কাতিক সাধারণ মেয়ে যারা কবি যারা শিল্পী যারা রাজা, দল বেঁধে আমুক ওর চারদিকে । জ্যোতির্বিবদের মতো আবিষ্কার করুক ওকে, শুধু বিহুৰী বলে নয়, নারী বলে । ওর মধ্যে যে বিশ্ববিজয়ী জাৰ্ছ আছে ধরা পড়ুক তার:রহস্ত, মূঢ়ের দেশে নয়, যে দেশে আছে সমজদার, অাছে দরদী, আছে ইংরেজ, জৰ্ম্মান, ফরাসী । মালতীর সন্মানের জন্যে সভা ডাকা হোক না,— • বড়ো বড়ো নামজাদার সভা। । মনে করা যাক সেখানে বর্ষণ হচ্চে মুষলধারে চাটুবাক্য, মাঝখান দিয়ে সে চলেচে অবহেলায়— ঢেউয়ের উপর দিয়ে যেন পালের নৌকা । ওর চোখ দেখে ওরা:করচে কানাকানি, বলচে, ভারতবর্ষের সজল মেঘ আর উজ্জল রৌদ্র মিলেচে ওর মোহিনী দৃষ্টিতে । ( এইখানে জনাস্তিকে বলে রাখি,— স্বষ্টিকৰ্ত্তার প্রসাদ সত্যই আছে আমার চোখে । বলতে হোলো নিজের মুখেই, এখনো কোনো য়ুরোপীয় রসজ্ঞের সাক্ষাৎ ঘটেনি কপালে। ) নরেশ এসে দাড়াকৃ সেই কোণে, আর তার সেই অসামান্য মেয়ের দল । আর তার পরে ? তার পরে আমার নটে শাকটি মুড়োলে, স্বপ্ন আমার ফুরোলো । হায়রে সামান্ত মেয়ে, হায়রে বিধাতার শক্তির অপব্যয় ।
পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।