পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o o . " সত্যম শিবম সুন্দরম ৷ ” “ নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্য: " ১০ম ভাগ । ৩য় খণ্ড । আষাঢ়, ১৩১৭ | তৃতীয় সংখ্যা গুহাহিত উপনিষৎ তাকে বলেছেন—“গুহাহিতং গহ্বরেষ্টং"—অর্থাৎ তিনি গুপ্ত, তিনি গভীর। তাকে শুধু বাইরে দেখা যায় না, তিনি লুকানো আছেন। বাইরে যা কিছু প্রকাশিত তাকে জানলার জন্তে আমাদের ইন্দ্রিস্তু আছে—তেমনি যা গৃঢ় যা গভীর তাকে উপলব্ধি করবার জন্তেই আমাদের গভীরতর অস্তুরিস্ক্রিয় আছে। তা” যদি না থাকতো তা হলে সেদিকে আমরা ভূলেই মুখ ফিরাতুম না ; গহনকে পাবার জন্তে আমাদের তৃষ্ণার লেশও থাকত না । এই অগোচরের সঙ্গে যোগের জন্তে আমাদের বিশেষ অন্তরিক্রিয় আছে বলেই মানুষ এই জগতে জন্মলাভ করে? কেবল বাইরের জিনিষে সস্তুষ্ট থাকেনি। তাই সে চারদিকে খুঁজে খুঁজে মরছে, দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্চে, তাকে কিছুতে থামৃতে দিচ্চে না। কোথা থেকে সে এই খুঁজে বের করবার পরোয়ানা নিয়ে সংসারে এসে উপস্থিত হল ? যা কিছু পাচ্চি তার মধ্যে আমরা সম্পূর্ণকে পাচ্চিনে, যা পাচ্চিনে তার মধ্যেই আমাদের আসল পাবার সামগ্ৰীটি আছে-এই একটি স্মৃষ্টিছাড়া প্রত্যয় মামুষের মনে কেমন করে জন্মাল ? পশুদের মনে ত এই তাড়নাটি নেই। উপরে যা আছে তারই মধ্যে তাদের চেষ্টা ঘুরে বেড়াচ্চে—মুহূৰ্ত্তকালের জন্তেও তারা এমন কথা মনে করতে পারে না যে, যাকে দেখা যায় না তাকেও খুঁজতে হবে, যাকে পাওয়া যায় না তাকেও লাভ করতে হবে। তাদের ইন্দ্রিয় এই বাইরে এসে থেমে গিয়েছে, তাকে অতিক্রম করতে পারচে না বলে তার মনে কিছুমাত্র বেদনা নেই। - কিন্তু এই একটি অত্যন্ত আশ্চর্য ব্যাপার, মানুষ প্রকাশ্বের চেয়ে গোপনকে কিছুমাত্র কম করে চায় না —এমন কি, বেশি করেই চায়। তার সমস্ত ইঞ্জিয়ের বিরুদ্ধ সাক্ষা সত্বেও মানুষ বলেছে দেখতে পাচ্চিনে কিন্তু আরও আছে, শোনা যাচ্চে না কিন্তু স্থারও আছে। জগতে অনেক গুপ্ত সামগ্ৰী আছে যার আচ্ছাদন তুলে ফেল্লেই তা প্রত্যক্ষগম্য হয়ে ఇడ్లీ এ কিন্তু সেৱকম নয়— এ আচ্ছন্ন বলে গুপ্ত নয়, এ গভীর বলেই গুপ্ত—স্বতরাং একে যখন আমরা জানতে পারি তখনো এ গভীর থাকে। গোরু উপরের থেকে ঘাস ছিড়ে থায়, শূকর ाउँ रिम মাটী চিরে সেই ঘাসের মূখা উপড়ে থেয়ে থাকে, কিন্তু এখানে উপরের ঘাসের সঙ্গে নীচেকার মুথার প্রকৃতিগত কোন প্রভেদ নেই, দুটিই পশগম্য এবং ছটিতেই সমান রকমেই পেট ভরে। কিন্তু মানুষে গোপনের মধ্যে যা খুজে বের করে প্রকাশ্বের সঙ্গে তার যোগ আছে, সাদৃপ্ত নেই। তা খনির ভিতরকার খনিজের মত তুলে এনে ভাণ্ডার বোঝাই করবার জিনিষ নয়। অথচ মানুষ তাকে রত্বের চেয়ে বেশি মূল্যবান রত্ন বলেই জানে। * * তার মানে আর কিছুই নয়, মানুষের একটি অন্তরতর