পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাতিক শুজল ۹ اسی মনে আত্ম-প্রবঞ্চনা সৰ্ব্বত্র নিবিড় এবং জটিল হইয়া জমিয়া আছে, একটা প্রচণ্ড অগ্নিদাহ ভিন্ন সে জটিলতার সমাপ্তি হইবে না। অজয়ের গলার স্বরে সেই অগ্নিদাহের আঁচ যেন আসিয়া তাহার গায়ে লাগিল। কোন একটা সৰ্ব্বনাশ-আশঙ্কায় অজয়কেও একমুহূর্তের জন্য সে ভয় করিল। অকস্মাৎ বিমান বলিয়া উঠিল, “না, আসল কথাটার কোনো মীমাংসাই তোমাদের কাউকে দিয়ে হল না। স্বভদ্র যদি দেশের লোকের হারানো স্বাস্থ্য তার কোনও টোটুকার সাহায্যে তাদের ফিরিয়ে দিতে পারেন তবে তাতে দেশের শিল্পকলার শ্ৰীবৃদ্ধি হোক আর না-ই হোক, সেট এমনিতেই একটা খুব বড় কাজ হবে। আর অজয় যে দপের কথা বলছেন, আজকের এই প্রদর্শনীর কোনো বুদ্ধ বা শিবের মধ্যে তার প্রকাশ নেই। সম্প্রতি আমি অত্যন্ত দপের সঙ্গেই বলছি, এক-পেয়াল চা না হলে আমি আর কিছুতেই পেরে উঠব না।” স্বণ্ডত্র কহিল, “চেচাল ত অজয়, গলা শুকিয়ে উঠল কি তোমার ?” বিমান কহিল, “কাৰ্য্য-কারণটাকে উণ্টো করে দেখছ। গলা শুকিয়ে আছে ব’লেই চুপ করে আছি, নয়ত অজয়ের সবক’টা কথার জবাব ছিল। এক পেয়ালার ব্যবস্থা ক’রে দাঙ ত সেটা এখনই প্রমাণ ক’রে দিতে পারি।” স্বভদ্র কহিল, "রক্ষা কর, চা-টা তাহলে থাক। এরপর তোমার বক্তৃতা স্বরু হলে আমি একরকম করে টিকে যাব কিন্তু এর দশা কি হবে ?” পশ্চাৎ হইতে বীণার তন্ত্রীতে ঝঙ্কার উঠিল। বীণা কখন অলক্ষ্যে আসিয়া একপাশে দাড়াইয়াছিল, ইহারা কেহই তাহা টের পায় নাই, মৃদুহাস্যের মিশাল দিয়া কহিল, “ঐন্দ্রিলাও খুব টিকে থাকবে, কিন্তু বিমানবাবুর ধে-রকম অবস্থা দেখছি, চা না পেলে সত্যিই বেশীক্ষণ টিকতে না পারেন। একটা উপায় ভাবুন না, সুভদ্রবাৰু।” বিমান কহিল, "আঃ, আপনি এসেছেন, বাঁচলাম । উপায় ভাববার ভার আপনার ওপর । জীবনের মরুভূমিতে তৃষ্ণ জাগাবার ভার আমাদের, তার ওয়েসিসের সন্ধান একমাত্র আপনাদেরই জানা আছে।" স্থ ভদ্র পশি হইতে লুকাইয় তাহাকে বিযম একট। টিপুনি দিল । বাণ হাসিয়া উঠিয়া কহিল, "আচ্ছ, উপায় আমিই না-হয় ভাবছি। বেশী ভাবতে হবে না, ওয়েসিস নাচেই আছে, হোটেলে, তবে সেট। আমার বা আমার স্ব জাভায়া কারুর সম্পত্তি নয়।” সেইখানেই একটা চৌকি টানিয়া লইয়া সে বসিয়া পড়িল, বলিল, “ইলু বোস না”। তাহার দিকে চাহিয়া, তাহার কলকণ্ঠের বাধাহীন স্বধস্রোতে দুই কানকে ডুবাইয়। দিয়া সকলে ভাবিতে লাগিল, এই মেয়েটি যেন মূৰ্ত্তিমতা বাস্তবতা । ইহার চতুঙ্গিকে কোথাও আয়ুপ্রবঞ্চনার কোনও আড়াল নাই। জীবনকে সহজভাবে ধরিবার এবং নিজেকে জীবনের কাছে সহজভাবে ধরা দিবার জন্য এ যেন সারাক্ষণ প্রস্তুত হইয়াই আছে। অতীতকে সে জ্ঞানে না, জানিবার তাহার প্রয়োজন নাই । ভবিষ্যৎ তাহাকে প্রলুদ্ধ করে না। অতীতের অস্পষ্টতা এবং ভবিষ্যতের অন্ধকার হইতে এই কয়টি মানুষের মনকে এক মুহূৰ্বে ফিরাইয়। লইয়া সে তাহার চতুদিকে প্রবহমান জীবনের জ্যোতিৰ্ম্ময় আবর্ভের মধ্যে সবলে নিক্ষেপ করিল। কোন অদৃপ্ত তরঙ্গাঘাতে সহসা প্রত্যেকটি চিত্ত চঞ্চল হইগ উঠিল। তাহারা নিজেদের অজ্ঞাতেই স্বস্তির নিঃশ্বাপ লইয়া লাচিল । আবার গল্প জমিয়া উঠিতেছিল, বীণাই বাধা দিয়া কহিল. “চা খেতে কে কে যাবেন শুনি ?” সকলে উৎসাহ করিয়া প্রস্তুত হইল, কেবল ঐন্দ্রিন! বীণার কানে কানে কহিল, “আমি ভাই যাব না, তোমহ যাও, আমায় এখুনি বাড়ী ফিরতে হবে ।” বীণা ঐজিলার স্বভাব জানিন্ত, তাহাকে পাড়াপীড়ি করিল না। ডাকিল, "রাহু!” রাহু অনতিদূরে দাড়াইয়া কপট অভিনিবেশ সহকারে মহাপরিনিৰ্ব্বাণ বিষয়ক একটি ছবি দেখিতেছিল, হোটেলে যাইবার প্রস্তাবটা সম্পূর্ণই তাহার শ্রুতিগোচর হইয়াছিল, সোৎসাহে কহিল, “কি ?” বীণা বলিল, “একটু আয় এদিকে।” রাহু ভাড়াতাড়ি কাছ ঘেঁসিয়া আসিলে কহিল, “রাহু-সদগর, তোমার - - ч. т еч“т ,"Ф(,\9 পেলাম |