পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লণ্ডনে ইণ্ডিয়া হাউসের দেওয়াল-চিত্র ঐধীরেন্দ্রকৃষ্ণ দেববর্শ্ব লগুনে ভারত-গৃহ বা ইণ্ডিয়া হাউসের সংবাদ অনেকেই খবরের কাগজে পড়েছেন। সেই ইণ্ডিয়া হাউসের দেওয়ালে ছবি আঁকবার জন্য কিছুদিন পূৰ্ব্বে ভারত-গবন্মেণ্ট যে চারজন শিল্পীকে মনোনীত ক’রে লগুনে পাঠিয়েছিলেন, সেই বিষয়েই কিছু লিখব। স্তর অতুল চাটার্জি ছিলেন হাই কমিশনার ফর ইণ্ডিয়া যখন বিখ্যাত স্থপতি সার হারবার্ট বেকারের পরিকল্পনায় লগুনে ইণ্ডিয়া হাউস প্রস্তুত হচ্ছিল। শুধু ইণ্ডিয়া হাউস মাম দিয়ে বিলাতি কায়দায় যদি বাড়িখানা গড়ে ওঠে, তাহ’লে নামের ঠিক সার্থকতা হবে না। তাই কৰ্ত্তারা ঠিক করলেন যদিও চার পাশের অন্ত সব বাড়ির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখবার জন্তে বাইরের চেহারায় একটু বিলাতি স্থাপত্য আনতে হবে, তবু ভেতরে সম্পূণ ভারতীয় ধরণের গম্বঙ্ক, মাৰ্ব্বেল ও লাল পাথরের জালি, জাফর কাজের দ্বারা অনেকটা ভারতীয় স্থাপত্যের নমুনা আনবার চেষ্টা করতে হবে । স্তর অতুল আরও ভাবলেন যদি গম্বুজ ও অন্তসব জায়গায় ভারতীয় শিল্পীদের দিয়ে প্রাচীরগাত্র মগুন করান যtয় তাহলে অারও স্বন্দর দেখাবে। তাই স্তর অতুল ভারত-গবন্মেষ্টকে একটা ‘স্বীম" পাঠালেন যাতে এই দেশ থেকে চার জন শিল্পীকে লণ্ডনে পাঠিয়ে কিছুদিনের জন্ত রয়েল আট কলেজে রেখে আধুনিক ও উন্নত প্রণালীতে দেওয়াল-চিত্র আঁকান শিক্ষা দিয়ে ঐ কাজে লাগান যেতে পারে। তখন ভারত-গবন্মেণ্ট চার জন শিল্পী বাছাই করবার জন্তে শিল্পী-মহলে খবর পাঠালেন। ভারতের প্রায় সকল প্রদেশ থেকেই শিল্পীরা প্রতিযোগিতায় যোগদান করলেন। তাতে আমরা যে চার জন শিল্পী মনোনীত হলাম সকলেই বাঙালী। আমাদের চার জনের মধ্যে রণদা উকিল হচ্ছেন শিল্পী সারদা উকিলের ছোট ভাই। তারা দিল্লীতে থাকেন। ললিত সেন লক্ষ্মেী আর্ট স্কুলের একজন শিক্ষক। তিনি ইতিপূৰ্ব্বে একবার বিলাত গিয়ে রয়েল আর্ট কলেজে শিক্ষা লাভ ক’রে এ. আর. সি. এ. হয়ে আসেন। স্বধাংশু চৌধুরী কলিকাতায় ইণ্ডিয়া সোসাইটি অফ ওরিয়েণ্টাল আর্ট স্থলে শিক্ষা লাভ করেন এবং আমি শাস্তিনিকেতনে পুজনীয় নন্দলাল বস্তু মহাশয়ের নিকট শিক্ষা লাভ করেছিলাম । ভারত-গবন্মেণ্টের আদেশমত দেশ ছেড়ে আমরা বিলেত পৌছাই ১৯২৯ সনের ২৩এ সেপ্টেম্বর তারিখে । তারপর আমরা চার জনে মিলে একদিন রয়েল আর্ট কলেজের গ্রিন্সিপাল স্তর উইলিয়ম রথেনষ্টাইনের সঙ্গে দেখা করবার জন্যে ঐ কলেজে গেলাম। আমরা ঘরে ঢুকতেই তিনি বেশ ভদ্রতা ও উৎসাহের সঙ্গে আমাদের ডেকে বসলেন এবং আলাপ নুরু করলেন । তিনি আমাদের খুব উৎসাহ দিলেন যাতে আমরা এই ইণ্ডিয়া হাউসে যা-অঁাকবে তা ধেন ভাবের দিক দিয়ে, অঙ্কন-পদ্ধতিতে, সব দিক থেকেই সম্পূর্ণ ভারতীয় বিশেষত্বকে ফুটিয়ে তুলতে পারি। তিনি আরও বললেন, র্তার কাছে এর পূৰ্ব্বে ভারত থেকে ছেলেরা গেছে ছাত্র হিসেবে ঐ দেশীয় শিল্প শিখবে ব’লে আর আমরা গেছি ভারতের শিল্পকে প্রচার করবার জন্তে । সেদিনকার আলাপের শেষে তিনি বললেন যে, এই কলেজে আমাদের শুধু কিছু কালের জন্ত আধুনিক দেওয়াল-চিত্র পদ্ধতি আয়ত্ত করতে হবে, আর কিছুই नधे । রয়েল জার্ট কলেজে গিয়ে প্রথম প্রথম কতকগুলো জিনিষ বড় চোখে নুতন লেগেছিল। শান্তিনিকেতনে বরাবর শিল্প-সাধনা করেছি প্রকৃতির সঙ্গে তাল রেখে, তাকে গভীর ভাবে উপলব্ধি করে। निtखएनब्र बैंकबाब्र छांग्रणी कि भूछांशृश्ब्र भङहे