পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহায়ণ প্রণয়-পীযুষ-পুরিত, সধৰ্ম্ম সাধু-চরিত, উদ্দেশে কর অর্পিত, মঙ্গল হবে সাধন ॥ নট অমিত্রাক্ষর ছন্দে তাহার বক্তব্য আরম্ভ করে, কিন্তু তাহা চালাইতে না পারিয়াই বোধ হয় নিছক গদ্যের আশ্রয় লয়। আরম্ভ ভাগ এইরূপ :– এ সম্ভা উজ্জ্বল বটে। ওহে সহৃদয়, সদয় বুধ মণ্ডলি ! সদয় হৃদয়ে, প্রসন্ন নয়নে, আর করুণ শ্রবণে. করুণ শ্রবণ দরশন—হংস সম, নীয়-ত্যাগী ক্ষীর-ভোগী হ’য়ে -বক্ষ্যমান “প্রণয়-পরীক্ষণ নাটকের অভিনয় । গ্রন্থের প্রতিপাদ্য—“বহুবিবাহের ঘত বিষময় ফল ।” মহামায়া ও সরল, দুষ্ট সতীন ; মহামায়া ঔষধ খাওয়াইয়া স্বামীকে বশ করিতে চায়, আর সরলা কলাকুশল, কবিতা লিখিতে, সেলাই করিতে জানে ; তাহারই রচিত কবিতা ননদিনী সুশীলা আবৃত্তি করিতেছে। স্ত্রশিক্ষায় যে কত স্বৰ্গ, মদনিবারণের যে কতদূর প্রয়োজন, তাহা সবিস্তর বর্ণনা করা হইয়াছে, স্বতরাং প্রণয়পরীক্ষা ভয়ানক উদ্বেগমূলক। কিন্তু অন্যদিকে আবার কবিওয়ালাদের সরস কথার প্রতিধ্বনিও নাটকে পাওয়া যায় ;–রাম বস্থর “আমার একটি যে মন, দুজনকে ত দিব কেমনে?” এ-নাটকে খুবই থাটিয়াছে ; আর গোবিন্দ অধিকারীর “বল বল আবার বল, ভাল কথার মিছেও ভাল”—তখনকার দিনে যাহারা থিয়েটার দেখিতে আসিত তাহাদের ভালই জান ছিল। প্রণয়পরীক্ষার পর মনোমোহন পদ্যমালা রচনা করেন ; ইহা স্কুলের বালক-বালিকাদের জন্য রচিত এবং তিন ভাগে সম্পূর্ণ। ইহার সরল, স্বমিষ্ট, নীতিগর্ভ কবিতা এককালে বালকবালিকাদের জন্য নির্দিষ্ট ছিল। সতী ও হরিশ্চন্দ্র নাটক বৌবাজার নাট্যসমাজের প্রতি উৎসর্গীকৃত, তাহার জন্যই রচিত। উৎসর্গপত্র হইতে খানিকটা উদ্ধৃত করিয়া দেওয়া হইল — “পরম প্রেমাম্পদ বহুবাজারস্থ বঙ্গ-নাট্যসমাজ সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত বাবু প্রতাপচন্দ্র বন্ধ্যোপাধ্যায় মহাশয় তথ। উক্ত সমাজের সভ্য ইযুক্ত বাবু নালাল ধর প্রভৃতি মহাশয়গণ गरुनग्न थिच्नश्झनर्णन ! Äl পুরাণে বলে, বিষ্ণু পাদোন্তৰ পতিতপাবনী গঙ্গা নাকি ব্ৰহ্মার কবি মনোমোহন বসু Sbo\ কমণ্ডলুতে কৃষ্ঠাবরূদ্ধা ছিলেন। জনকত শাস্ত্রক্স বিঞ্জ ব্যতীত আর কেহই