পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফ্র্যাঙ্ক তাহার দিকে ভূতান্ত মমতার সহিত বারবার চাহিতেছিলেন। তাহার শরীর ক্ষীণ ! কি রক্তহীন ! কি দুৰ্ব্বল -জীবন্ত মানুষের অন্তত যতটুকু পুষ্টি থাকা - • is তাহা তাহার নাই। ফ্র্যান্ধের লম্বা চওড়া পোষাকটা তাহাকু একেবারে গিলিয়া ফেলিয়াছে। তাহার নিজের উন্নত, বলিষ্ঠ, স্ফীতপেশী দেহের সঙ্গে তুলনায় বাট কতটুকু! কত দিন সে অনাহারে, অনিদ্রায়, নিরাশ্রয় অবস্থায় কাটাইমুছে তাহার ঠিক নাই। বাপরে। गोः કરે কষ্ট সহিতে হইলে তিনি মরিয়া যাইতেন। এ কষ্টের কথা কল্পনায় আনিতেও তাছার বুক ছর ছর করে। কিন্তু বাটি কেমন স্থির ভাবে, কেমন হাসি ঠাট্টার সঙ্গে তাহার সেই অসীম দুঃখকাহিনী বলিয়া যাইতেছে — চাঞ্চলা নাই, বিরক্তি নাই, বিরাগ নাই, কাহারে উপর কোনো নালিশ নাই ! দুঃখগুলাকে সে অবনত মস্তকেই গ্রাহ কৰিয়া লইয়াছে তাহার মনে কোনো ভাবনা tাই, ক্লেশ নাই--কেবল শীত-পীড়িত নীলবর্ণ ক্ষীণ হাত - - ད་ ནད་ র এখন একমাত্র কষ্ট-আর কোনো তাহা দেখিয়া না হাসিয়া থাকিতে পারি বাটির যেন চমক ভাঙিল, সে বলিয়া উঠিল—“এখন করি কি ? शाहे কোথায় ?” কথার সঙ্গে সঙ্গে তাহার দৃষ্টির সম্মুখে ভবিষ্যতের অনন্ত অন্ধকার ফুটিয়া উঠিল সেখানে কোনাে সহায় নাই, কোনো আশা নাই, কোনাে আত্মীয়, বন্ধু নাই –কেবল বিভীষিকা। তাছার প্রাণ - নৈরান্তে আকুল হইয়া কাদিয়া উঠিল। ফ্রাঙ্ক তখন অত্যন্ত স্নেহের সঙ্গে তাহার পিঠ চাপড়াইতে লাগিলেন, তার মধ্যে কত আশ্বাস প্রচ্ছন্ন। সেরির বোতলটা টানিয়া লইয়া - এক গ্লাস পূর্ণ করিয়া বার্টির হাতে দিলেন, বলিলেন —“তোমার কোনো ভাববার দরকার নেই। এখন তে৷ কিছু দিন আমার এখানেই থাকে। পরে যখন সবল হয়ে উঠবে তখন দেখা, যাবে! এখন ভাববার সময় - - নয়। • শাখ, ১৩১৭ । ASA SSASAS SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSS - ফ্র্যাঙ্ক এখন কিছু দিনের জন্য বার্টির সঙ্গ পাইলে - વિશ્વાનો ১০ম ভাগ । বেশ ভালই থাকেন। তিনি যে ভাবে জীবন কাটাইতে ছিলেন সে ভাবে চলিতে তার আর ভালো লাগিতেছে না। - যাহাদের জীবনে কোনে কিছু কাজ নাই, সংসার নাই, সংসারের ভাবনা নাই, গ্রাসাচ্ছাদনের চিন্তা নাই, তাহার নিজেরই মত এমনি একদল নিষ্কৰ্ম্ম বন্ধুদের লইয়া । তিনি দিনযাপন করিতেছিলেন, সেই একঘেয়ে আমোদপ্রমোদ-নাচ আর ভোজ, আর মধ্যে মধ্যে দেশ-বেড়ানো র্তার অর ভালো লাগিতেছিল না। সব দিনগুলোই প্রায় সমান, কোনো বৈচিত্র্য নাই—ঢলেছে তো চলেইছে। অবস্থার বিপর্যায় নাই—যে অবস্থায় জন্ম, সেই অবস্থায় স্থিতি ; নিজের যেমন খুসি সেই রকম করিয়াই নিজেকে অনায়াসে রাখা যায়—তাহাতে কোনো বাধা চেষ্টা