তামাকের আবিষ্কৰ্ত্তা সার ওয়ালটার র্যালে মিডল টেম্পূের প্রথম অবস্থার একজন ছাত্র—তাছার স্মৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তাহার জুনিয়রগণ কুওলায়িত ধূম উদ্ধে উৎক্ষিপ্ত করিতে লাগিলেন। রাত্রি প্রায় ১১টার সময় সম্রাট গাত্রোথান করিলেন । বেদিক হইতে অবতরণ করিয়া, কয়েকজন প্রাচীন ব্যারিষ্টারের সঙ্গে কথা কহিলেন। টাইমস পত্রের বিখ্যাত যুদ্ধ সংবাদ দাতা, বৃদ্ধ সার উলিয়ম হাউয়ার্ড রসেলও উপস্থিত ছিলেন। সম্রাট তাহার সহিত করমর্দন করিয়া, দুই চারিটা কথা কহিলেন । তাহার পর, তিনি এবং Family"— • Some of the company joined voices in the strain, but the majority waited till its conclusion and then came cheering which ran up and down the hall in volleys and fairly made the rasters ring. Never since Elizabethan days have more joyous shouts rent the air of Middle Temple Hall. The Daily Telegraph, Woor. 3, 1903. প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭। --- অন্যান্য বেঞ্চারগণ, অতিথিবৰ্গ,-যে শৃঙ্খলায় প্রবেশ করি। ছিলেন,—ঠিক সেই শৃঙ্খলায় প্রত্যাবর্তন করিতে লাগিলেন। হাস্যমুপে মৃদু মৃদু শিরোনমন করিতে করিতে, বাহির । হইয়া গেলেন । বাকী সকলে তখন আবার বসিয়া, পান ও তামাকে মনোযোগ দিলেন । কিয়ৎক্ষণ পরে,—আমাদের বাড়ীর গৃহিণীকে উপহার দিবার জন্য স্মরণ চিহ্ন স্বরূপ কিছু ফুল সংগ্ৰহ করিয়া, গৃহে ফিরিলাম। ২৫ বৈশাখ ১৩১৭, ঐ প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। প্রাচীন গ্রীসের জাতীয় শিক্ষা। এখিনীয় সমাজের তৃতীয় অবস্থা (খৃঃ পূঃ চতুর্থ শতাব্দী ) রাজনৈতিক অবসান। চতুর্থ শতাব্দীতে এথেন্সের রাজনৈতিক ক্ষমতা হ্রাস হইয়াছে। ক্ষণকালের জন্ত স্পার্ট ও গ্ৰীবস গ্রীক জগতে অভু্যদয় লাভ করিল এবং পরে সমস্ত গ্ৰীকগণের স্বাধীনতা ম্যাসিদন রাজ্যের আয়ত্তে আসিল । ম্যাসিদনীয় সাম্রাজ্য স্থাপিত হইল। কিছু পূৰ্ব্ব হইতেই প্রজাতন্ত্র শাসনের কুফল ফলিতে আরম্ভ হইয়াছিল। জাতীয় নৈতিক চরিত্রের অবনতি হইতেছিল। সিদিলি ইহা লক্ষ্য করিয়া ছিলেন । এবং এ্যাবিষ্ট টেনালিসেরও প্রতি কথায় ইহার প্রতি কটাক্ষপাত অবগত হওয়া যায়। এই অবনতি লক্ষ্য করিয়া প্রজা সাধারণের অধিকার স্থাপনের পৃষ্ঠপোষক ডিমস্থিনীস পর্য্যস্ত আক্ষেপ করিয়াছিলেন। তিনি অনেকবার বলিয়াছিলেন—“পূৰ্ব্বকালে প্রকৃতিপুঞ্জ সাহসী বীরগণেরমত কাৰ্য্য করিতে বলিয়৷ রাজপুরুষগণকে আয়ত্তে রাথিতে পারিত। সমাজের