পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ & 8 এক একজন সহৃদয় শিক্ষকের মত। আমাদূের দেশের সহর ভিন্ন অন্য কোথাও इि ত এরূপ স্বতন্ত্র লাইব্রেরী স্থাপন করিবার সময় এখনো উপস্থিত হয় নাই। তবে প্রত্যেক বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষদের এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া উচিত। ছেলেদের পড়িবার মত ভাল ভাল বাংলা ইংরাজি বই ও পত্রিক দিয়া প্রত্যেক বিদ্যালয়ের আলমারি পূর্ণ রাখিতে হইবে এবং এই সমস্ত পাঠে যাহাতে ছেলেদের মন বসে অধ্যাপকেরা তাহার চেষ্টা করিবেন। भ । আকাশ-জয়। ( সংগৃহীত ) উন্নতিশীল পাশ্চাত্য জাতিদিগের অধ্যবসায় দেখিলে অবাক হইতে হয়। যে কাৰ্য্য আমাদের কল্পনাতীত, যাহাকে আমরা বিজ্ঞতার সহিত বাতুলত বলিতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠ বোধ করি না, ইউরোপীয়গণ তাহাই কার্য্যে পরিণত করিতেছেন। প্রকৃতি কেবল পুরুষকারের নিকটেই আপনার জটিল রহস্ত ধীরে ধীরে উদঘাটন করিয়া থাকেন ; “তাই” অধ্যবসায়ী পাশ্চাত্য পণ্ডিতদিগের দ্বারাই প্রকৃতির গৃঢ় তত্ত্ব সকল আবিষ্কৃত হইতেছে। ইহারা জড় পদার্থের সম্যক পর্যালোচনা করিয়া নিত্য নুতন সত্য আবিষ্কার করতঃ মানবসমাজের অশেষ কল্যাণ সাধন করিতেছেন। প্রকৃতির উপরে আধিপত্য লাভ করিবার অকান্ত চেষ্টাও তাহার ফল স্বরূপে বাষ্প ও তড়িৎ-শক্তির আবিষ্কার হইয়াছে। এখন “ছ’ দণ্ডে চলে যায় ছ' মাসের পথ”— কেবলমাত্র কবি কল্পনা নহে। রেল ও ষ্টীমার উদ্ভাবিত হওয়ায় সমুদ্র, পৰ্ব্বত প্রভৃতি প্রাকৃতির বাধা সকল পূৰ্ব্বের দ্যায় এখন আর গমনাগমনে ব্যাঘাত জন্মাইতে পারে না । প্রাকৃতিক বাধা অনেক পরিমাণে দূর হইলেও পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা সস্তুষ্ট না হইয়া আকাশপথে নলরাজার দ্যায় রথ চালনা করিবার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করিয়া আসিতেছেন। কতজন এই কার্য্যে প্রাণ পৰ্য্যস্ত বিসর্জন দিয়াছেন। এখনও বোমযান সম্পূর্ণ পূর্ণাঙ্গ (perfect ) ন হইলেও শীঘ্রই যে উহার প্রচলন হইবে তাহাতে जएन्छृश् नॉरें। প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭ • - গগনচারী বিহঙ্গমদিগের দ্যায় ইচ্ছানুসারে ইতস্তত: পরিভ্রমণ মানবের বহুযুগব্যাপী আকাঙ্গ। পৌরাণিক যুগের অনেক বীর আপন পক্ষের অথবা পক্ষযুক্ত অশ্বের সাহায্যে আকাশমার্গে ইচ্ছামত গমনাগমন করিতে পারি. তেন, এইরূপ প্রসিদ্ধি আছে। বিশল্যকরণী চিনিতে না পারায় হনুমান গন্ধমাদন পৰ্ব্বত স্কন্ধে লইয়া আকাশপথে গমন করেন এবং পথিমধ্যে ভরতকর্তৃক আহত হইয়৷ ভূমিতলে পতিত হন। রাবণ পুষ্পক রথের সাহায্যে সীতাকে লইয়া নদনদী, পৰ্ব্বত ও সমুদ্র অতিক্রম করিয়া লঙ্কায় উপস্থিত হন । ঐতিহাসিক প্রমাণের অভাবে আমরা এই সকল ব্যাপারকে অতি প্রাকৃত কবিকল্পনা মনে করিয়া থাকি। ১৭৮৩ খৃষ্টাব্দের পূৰ্ব্বে যে কেহ যন্ত্রের সাহায্যে আকাশে উঠিবার চেষ্টা করিয়া কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন এরূপ ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় না। Montgolfier নামক জনৈক ধনীসন্তান একদিন লক্ষ্য করেন যে, জলন্ত উনানের উপরে লম্বিত একটি আর্দ্র পরিচ্ছদ ( Petticoat ) গরম বাতাসের বলে উৰ্দ্ধদিকে উঠিবার জন্য চেষ্টা করিতেছে। ইহাতেই তিনি বুঝিতে পারেন যে গরম বাতাস কোন ব্যাগের মধ্যে আবদ্ধ হইলে ব্যাগটিকে উপরের দিকে লইয়া যাইবার চেষ্টা করে এবং ঐ বাতাস ঠাণ্ড না হওয়া পর্য্যন্ত উহাকে আকাশ হইতে নামিতে দেয় না। এই সামান্ত বিষয় হইতে বেলুন যন্ত্র উদ্ভাবিত হয়। ঠাণ্ড না হওয়া পৰ্য্যন্ত গরম বাতাসের বেলুনে চড়িয়া অনেকেই আকাশে প্রায় এক ঘণ্টা কাল পৰ্য্যন্ত অবস্থিতি করেন। সেই সময় বেলুনকে কাগজদিয়া মোড়া হইত, কিন্তু ক্রমে কাগজের পরিবর্তে রবার মোড় রেশমী কাপড় এবং গরম বাতাসের পরিবর্তে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহৃত হইয়া থাকে। এইরূপ বেলুনের সাহায্যে ১৭৮৫ খৃষ্টাব্দে Blanchard নামক একব্যক্তি ইংলিশপ্রণালী পার হন। নৌকার দ্যায় বেলুনকে ইচ্ছানুসারে ইতস্ততঃ চালাইবার জন্য ৭০ বৎসর ধরিয়া নানাস্থানে চেষ্টা হয় কিন্তু উল্লেথযোগ্য উন্নতি হয় না। ১৮৫২ খৃষ্টাব্দে Gifiard নামক এক ব্যক্তি ক্ষুদ্র বাষ্পীয় যন্ত্রের সাহায্যে হালযুক্ত চুরুটাকৃতি অনেক বেলুন নিৰ্ম্মাণ করেন কিন্তু ব্যয় বাহুল্যের জন্য ঐ ১০ম ভাগ ২য় সংখ্যা । ] SASAMMMMMMMMMSSMMSMA AMMMMMMS | ব্যবসায় হইতে ক্ষান্ত হন। ইহার পর আর কোন চেষ্টা হয় নাই। পরে জাৰ্ম্মানদিগের দ্বারা যখন ফ্রান্সের রাজধানী পারী ( Paris) সহর আক্রান্ত হয় তখন Duping de Lome " নামক এক ফরাসী হস্তচালিত যন্ত্রের সাহায্যে উড়িবার চেষ্টা করেন। জাৰ্ম্মাণ Paul আধুনিক ধরণের বেলুন প্রস্তুত করেন। তাহার বেলুনের মধ্যে ছোট আর একটা বেলুনে বাতাস আবদ্ধ থাকে । পাথুরিয়া কয়লার মে উহা পূর্ণ থাকায় বেলুন উদ্ধে উঠতে ভালরূপ সক্ষম হয় না । - svys įžtro Captain Renard fĒTS চালিত যয়ের সাহায্যে তাহার La Trance নামক বেলুনে করিয়া আকাশপথে ইচ্ছানুসারে ভ্রমণ করেন এবং ৭ বারের মধ্যে Haenlein ৫ বার পূৰ্ব্বস্থানে ফিরিয়া আসিতে সক্ষম হন । তাহার বেলুনের সম্মুখদিকে দ্বিপক্ষ পরিচালক যন্ত্র ( two-bladed propeller) ব্যবহৃত হয়। বেলুনকে স্থির রাখিবার জন্ত তিনি স্বচল (automatic) ভারের বন্দোবস্ত করেন। উনবিংশ শতাব্দীতে ইহা অপেক্ষ উৎকৃষ্ট বেলুন আর নিৰ্ম্মিত क्ष्म्न मोडे । বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে কেরোসিনের সাহায্যে হালকা অথচ অত্যন্ত শক্তিশালী হাওয়াগাড়ীর (motor-car) স্বষ্টি হয়। এই সময়েই এঞ্জিনিয়ারের স্থলপথের দ্যায় শুষ্ঠমার্গকে জয় করিবার জন্ত বদ্ধপরিকর হন এবং বহুপ্রকার যন্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণ করেন । এই সকল যন্ত্রকে প্রধানতঃ দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করা যাইতে পারে—এক জাতীয় বেলুন বাতাস অপেক্ষা হালকা এবং অপর জাতীয়গুলি অনেক ভারী। হালকা বেলুনের মধ্যে কতকগুলির আকার গোল, এগুলি বাতাসের গতির সম্পূর্ণ অধীন। অপরগুলি ইচ্ছানুসারে নানাদিকে - পরিচালনের উপযুক্ত (dirigible বা ইচ্ছা-চল ) । সমুদায় ইচ্ছা-চল (dirigible) বেলুনের আকৃতি প্রায়ই সুহ্মাগ্র চুরুট Al Gottonso Tö Count Zeppelino বায়ু জাহাজেই (air-ship) সৰ্ব্বাপেক্ষ উৎকৃষ্ট। কিন্তু এই সকল হালকা জাহাজ প্রবল বাতাসের সময় চালান অসম্ভব। এইরূপ অধিকাংশ বায়ু জাহাজই বায়ুবেগে নীত হইয়া বৃক্ষাদির আঘাতে নষ্ট হইয়া গিয়াছে। বায়ুর হাত হইতে রক্ষা করার জন্য উহাকে সৰ্ব্বদাই এবং যে q সংকলন ও সমালোচন—আকাশ-জয়। 〉?Q SumitaBot (আলাপ) ১৮:২০, ২৫ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)പു~~ാബ് স্থানেই উল্প অবতরণ করুক না কেন সেইখানেই বড় ঘরের মধ্যে রক্ষা করা আবগুক । সুতরাং এরূপ জাহাজদ্বারা সকল সময় আকাশে চলা সম্ভব নহে। ভারী যন্ত্রগুলি বহুপ্রকারের ; তন্মধ্যে জাৰ্ম্মানীবাসী Lilienthal কৃত হালযুক্ত দ্বিপক্ষ যন্ত্র দেখিতে বাহুড়ের মত। একবার উড়িবার সময় সামান্য দমকা বাতাসের বেগে যন্ত্রটির একখানি পক্ষ ভাঙ্গিয়া যায় ; তাহাতে কল উণ্টিয়া যাওয়ায় L;lienthal o . *# ŵâ žr& •fö© &ēši 2it* হারান। Lilienthală râaţa aeroplanegă (****) পথপ্রদর্শক (father) । আজকাল ইহারই অনুকরণে Chanute, Wrights, er#f5fĪRI RÝ নিৰ্ম্মাণ করিতেছেন। M. Dumont #8. Ader নামক বায়ু-জাহাজের সাহায্যে উড়িতে সক্ষম হওয়ায় পারিতোষিক লাভ করেন। আবশুকমত পরিচালনক্ষম (supplying its own motive power) ভারী যন্ত্রের সাহায্যে আকাশ-ভ্রমণ সৰ্ব্বপ্রথম Dumont: দ্বারা সম্পন্ন হয়। ইহার পূৰ্ব্বে সকলে অনুমান করিতেন সে হালকা যন্ত্র ভিন্ন আকাশে উঠা সম্ভব নহে। ১৯০৬ খৃষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে বায়ু-জাহাজ ২৪১ ফিট বা ১৬০ হাত পৰ্য্যস্ত TFA Tr FRtät Henri Farman ER• 3F (S EfĘrz Hra za i zittsfreta Wilber Wright ১৯০৮ খৃষ্টাব্দে (৩১ ডিসেম্বর তারিখে) ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট ৪৪ সেকেণ্ডে ৯৩ মাইল পথ যাতায়াত করেন অর্থাৎ ডাকগাড়ীর দ্যায় ঘণ্টায় প্রায় ৪০ মাইল বেগে আকাশপথে গমনাগমন করেন। এই সকল যন্ত্রের সাহায্যে আকাশে কিছুদূর যাতায়াত করিতে পারা যায় বটে কিন্তু এখনও ইহাদের অনেক দোষ আছে। আশা করা যায় যে শীঘ্রই দোষগুলি সংশোধিত হইবে। দোষগুলি মোটামুটি এই —যন্ত্রের পক্ষে (১) খুব হালকা মোটর (motor)এর দরকার কিন্তু হালকা মোটর শীঘ্রই নষ্ট হইয়া যায়। (২) ইহাতে বড় বড় জাহাজের মত বেশী পরিমাণ ইন্ধন (fuel ) লণ্ডয়া সম্ভব: নয় ; কাজেই এইরূপ যন্ত্রের সাহায্যে দূর দূরান্তরে যাওয়া অসম্ভব। (৩) এই কলের জন্ত যন্ত্রশক্তি (horse power) Santos