জগণিত না ... বাল্মীকি-করকমল নিঃস্থত স্থবিমল হধারূপী “রামের অধিবাস ও বনবাল” আখ্যানটী মৎকৃত "প্লামাভিষেক নামা নাটকের কয়েকট ক্ষুধায়ঠ মুন্নাপত্র মধ্যে আবদ্ধ ছিল। জনকন্ত গ্রন্থভুক্‌ পাঠক ব্যতীত অপরে তাছা জানিত কিনা সন্দেহ । আপনার বহ্বায়াদে তাহাকে রঙ্গভূমিতে অবতরণ করাইরা সেই এক কার্য্যে আপণাদিগের পুরুমার্থ, রামসীতার মাস্থাস্থ্য এবং লোকের দৃষ্ঠকাবাম্বাকে চরিভার্থ কৰিয়া দিয়াছেন ।...এ গুরঙ্গও আপনাদের উত্তেজনা ও উৎসাহবায়ুতে উত্থিত হইয়াছে।...যখন ঢেউ তুলিয়াছেন, তখন রঙ্গভূমিরূপ প্রণালীদ্বারা সমাজ-ক্ষেত্রে বিকীর্ণ করিবেন BBB SDDSBBS BB BB DBBS BB BBBBB স্নেহুরূপ বেলাভূমির উপর গিয়া প্লাবিত হইয়া পড়িতেছে" ইত্যাদি এই উৎসর্গ-পত্রিকার শেষে এক “রুতজ্ঞতা স্বীকার আছে,” তাহাতে গ্রন্থকার বাবু দ্বারকানাথ পাঠকের নিকট ঋণ স্বীকার করিয়া গিয়াছেন, তিনি রামাভিষেক, প্রণয়পরীক্ষা ও সতী নাটকের মধ্যে যে-সব গান আছে হিন্দী গানের ছাচে ভাঙ্গাদের মুর ঠিক করিয়া দিয়াছেন। এই গানের বিষয়ে কৃতজ্ঞভাস্বীকারের কিছু বিশেষ অর্থ আছে, মনোমোহন ভাবিতেন ধে গানই বাংলা নাটকের বিশেষত্ব বজায় রাখিয়াছে। তিনি বলিতেন, “ইউরোপে নাটককাব্যে গান অল্পই থাকে, আমাদের তথাবিধ গ্রন্থে গীতাধিক্যের প্রয়োজন । ইট জাতীয় রুচিভেদে স্বাভাবিক।--অয়ুকরণ ভক্ত কতকগুলি ভাক্ত উন্নতির শিষ্য ইউরোপের আদশ দেগিয়া বলিয়া থাকেন ‘নাটকে গান কেন ? ষ্টাঙ্গার বাহির দেখেন, স্বীয় সমাজের অভ্যস্তর দেখেন না ।” সতী নাটকের প্রথম সংস্করণের ভূমিকার তারিখ, ১৭ই মাঘ, ১২৭৯ সাল ; ১২৮০ সালের ১০ই ফাল্গুন শনিবার, বহুবাজার বঙ্গনাট্যালয়ে ইহার অভিনয় হয়, ঐ বৎসরের ১১ই চৈত্রের ‘সোমপ্রকাশে সে-বিষয়ে মন্তব্য আছে,—ইহ। নিশ্চয় প্রথম অভিনয় নয়, ঐ বৎসরের ১৭ই জানুয়ারী প্রথম অভিনয় হয়। ১৮ই চৈত্রের “সোমপ্রকাশে সতীনাটকাভিনয় সম্বন্ধে আরও উল্লেখ আছে । ১২৮৪ সালে দ্বিতীয়, ও ১২৮৭ সালে তৃতীয় ংস্করণ হয়। বহুবাজার নাট্যসমাজের নির্দেশমত মনোমোহন সতী নাটক রচনা করেন, ও উক্ত সমাজের অর্থসাহায্যে তাহ মুদ্রিত করেন। সতী নাটকের দ্বিতীয় সংস্করণের সময় মনোমোহন