পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- ਾ ੋ ° »२७ -് মেলা উভয় ধৰ্ম্ম এবং বাণিজ্য ব্যাপার ঘটিত। এ প্রদেশে शेश টর নীেচী (নবচঙীর) ও বটেশ্বরের মেল ३अ । বঙ্গদেশের অনেকেই কিন্তু এবিষয়ে বড় সংবাদ রাখেন না। ইষ্ট ইণ্ডিয়ান রেলপথে এটাওয়া ও টুওলার মধ্যবৰ্ত্তী স্থানে সিকোহাবাদ ষ্টেশন। সিকোহাবাদ মৈত্রপুরী জেলার অন্তর্গত। বটেশ্বরের মেলায় রেলপথে যাইতে হইলে সিকোহাবাদ ষ্টেশনে নামিতে হয়। বটেশ্বর o সিকোহাবাদ হইতে ১২১৩ মাইলের পথ। ষ্টেশন হইতে आहे মাইল পৰ্যন্ত পাকা রাস্তা। প্রথম ৫ মাইলের পর লাজপুর নামক স্থানে যাত্ৰিগণ বিশ্রাম করিয়া লয়। আমরা বটেশ্বরের যাত্রি ছিলাম সুতরাং লাজপুরে আসিয়া অশ্বগণকে বিশ্রাম করিতে দিলাম এবং সেই অবসরে নিজেরাও কিছু জলযোগ করিয়া লইলাম। পাকারাস্তা শেষ হইলে দেখিলাম আমরা ধূলিসমুদ্রে আসিয়া পড়িয়াছি। এখান হইতে মেলাস্থল পর্যন্ত অতিশয় দুর্গম। এই পথ, দুই মৃত্তিকাস্ত,প রাখিয়া সপের স্থায় বক্র o গত নিগছে। কোথাও উন্নত, কোথাও tথাও ঢালু, কিন্তু ধূলিরাশিতে সমস্তই সমতল o - - গো, মহিষ ছাগ, মেঘ প্রভৃতির পাল চলিয়াছে, ঙ্গে সঙ্গে বণিকের দল, যাত্রীর দল, সাধু সন্ন্যাসী, প্রভৃতি - ਾ ੋਂ ਾਂ ਾਂ --- - - - -- - - প্রবাসী--জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭ । - --- of Bhadawar, who lived about the beginning of the 17th Century. He built the temple of Mahadev under the title of Batesarmath in Samvat, 1703 or A.D. 1646. The cluster of 17o temples large and small on the bank of the Jamuna form a crescent and are mostly in honour to Mahadev under different mes, built from 1725–1762. The remains of a ort built high up in the ravine and of a residence --- ted by the Rajas are still standing close by uins of the ancient town Suryapur (zo) ted by the two mounds called “Purana Khera - " and “Anudha Khera or overturned - summit of the Purana Khera is covered seven modern Hindu temples dedicated - S S S S S S S S S S S S S S S S S S SMSMSMMSMMSMSMSMSMSMSMS পদব্রজে এবং শকটাদিতে দ্রবাসস্তার লইয়া চলিয়াছে। । কিন্তু ধূলায় প্রভাকরকে নিম্প্রভ করায় চতুর্দিক অন্ধকার ; মধ্যে মধ্যে স্বৰ্য্যদেব প্রকাশিত হইয়া পথের দুর্গমতা হ্রাস । করিয়া দিতেছেন মাত্র। এই ধূলি-সমুদ্র অতিক্রম করা । একটা কঠিন পরীক্ষা। কাৰ্য্যগতিকে আমাদিগকে বহু | দুৰ্গম পথ অতিবাহিত করিতে হইয়াছে ; ধূলায় ধুসরত । হইয় অনেক সময় বিকৃতাকার ধারণ করিতে হইয়াছে । কন্তু এমন সৃষ্টিছাড়া ধূলার সমারোহ আর কোথাও দেখি । নাই। বর্যার সময় এই পথ যে কিরূপ ভীষণ ভাব ধারণ । করে তাহা কল্পনারও অতীত। পূৰ্ব্বে এই পথে দম্বাগণ । প্রায়ই লুটপাট করিত এবং নিরীহ যাত্রীদিগকে