সাধারণ স্বার্থের প্রতি আন্তরিক টান ছিল বলিয়া কৰ্ম্মচারিগণের দ্বারা মঙ্গলকর অনুষ্ঠান সম্পাদন করাইয়া লইত। এখন জনসাধারণ স্বার্থলোভী হইয়াছে, রাষ্টীয় উন্নতিতে ইহার উদাসীন। রাজপুরুষগণই এখন ইহাদিগকে পরিচালিত করিতেছেন। ইহার সাধারণ সম্পত্তিকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করিতেছেন । ইহাদিগকে নিয়ন্ত্রিত [ ১০ম ভাগ। স্থান পাইত । ਾਂ ২য় সংখ্যা । ] --১৮:২৩, ২৫ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)~ - প্রতিপত্তির জন্য লালায়িত। সমাজে স্বদেশপ্রেম আর নাই।" -

  • দেশ প্রেমের লোপ-রাজনৈতিক জগতে বাশ্মিগণের প্রাধান্ত ।

এই যুগে এথেন্স রাজনৈতিক জীবনের অস্তিম দশায় উপস্থিত হইয়াছিল বলিয়া নাগরিকগণকে বক্তৃতা দ্বারা স্বদেশের স্বার্থের প্রতি মনোযোগী করিবার চেষ্টা করিতে হইত। এই সময়ের নেতৃবর্গের প্রধান লক্ষণ ছিল বাগ্মীতা। প্রথম যুগে যখন মিটিয়াদিস, থেমিষ্টক্লাস, এারিষ্টাইদিস প্রভৃতি ব্যক্তিগণ স্বদেশের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন তথন তাহাদিগকে রাজনীতি এবং রাজনৈতিক বক্ততা শিক্ষা করিতে হয় নাই । তাহারা স্বয়ং সৈন্তাধ্যক্ষ ছিলেন, যোদ্ধা ছিলেন এবং রাজনৈতিক বিভাগ অপেক্ষ সেন ও সমর বিভাগের কার্য্যই বেশী বুঝিতেন। আর বস্তুত: সেই সময় রাজনৈতিক পাণ্ডিতা সামরিক পাণ্ডিত্যের অধীনে পরে পেরিক্লাস যখন শাস্তির সহিত আভ্যন্তরিক উন্নতি সাধন করিতে ছিলেন তখন যুদ্ধের বেশী প্রয়োজন ছিল না। তিনি বাষ্ট্রনীতি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন এবং সেনাপতিগণকে ও সমর বিভাগকে রাজনৈতিক বিভাগের অধীনে স্থান দিয়াছিলেন। তাহার সময়ে সৰ্ব্ববিধ বিদ্যা, বিশেষত: বক্তৃতাশক্তি উৎকর্ষ লাভ করিয়াছিল। কিন্তু তাহ রাষ্ট্ৰকৰ্ম্মে সহায়তা করিবার জন্য এবং স্বপরিচালিত রাষ্ট্রে বুদ্ধিমত্তার সহিত যোগদান করিবার জন্য। কিন্তু এখন সকলের শৈথিলা ও রাজনৈতিক ঔদাসীন্য জন্সিয়াছে। দেশহিতৈষিগণের এখন লোককে উত্তেজিত করিতে হইল। স্বয়ং সেনাপতি বা রাজপুরুষ বা রাষ্ট্ৰকৰ্ম্মে সহায়কারী না হইলেও চলে। এখন সমাজের জড়ত্ব ভঙ্গ করিয়া জীবনীশক্তি দান করিবার প্রয়োজন হইয়াছিল। স্বতরাং বক্তারাই এই যুগের রাজনৈতিক কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রাধান্তলাভ করিলেন। এবং দলস্থাপন ও দেশহিত সম্বন্ধে মত প্রতিষ্ঠা করিতে লাগিলেন । উন্নত শিক্ষাপ্রাপ্ত সমাজ জাতীয় স্বাগ ভুলিয়া গিয়াছে। ইহার পুরাতন কীৰ্ত্তি মনে প্রাচীন