থাকে না ! সমস্ত জীবনটার মধ্যে এতটুকু চিন্তা নাই ! -- - ফ্রাঙ্কের কিন্তু এখন একটা ভাবনার বিষয় জুটিয়াছে। } বাট । এই কারণে বার্টির সঙ্গটা তাহার ভালো লাগিতে ছিল, তাহার মধ্যে তিনি একটা নূতনত্ব পাইতেছিলেন এবং - থাকুক ! মোট কথা ফ্র্যাঙ্ক বিশেষ আহলাদিত হইয়াছিলেন । অতীতের স্মৃতি তাহার চোখের সমুখে জাগিয়া উঠিতেছে—যদিও সে স্মৃতি অস্পষ্ট, ক্ষীণ, এবং অতি দ্রুতভাবে মনের সামনে দিয়া চলিয়া যাইতেছে, তবুও তাহার মধ্যে অনেকখানি আনন্দ ! সেই স্কুলের দিন, সেই ছেলেমানুষী, সেই দুষ্টমী, সেই দৌড়ধাপ, সেই বনভোজন। বার্টির কি সে সব এখনো মনে আছে ? ফ্র্যাঙ্ক এখনো যেন দেখিতে পাইতেছেন সেই বাট, সেই ছোট্টট, সেই রোগ-রোগ চেহারা ! অন্ত ছেলেরা, তাহাকে লইয়া রঙ্গ করিতেছে, তাহার । সহিত ঝগড়া করিতেছে, মারামারি করিতেছে, তিনি - পড়েন : 1 * এবং বাধা পড়েন। বলিয়াই বাধা অতিক্রমের কোনো - - সেই জন্যই তাহাকে কিছু দিনের জন্ত তাহার নিজের কাছে । রাথিতে এত আগ্রহ। এখন তো সে কিছু দিন তাহার । বাড়ীতে থাকুক, তারপর না হয় বার্টির জন্য তিনি অন্ত | কোনো বন্দোবস্ত করবেন—চেষ্টা করিয়া কোথাও একটা 1 চাকরী জুটাইয়া দিবেন-আপাতত সে সব কথা চাপ | ছেলেবেলার বন্ধু বাটিকে পাইয়া | SumitaBot (আলাপ) ১৮:০৯, ২৫ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)-------- -------SumitaBot (আলাপ) ১৮:০৯, ২৫ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি) বার্টির পক্ষ লইয়া লড়িতেছেন, বন্ধুকে রক্ষার জন্য দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হইয়া বজমুষ্টি ছড়িতেছেন। সে সব কথা কি বাটর মনে আছে ? তারপর—কতদিন এমনি করিয়া কাটিয়াছে, তারপর ফ্র্যাঙ্ককে কোনো থপর বার্তা না দিয়া হঠাৎ একদিন বার্টির অন্তৰ্দ্ধান। তারপর অবরেসবরে চিঠিপত্র লিখিত, তারপর তাও বন্ধ—বার্টির অনেক দিন আর কোনো খপর নাই! সত্যই, এতদিন পরে সেই বন্ধুকে পাশে পাইয়া ফ্র্যাঙ্ক আনন্দে উচ্ছসিত হইয়া উঠিয়াছিলেন । বার্টির উপর সত্যই তার একটা প্রগাঢ় ভালোবাসা ছিল—তাহাকে তিনি অত্যন্ত স্নেহের চক্ষে দেপিতেন। তার কেমন একটা ভাব ছিল যাহা তাহার স্বভাবের সম্পূর্ণ বিপরীত। বার্টির সেই ভাবটা তাহার বড় ভাল লাগিত –যেন সে নিজের ভরে নিজে দাড়াইতে পারে না, সদাই যেন একটা অবলম্বন খোজে, কেমন-এক করুণ দৃষ্টিতে চাহে । আদবের জন্য লালায়িত, আদর ੋਂ খুসি। অবহেলায় অভিমানে ফুলিয়া উঠে ! কেমন একটা যেন মায় জানে যাহাতে সকলকে সে তাহার কাছে আকর্ষণ করিয়া আনিতে পারে, তাহাকে o - - - - o - -o মুখী করিবার জন্য সকলকার মনে একটা আগ্রহ জন্মায়। - - ফ্রাঙ্ক যেমন