সৰ্ব্বস্বাস্ত করিয়া তাহাদের প্রাণ পৰ্য্যন্ত হরণ করিত। এখনও যে এরূপ দুর্ঘটনা হয় না তাহা নহে, কিন্তু গবমেন্টের বিশেষ । বন্দোবস্তে দম্বাবৃত্তির পথ অনেকটা বন্ধ হইয়াছে। যাত্রিগণ মেলার সময়ে নিৰ্ভয়ে গমনাগমন করিতে পারে। যাহা । হউক এই পথে বাইতে বাইতে ক্ৰমাগত উথত শিরশির ; মধ্যে আমাদের অঙ্গ ও অঙ্গাবরণ সমাধিস্থ হইল। এই ৷ জীবন্ত সমাধির মধ্যে মুখমণ্ডল সমাবৃত করিয়া মহামুনি বাল্মীকিকে স্মরণ করিতে লাগিলাম। ষাট হাজার বৎসরে যাহা পৌরাণিক ঋষিকে অমর করিয়াছিল, কয়েক ঘণ্টার - - - . মধ্যে আমরা অযত্ন সুলভ বস্তুর সংস্পশে সেই দুর্লভ | পথের পথিক হইয়াছি ভাবিয়া মনকে তখন প্রবোধ দিলাম এইস্থানে লীলাময়ী যমুনা অত্যন্ত মন্থর গতিতে আঁকিয়া বাকিয়া চলিয়াছেন। এইস্থানের নাম পূরঘাট বা ধূলাঘাট। প্রথম দিন আমরা চক্ষু খুলি নাই। ফিরিবার দিন দেখিলাম ঘাটের চিহ্ন নাই, যমুনার জলস্পর্শে উপকূলভাগ কর্দমাক্ত। তথাপি তথায় বহুদূর পর্য্যন্ত লোকজন স্নান করিতেছে। একস্থানে একটা অতি প্রাচীন শিবমন্দির ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে, - তাহার কিয়দংশ যমুনার গর্ভে বিলীন হইয়া গিয়াছে। ভগ্নমন্দিরের সম্মুখে মৃত্তিকা ও ইষ্টকস্ত,পের উপর প্রোথিত পরিত্যক্ত সরকারি মাইল ষ্টোনখানি শিবলিঙ্গের স্থান । অধিকার করিয়া ধূরঘাটির মাহাত্ম্য বজায় রাখিয়াছে। এস্থান হইতে ধূলা ঘাটিতে ঘাটিতে আরও কিছুদূর যাইলে যমুনার পরপারে যাইবার জন্য ভাসমান সেতু প্রাপ্ত হওয়া । যায়। এইস্থানের নাম নারাঙ্গিৰাগ। এইস্থানে যমুনার । - -- [ ১০ম ভাগ। ২য় সংখ্যা । ] -- - - - ਾਂ - - - বটেশ্বর ও বনখণ্ডেশ্বর । - S tD DBB BBB BBB BBBBB BBB BBB BBBBBBBBBBB BBB BB BBBBBBB D -- প্রকৃতিস্থ হইলাম এবং কিয়ৎক্ষণ বিশ্রামের পর সেতু পার হইয়া মেলাস্থলের দর্শন পাইলাম। চতুর্দিকে প্রায় ৮১° মাইল পথ যুড়িয়া মেলা বসিয়াছে। ইহাতে প্রধানতঃ অশ্ব, উঃ, গবাদি পশুর ক্রয় বিক্রয় হইয়া থাকে। এবৎসর প্রায় . হাজার ঘোড়া, ৭০৷৮০ হাজার উট, লক্ষাধিক বলদ এবং দেড় লক্ষ লোকের সমাগম হইয়াছিল। যমুনার পূৰ্ব্ব উপকূলে এই বিস্তীর্ণ ভূমিভাগ বটেশ্বর নামে প্রসিদ্ধ। সমস্ত বৎসরই ইহাতে গম, যব, জনার, বজরা, ছোলা, মূলা, অড়হর প্রভৃতির চাষ হইয়া থাকে, কেবল এই সময় চাষ বন্ধ - - --- থাকে। মেলা ফুরাইয়া গেলে আবার চাষ আরম্ভ হয়। এই মেলার জন্য এ জমীতে আর সার দিতে হয় না। ফসলও অতি শীঘ্ৰ, সামান্ত যত্নে প্রচুর পরিমাণে হইয়া থাকে। মেলার জন্তই যে বটেশ্বর বিখ্যাত তাহা নহে। বটেশ্বরের অধিষ্ঠাতা দেবতা বটেশ্বরনাথ, বনপণ্ডেশ্বর, বিশ্রাস্তঘাট, একোত্তর শত শিবমন্দির এবং অসংখ্য শিবলিঙ্গ এই প্রাচীন তীর্থ স্থানের প্রসিদ্ধির প্রধান কারণ। প্রতি বৎসর কাৰ্বিকী পৌর্ণমালীতে - এই তীর্থে স্নান করিবার জন্ত বহুদূর হইতে অসংখ্য যাত্রী আসিয়া উপস্থিত হয় এবং এই স্বান-পৰ্ব্বোপলক্ষে এই মেলা বসিয়া থাকে। এতদ্ব্যতীত হিন্দুর এই মহাতীর্থে “বার মাসে তের পাৰ্বণ ইষ্টয়া থাকে। মুতরাং বার মাসই এখানে যাত্রীর সমাগম হয়। মেলাস্থল হইতে দূরে একান্তে একটা কুলবাগানে ( বৈরবাগে ) আমাদের তাবু পড়িয়াছিল। এই উদ্ধানের দক্ষিণ প্রান্তে একটা বাধান কৃপ আছে। এই কৃপের জল স্বচ্ছ, স্বাদু ও স্বাস্থ্যপ্রদ বলিয়া প্রসিদ্ধ। - * * অব্যবহারে অনেক সময় ইহার জল তরূপ ভাল থাকে না - । কিন্তু যখন ব্যবহার হইতে থাকে তখনই ইহার জল উৎকৃষ্ট | পানীয় স্বরূপ ব্যবহার্য। আমি কিছুদিন ম্যালেরিয়া জরে ভূগিতেছিলাম, জর বিরামের অব্যবহিত পরেই রুগ্ন অবস্থাতেই | বটেশ্বর আসিয়া উপস্থিত श्छे কিন্তু છારું কূপের জল ব্যবহার করিয়া এক সপ্তাহের মধ্যেই স্বাস্থ্যলাভ করি। এক দিবস শুনিলাম এই কূপের পাশ্বে মৃত্তিকাগর্ভে ইষ্টকের প্রাচীর বেষ্টিত একটী শিবলিঙ্গ আছে । এক্ষণে বিশ্রান্তঘাটের নিকটবৰ্ত্তী স্থান সমূহ যেমন যাত্রী সমাকীর্ণ তীর্থস্থলীতে পরিণত হইয়াছে পূৰ্ব্বে এই স্থান সেইরূপ ছিল। সেই দিন - - - - - - -- - S M S M S M S M S M S M MM - --പ് কৌতূহল পরবশ হইয়া আমরা উক্ত স্থান দর্শন করিতে যাই। উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের বহু প্রাচীন তীর্থ এবং । কৌতৃকাগারাদিতে নানাপ্রকার শিবলিঙ্গ দেখিয়াছি । কিন্তু শিবলিঙ্গের ঠিক এইরূপ মূৰ্ত্তি আর কোথাও । আমাদের নয়নগোচর হয় নাই। কাশীর পুরাতন শ্বেশ্বরের মন্দির যেমন হিন্দু মুসলমানের ধৰ্ম্ম সংঘর্ষের নিদর্শন বহন । করিতেছে, দেখিলাম এই লিঙ্গমূৰ্ত্তি তদ্রুপ হিন্দু বৌদ্ধ । সংঘর্যের প্রমাণ স্বরূপ দণ্ডায়মান রহিয়াছে। এবং এক বিগ্রহে এতৎ প্রদেশে প্রাচীন হিন্দু, বৌদ্ধ ও পরবর্তী f - প্রভাবের ইঙ্গিত পাওয়া যাইতেছে। সাধারণতঃ বাদামী রঙ্গের প্রস্তরে এবং শিং নিৰ্ম্মিত হইতে দেখা যায়। একটা ইষ্টক নিৰ্ম্মিত অনা বেষ্টনীর মধ্যে অষ্ট কোণ কাল পাপরে প্রায় আড়াই হাত উচ্চ শিবলিঙ্গ। মস্তক হইতে প্রায় ৮ ইঞ্চি নিয়ে পেনেট। ৷ এই পেনেটের নিয়ে লিঙ্গমূৰ্ত্তির পাদমূলে ভূপৃষ্ট হইতে প্রায় ৬ ইঞ্চি পরিমাণ উচ্চে সুদীর্ঘ প্রদীপের আকারে আর একটা পেনেট ইষ্টকে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এই দুই পেনেটের মধ্যে - প্রস্তর গাত্রে উৎকীর্ণ ধ্যানস্থ বুদ্ধদেবের মস্তক । কেশ । হইতে কণ্ঠদেশ পর্যন্ত বৌদ্ধস্থপতির অভ্রান্ত শিল্পচাতুর্ঘ্য । প্রকাশ করিতেছে। এই উন্মুক্ত মন্দিরের সন্মুখস্থ নিম্ন ও । - - অপর একটা ক্ষুদ্র শিবলিঙ্গ প্রোথিত দেখিলাম। এই ৷ বিগ্রহ পেনেটইন কিন্তু বুদ্ধদেবের মস্তকবিশিষ্ট। পূৰ্ব্বোক্ত । লিঙ্গের ন্যায় পৃষ্ঠদেশ মন্থণ এবং অন্যান্ত শিবলিঙ্গের স্থায় - বুদ্ধদেবের মস্তক। আমাদের অনুমান অতি প্রাচীনকালে ইহা বুদ্ধদেবের মস্তকবিহীন অবিকৃত শিবলিঙ্গ ছিল । । -- -- -- ইলে বোধ হয় । হইলে এবং হিন্দু রাজত্ব পুনঃ প্রতিষ্টিত হ - -