কাতিক श्रृंखण しや চোখের দৃষ্টি ভরিয়া একবারও তাহার দিকে সেতুলিয়া ধরে নাই। অথচ এই আকস্মিক সাক্ষাতের পূৰ্ব্বে প্রথম পরিচয়ের ক্ষটিকে, কত রঙীন কল্পনার তত্তজাল বুনিয়া সে রচনা করিয়াছে, চেতন-নিবিড় কি পরম অনুভূতির মধ্যে এই ক্ষণটিকে বরণ করিয়া লইবে বলিয়া তাহার অন্তঃকরণকে সে প্রস্তুত করিয়াছে।--•সে কত গল্প-উপন্যাস পড়িয়াছে, নাটকের অভিনয়, বায়স্কোপের ছবি দেখিয়ছে, প্রেমিক-প্রেমিকা প্রথম সাক্ষাতে বৌদ্ধধৰ্ম্ম সম্বন্ধে আলোচনা করিতেছে, এরূপ কখনও দেখে নাই । কি অদ্ভুত হইছাড়া সে ! সন্ধ্যায় যে কয়টি কথা আজ সে বলিয়াছে, তাহার প্রত্যেকটিকে নিজের মনে সাবধানে বারম্বার সে আবৃত্তি করিতে লাগিল, প্রতিবারেই প্রায় প্রত্যেকটি কথাকে তাহার বেশী করিয়া অর্থহীন এবং উপহাসযোগ্য বলিয়া মনে হইতে লাগিল। ক্রমে সব-কিছু লইয়া সে বেদন পাইতে লাগিল, নিজের উপয় দুৰ্দ্ধমনীয় ক্রোধে তাহার দাতে দাত বসিয়া যাইতে লাগিল, নিজের অক্ষমতা অধোগ্যতা লইয়া নিজেকে নিদারুণ পরিহাসে সে জৰ্জ্জরিত করিতে লাগিল । অকস্মাৎ রাত্রির স্তন্ধ অন্ধকার ভরিয়া প্রশ্ন হইল, তোমার মধ্যে এই যে নিরুপায়, এই যে অকিঞ্চিৎকর, এই যে উপহাস্য, এই কি তুমি ? তবে তুমি কে, তুমি কি ? অজয়ের গা ছমছম করিয়া উঠিল । পড়িতে পড়িতে সিড়ি ভাঙিয়া সে নীচে আসিল । রাত্রি অনেক হইয়াছে, বন্ধুদের কেহই জাগিয়া নাই। নন্দ ছেলেটি ७वांफ़ौ८ड श्रांनिधां८छ् अवशि श्रअञ्च नरा अफ़ाझेब्र তাহার সঙ্গে তিনটির বেশী কথা বলে নাই, পাটশানদেওয়া বারান্দার একধারে দুইটা টেবিল জুড়িয়া লেও অকাতরে ঘুমাইতেছে । একটু ইতস্ততঃ করিয়া অজয় তাহাকে ঠেলা দিয়া জাগাইল । ধড়মড় করিয়া উঠিয়া বলিয়াই নন্দ লাফাইয় তাহার শঘ্য হইতে নামিয় পড়িল, এমন মুখ করিয়া অজয়ের দিকে চাহিল যেন না জানিয়া কি-একটা ভয়ানক গুরুতর অপরাধ সে করিয়াছে। অজয় কহিল, “বেশ ঠাণ্ড পড়ে গিয়েছে, খোলা বারান্দায় রাত কাটানে তোমার একটুও উচিত নয় । টেবিলদুটোকে আমার ঘরে দিবি ধরবে, সেইখানেই শে,বে চল ।” নন্দের ভাব নেপিয়া মনে হইল, পারিলে সেই মুঙ্গষ্ট্রে মাটির সঙ্গে সে মিশিয়া যায়, কিন্তু অজয়ের কোনও কথা প্রতিবাদ করিতে পারে সে সাধ্য তাহার ছিল না । টানাটানি করিয়া টেবিল-দুইটাকে অজয়ের ঘরে লইয়া গিয়া সেইগানেষ্ট বাকী রাত্রিটকু আড়ষ্ট হইয়া সে জাগিয়া কাটাইল । ( ক্রমশঃ )
পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।