আপনাতে-আপনি অটল, আপনাতে-আপনি বিকশিত বার্টি মোটেই তেমন নয়। ফ্র্যাঙ্ক মহীরুহ, সমস্ত দিন ঘরের ভিতর আগুনের পাশে বসিয়া বাট বেশ আরাম বোধ করিতেছিল। ফ্র্যান্ধ মধ্যে মধ্যে গেলাসে মদ ঢালিয়া দিতেছিলেন—দুজনে অল্প অল্প মদে চুমুক দিয়া মনটাকে বেশ প্রফুল্ল রাখিতেছিলেন। বাট গল্প করিতেছিল। আমেরিকায় কবে কি ঘটিয়াছিল, থিয়েটারের দিন কত রকমের বিপদে সে পড়িয়াছিল তাহ বেশ রস দিয়া সে বর্ণনা করিতেছিল। একটার পর, একটা, তার পর | আর একটা এই রকম ভাবে গল্প চলিতেছিল। সেগুলো রোমান্সের মতো শুনাইতেছিল। ফ্র্যাঙ্ক সমস্ত দিন ঘরের মধ্যে বদ্ধ থাকিয়া অস্বস্তি বোধ করিতেছিলেন। একবার ক্লাব হইতে ঘুরিয়া আসিবার अछ উঠিলেন। বাটি যেখানে বসিয়াছিল সেইখানেই বসিয়া g - - - - - - - - - - - -- - - - .ہے ১ম সংখ্যা । সংকলন ও সমালোচন—ভাগ,চক্র। 99 - ----------- ാ.-- ----- - o - ম্যানেজার তাহাকে কোন দিন কি কথা বলিয়াছিল, কত । রহিলু। তাহার যে যাইবাপ্প বাে নাই। নিজের ড়ে । পোষাক পরিয়া আর কি বাহির হওয়া যায় ? ফ্র্যান্ধের । পোষাকও যে তাছার গায়ে ঢল ঢল করিতেছে! ফ্র্যাঙ্ক । যখন যাইবার জন্ত প্রস্থত, তখন বাটির যেন কি-একটা কথা মনে পড়িল। সে তাড়াতাড়ি দাড়াটুয়া । বলিল— । "ফ্র্যাঙ্ক । ভাই, মিনতি করে বলচি আমার কথা এখানকার । কাউকে বোলোনা। আমার মতে হতভাগা তোমার বন্ধু । বলে পরিচয় দেবার যোগ্য নয়!”- - ফ্রাঙ্ক একটু হাদিয়া বললেন—“আচ্ছা! বাটি আবার বলিল—“ফ্র্যাঙ্ক! তোমার ; मि । কেমন করে শেষ করব ? ইহ জন্মে পার — - কোন স্বরুতির বলে তোমার মতো বন্ধ পো যেমন সহৃদয় তেমন এ জগতে আর কেউ নেই। এই কৃতজ্ঞতার উচ্ছসি হইতে মুক্ত হইবার জন্তু তাড়াতাড়ি স্থান পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গেলেন। বা আগুনের ধারে পাছটাে ছড়াইয়া আরাম করিয় বাস - - ভাবনা তা কেবল তার হাত দুখানি লইয়৷ |- ন করিয়া সে দুটোকে সহজ ও স্বাভাবিক করিতে পারিবে: মনোযোগের সহিত তাহাই চিন্তা করিতে । “. - - তৃতীয় পরিচ্ছেদ । । - - o এক মাস অতীত হইয় গেছে। বাট । કે કર ન কাল হোয়াইট-রোজ কটেজেই আছে বহুমূলী পা চ্ছদ ও টুপি পরিয়া সে যখন ফ্রান্ধের পাশে বসিয়া - ফিটনে রাস্তায় বাহির হয় তখন আর তাহাকে সেই বলিয়া চেনা যায় না। সে এখন স্বচ্ছদে বান্ধবদের সঙ্গে মেশে–ভালো সাজগোজ কে o, a আমোদ প্রমোদ করিয়া বেড়ায়। ফ্রাঙ্ক তাহাকে স্ত - ক্লাবে পরিচিত করিয়া দিয়াছেন; সে এখন প্রতিদিন । সেখানে ফ্র্যাঙ্কের পাশে বসিয়া ডিনার খায়—লম্বা-চওড়াকথায় শকারের আলোচনা করে, মদ, চুরুট প্রভৃত্তি সমালোচনা করে, হু শিলিং দামের হাভানা চুরুটফস ফস। --- - - - ,