গ্রীসের জাতীয় শিক্ষা। করিয়া সৎপথে চালিত করিতে পারে এরূপ কৰ্ত্তব্য বোধশক্তি দেশ হইতে লোপ পাইয়াছে। আজকাল বক্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃবর্গ নিজ নিজ অর্থলাভ এবং >brQ জাগরিত করিয়া নূতন ভাবে জীবন আরম্ভ করিবার জন্ত স্বদেশী আন্দোলনের সময় উপস্থিত হইয়াছিল। স্বাধীন চিঙ্গার জয়লাভ । ডিমস্থিনিস, ইঙ্গাইনীস প্রভৃতি চিরস্মরণীয় ব্যক্তিগণ এখন এথেন্সের নায়ক । সাম্রাজ্য, স্বরাজ এবং স্বাধীনতা একে একে সকলই চলিয়া গেল। কিন্তু পেরিরীসের সময়ে চিস্তার যে আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছিল, ভবিরাজ্যে যে নবশক্তি জাগরিত হইয়াছিল তাঙ্গ সৰ্ব্ব প্রকারের বাধাবিয়ের ভিতর দিয়াই অব্যাহত ভাবে কাজ করিতে লাগিল । প্রায় সকল সময়েই সত্যের প্রথম আবিষ্কারকেরা জীবিত. কালে থ্যাতি লাভ করেন না। চিরন্তন রীতির বিরুদ্ধে কার্য ও মত প্রকাশ করিলে সমাজের বিরক্তিভাজন হইতে হয় এবং নিপীড়ন ভোগ করিতে হয়। স্বাধীনতাপ্রিয় এথিনীয় জনসাধারণ ও সক্রেটসের নবচিস্তার বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইয়াছিল । সকলে বলিয়াছিল “র্তাহার প্রিন্থ বন্ধু এ্যানসিবাহেদিস স্বদেশের মহাশত্রু। তাহার ছাত্রের সব অলস অথবা স্বার্থলোভী। প্লেটো সৰ্ব্বদা চিন্তায় মগ্ন, দেশের কোন কাজে আসিল না । জেনোফল এথেন্স রাজ্যের কৰ্ম্মচারী না হইয়া ইহার শত্রুপক্ষের অধীনে কৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছে।” সনাতন ধৰ্ম্মে অবিশ্বাসী, যুবকগণের চরিত্রের অনিষ্টকারক এবং রাজ্যের শক্র বলিয়া তিনি অভিযুক্ত হইয়াছিলেন এবং প্রাণদণ্ড ভোগ করিয়াছিলেন। ইহার পূৰ্ব্বে কুসংস্কারপূর্ণ অল্প শিক্ষিত প্রজাপুঞ্জ হইতে নিৰ্ব্বাচিত জুরী বিচারকেরা এ্যানাক্সীগোরাস ও প্রটেগোরাসকে দেশ ও ধৰ্ম্মের অনিষ্টকর মনে করিয়া তাহাদিগকে নিৰ্য্যাতিত করিয়াছিল। কিন্তু চিন্তার মৃত্যু হয় না। তাহাদের চিন্তাপ্রণালী নীরবে যে কার্য্য করিতেছিল তাহা বন্ধ করিবার অধিকার কাহারই ছিল না। স্বাধীন চিন্তার শ্রোত প্রবল হইতে লাগিল। জেনোফল ও প্লেটে সক্রেটসের চিন্তাপদ্ধতি যুক্তি দ্বারা সমর্থন করিলেন। এ্যারিষ্টকেনিস নিঃসঙ্কোচে সামাজিক বিষয় লইয়া সমালোচনা করিতে লাগিলেন। বাঙ্গ কাবা, সামাজিক চিত্র, প্রহসনের অট্টহাস্ত, ধৰ্ম্ম ও নীতি সম্বন্ধে কুট সমালোচনা প্রভৃতি বিষয়ক নূতন সাহিত্য রচিত হইয়া দিন দিন ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রাধান্ত স্থাপন করিতে লাগিল।