পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাতিক লণ্ডলে ইণ্ডিয়া ছাউসের দেওয়াল-চিত্র పారి উপর "এগটেম্পারা ইত্যাদি বিশেষ ভাবে অনুশীলন করা। প্রায় সমস্ত ইউরোপ পরিভ্রমণ করে এবং বিখ্যাত বিখ্যাত মিউজিয়ম দেখে ও আর্টিষ্টদের সঙ্গে আলাপ ক’রে অনেক নূতন জিনিষ জানতে ও শিখতে পেরেছি। বিশেষ ক'রে যখন ইটালীর ফ্লোরেন্স নগরে ছিলাম তখন অনেক পুরানো শিল্পীর সঙ্গে আলাপ করবার স্বযোগ পেয়েছিলাম। ফ্লোরেন্সের একটা রাতের কথা এখনও বেশ মনে আছে । সে রাতটা বেজীয় গরম ; কিছুতেই হোটেলে ফিরতে ইচ্ছে হচ্ছিল না । তাই এক কফিথানায় বসে কফির সদ্ব্যবহার করা যাচ্ছিল । আমরা চার জন ছাড়া সঙ্গে ছিল মি: ডিঙ্কিল, যিনি । রয়েল আর্ট কলেজে আমাদের দেওয়াল-চিত্র সম্বন্ধে শিক্ষণ দিতেন। আর ছিলেন স্বকুমার দেউস্কর, শিল্পী শশী হেসের ভাগ্নে। ইনি শান্তিনিকেতনের কলাভবনে পূজনীয় নন্দবাবুর কাছে চিত্রবিদ্যা শিখছিলেন। এখন ফ্লোরেন্সে ইটালীয় শিল্পীর কাছে ঐ দেশীয় আর্ট শিক্ষালাভ করছেন। কফিথান ছিল একেবারে উন্মুক্ত আকাশের নীচে। তাই চাদের আলোও বেশ উপভোগ করছিলাম। কফি খেতে খেতে হঠাৎ মুকুমার দেউঙ্গর আমাদের পাশের টেবিলের দিকে তাকিয়ে বললেন, “দেখুন, ওঁরা বোধ হয় আমাদের ছবি আঁকছেন।” আমরাও পাশের টেবিলের দিকে তাকাতেই দেখি চার-পাচটি ভদ্রলোক বলে সামনে কফির পেয়ালা আর কাগজ ধরে কি যেন আঁকছেন । দেউস্কর বললেন যে, এরা এখানকার বড় বড় আর্টিষ্ট । এদের মধ্যে একজন ছিলেন ব্যঙ্গ-চিত্র জাকিয়ে । তিনি জামাদের চার জনের ব্যঙ্গ-চিত্র একে বেশ একটু ভদ্রতা অথচ হালির সঙ্গে ধীরে ধীরে সেখান আমাদের সামনে এনে দিলেন । দেউম্বরের সঙ্গে ওঁদের সকলেরই পরিচয় ছিল, তারা আমাদের পরিচয় জানতে চাইলেন। দেউঙ্গর ইটালীয় ভাষায় পরিচয় দিলেন। শুনে সকলেই ৪ । যৌবনে প্রেম বেশ আগ্রহের সঙ্গে আলাপ করবার জল্পে আমাদের টেবিলে এসে বসলেন। কফিগানায় শিল্পীতে শিল্পীতে মালাপ-পরিচয়ের প্রথা সেই বিখ্যাত শিল্পী বতিচেলি লেওনার্দে। দা ভিঞ্চির যুগ থেকে এখনও তেমনি ভাবে চলে আসছে। ফ্লোরেন্স শব্দের অর্থ হ’ল ‘দি ফ্লাওয়ার অফ ইটালী, ইটালীর ফুল। এমন একদিন ছিল যখন সমস্ত জগৎ মুগ্ধ